শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আবারও যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাক ইয়াকুব কবির

যশোর ব্যুরো :=

উৎসবমুখর পরিবেশে যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে ১১৮ ভোট পেয়ে আবারও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন সর্বশেষ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব কবির। অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আসাদুজামান মিঠু পেয়েছেন ৮৭ ভোট। পদাধিকার বলে জেলা প্রশাসক সভাপতি হওয়ায় ভোটের লড়াইয়ে মূল আকর্ষণ ছিল সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে।
যশোর সদর উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা ও নির্বাচনের রির্টানিং কর্মকর্তা জাকির হোসেন ঘোষিত ফলাফলে সহসভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন এজেডএম সালেক(১২৭), আখিরুজ্জামান সান্টু(১১৬), শফিউর রহমান মল্লিক (১০৬) ও মোকসেদ সফী (৯৯)। তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আনিসুজ্জামান পিন্টু, অ্যাডভোকেট এ হাকিম, শেখ সফিয়ার রহমান কালু ও শরিফুল ইসলাম সরু চৌধুরী।
অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক পদে এমএ আকসাদ সিদ্দিকী শৈবাল ১১৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আব্দুল মান্নান পেয়েছেন ৮১ ভোট। যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন শহিদ আহমেদ (১১৫) ও এবিএম আখতারুজ্জামান (১১১)। এই পদে প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন এএফএম মঈনুদ্দিন (১০০) ও আলমগীর সিদ্দিকী (৮১)। আর কোষাধ্যক্ষ পদে শফিয়ার রহমান মোহনকে (৮৬) পরাজিত করে বিজয়ী হয়েছেন সোহেল মাসুদ হাসান টিটো (১১১)।
এছাড়া নির্বাহী সদস্য পদে বিজয়ী হয়েছেন শেখ শামস্-উল-বারী শিমুল (১৩৬), রায়হান সিদ্দিকী প্রবাল (১৩০), এহসানুল হক সুমন (১২৮), আজগার আলী খান টিটো (১২২), সোহলে আল মামুন নিশাদ (১১৮), আমিনুল ইসলাম(১১৭), হিমাদ্রি সাহা মনি(১১৬), আনোয়ার হোসেন মোস্তাক(১১৬), শিমুল বিশ্বাস শিমু (১১৪), খায়েরুজ্জামান বাবু (১১৪), মাহমুদ রিবন (১১২), ইউসুফ হাসান (১১০), এসএম শামীম এজাজ (১০৯) ও অ্যাড. নজরুল ইসলাম (১০৫)। উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সংরক্ষিত সদস্য এসএম মাহমুদ হাসান বিপু (১১৬) ও জুলহান উদ্দীন (১০৭) এবং মহিলা সংরক্ষিত পদে সায়েদা বানু (১২২) ও ফেরদৌসি বেগম (১০৮) নির্বাচিত হয়েছেন।
বুধবার যশোর শামস্-উল-হুদা স্টেডিয়ামের আমেনা খাতুন ভিআইপি ক্রিকেট গ্যালারির দ্বিতীয়তলায় সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ২১৯ জন ভোটার মধ্যে ২০৮ জন ভোটাধিকার প্রদান করেন। এরমধ্যে একটি বাতিল হয়েছে বলে জানান নির্বাচন কমিশনার ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আবুল লাইছ। তিনি বলেন, নির্বাচনে স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্য ভোট গণনার পুরো সময়টা ভিডিও ধারণ করা হয়। তিনি আরও বলেন, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচিতদের হাতে ক্ষমতা তুলে দেয়া হবে।
প্রায় আট বছর পর অনুষ্ঠিত নির্বাচন উপলক্ষে স্টেডিয়াম চত্বরে সাবেক বর্তমান খেলোয়াড়, ক্লাব ও সংগঠকদের মিলন মেলায় পরিণত হয়েছিল। দীর্ঘদিনপর দেখা হওয়ায় একের অপরের শুভেচ্ছা বিনিময় করতে দেখা যায়।
২০১২ সালের ১৫ জুন সর্বশেষ যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থার চার বছর মেয়াদী কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। মামলার জটিলতার কারণে প্রায় দু’বছর পর ২০১৪ সালের ২২ এপ্রিল ক্ষমতা গ্রহণ করে কমিটি। গঠনতন্ত্রের নির্দেশনার আলোকে কার্যনির্বাহী কমিটির মেয়াদ শেষ হয় ২০১৮ সালের ২১ এপ্রিল। তবে মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন মাস আগে নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু না করায় জেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যক্রম পরিচালনায় স্থবির দেখা দেয়। পরে ওই বছরের ২ আগস্ট জেলা প্রশাসককে আহ্বায়ক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে (সার্বিক) সদস্য সচিব করে ৭ সদস্যর অ্যাডহক কমিটি গঠন করা হয়।
বিভিন্ন জটিলতা শেষে ২০১৯ সালের ২১ জুলাই নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন। ভোটার তালিকার সাথে প্রার্থী তালিকায়ও চূড়ান্ত হয়। কিন্তু নির্বাচনের দুই দিন আগে শরিফুল ইসলাম চৌধুরি সরু জেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যনির্বাহি পরিষদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ ও অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা উপরে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দাবিতে মামলা দায়ের করেন। পরে ২৯ জুলাই শুনানিতে ভোটার তালিকা সংশোধন করে নির্বাচনে নতুন তফশীল ঘোষণা করার কথা বলেন আদালত। এর সাত মাস পর শুরু হয় নির্বাচনের কার্যক্রম।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

আবারও যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাক ইয়াকুব কবির

প্রকাশের সময় : ১০:৪৯:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২০

যশোর ব্যুরো :=

উৎসবমুখর পরিবেশে যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে ১১৮ ভোট পেয়ে আবারও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন সর্বশেষ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব কবির। অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আসাদুজামান মিঠু পেয়েছেন ৮৭ ভোট। পদাধিকার বলে জেলা প্রশাসক সভাপতি হওয়ায় ভোটের লড়াইয়ে মূল আকর্ষণ ছিল সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে।
যশোর সদর উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা ও নির্বাচনের রির্টানিং কর্মকর্তা জাকির হোসেন ঘোষিত ফলাফলে সহসভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন এজেডএম সালেক(১২৭), আখিরুজ্জামান সান্টু(১১৬), শফিউর রহমান মল্লিক (১০৬) ও মোকসেদ সফী (৯৯)। তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আনিসুজ্জামান পিন্টু, অ্যাডভোকেট এ হাকিম, শেখ সফিয়ার রহমান কালু ও শরিফুল ইসলাম সরু চৌধুরী।
অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক পদে এমএ আকসাদ সিদ্দিকী শৈবাল ১১৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আব্দুল মান্নান পেয়েছেন ৮১ ভোট। যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন শহিদ আহমেদ (১১৫) ও এবিএম আখতারুজ্জামান (১১১)। এই পদে প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন এএফএম মঈনুদ্দিন (১০০) ও আলমগীর সিদ্দিকী (৮১)। আর কোষাধ্যক্ষ পদে শফিয়ার রহমান মোহনকে (৮৬) পরাজিত করে বিজয়ী হয়েছেন সোহেল মাসুদ হাসান টিটো (১১১)।
এছাড়া নির্বাহী সদস্য পদে বিজয়ী হয়েছেন শেখ শামস্-উল-বারী শিমুল (১৩৬), রায়হান সিদ্দিকী প্রবাল (১৩০), এহসানুল হক সুমন (১২৮), আজগার আলী খান টিটো (১২২), সোহলে আল মামুন নিশাদ (১১৮), আমিনুল ইসলাম(১১৭), হিমাদ্রি সাহা মনি(১১৬), আনোয়ার হোসেন মোস্তাক(১১৬), শিমুল বিশ্বাস শিমু (১১৪), খায়েরুজ্জামান বাবু (১১৪), মাহমুদ রিবন (১১২), ইউসুফ হাসান (১১০), এসএম শামীম এজাজ (১০৯) ও অ্যাড. নজরুল ইসলাম (১০৫)। উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সংরক্ষিত সদস্য এসএম মাহমুদ হাসান বিপু (১১৬) ও জুলহান উদ্দীন (১০৭) এবং মহিলা সংরক্ষিত পদে সায়েদা বানু (১২২) ও ফেরদৌসি বেগম (১০৮) নির্বাচিত হয়েছেন।
বুধবার যশোর শামস্-উল-হুদা স্টেডিয়ামের আমেনা খাতুন ভিআইপি ক্রিকেট গ্যালারির দ্বিতীয়তলায় সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ২১৯ জন ভোটার মধ্যে ২০৮ জন ভোটাধিকার প্রদান করেন। এরমধ্যে একটি বাতিল হয়েছে বলে জানান নির্বাচন কমিশনার ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আবুল লাইছ। তিনি বলেন, নির্বাচনে স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্য ভোট গণনার পুরো সময়টা ভিডিও ধারণ করা হয়। তিনি আরও বলেন, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচিতদের হাতে ক্ষমতা তুলে দেয়া হবে।
প্রায় আট বছর পর অনুষ্ঠিত নির্বাচন উপলক্ষে স্টেডিয়াম চত্বরে সাবেক বর্তমান খেলোয়াড়, ক্লাব ও সংগঠকদের মিলন মেলায় পরিণত হয়েছিল। দীর্ঘদিনপর দেখা হওয়ায় একের অপরের শুভেচ্ছা বিনিময় করতে দেখা যায়।
২০১২ সালের ১৫ জুন সর্বশেষ যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থার চার বছর মেয়াদী কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। মামলার জটিলতার কারণে প্রায় দু’বছর পর ২০১৪ সালের ২২ এপ্রিল ক্ষমতা গ্রহণ করে কমিটি। গঠনতন্ত্রের নির্দেশনার আলোকে কার্যনির্বাহী কমিটির মেয়াদ শেষ হয় ২০১৮ সালের ২১ এপ্রিল। তবে মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন মাস আগে নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু না করায় জেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যক্রম পরিচালনায় স্থবির দেখা দেয়। পরে ওই বছরের ২ আগস্ট জেলা প্রশাসককে আহ্বায়ক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে (সার্বিক) সদস্য সচিব করে ৭ সদস্যর অ্যাডহক কমিটি গঠন করা হয়।
বিভিন্ন জটিলতা শেষে ২০১৯ সালের ২১ জুলাই নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন। ভোটার তালিকার সাথে প্রার্থী তালিকায়ও চূড়ান্ত হয়। কিন্তু নির্বাচনের দুই দিন আগে শরিফুল ইসলাম চৌধুরি সরু জেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যনির্বাহি পরিষদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ ও অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা উপরে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দাবিতে মামলা দায়ের করেন। পরে ২৯ জুলাই শুনানিতে ভোটার তালিকা সংশোধন করে নির্বাচনে নতুন তফশীল ঘোষণা করার কথা বলেন আদালত। এর সাত মাস পর শুরু হয় নির্বাচনের কার্যক্রম।