শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আলু খেয়েও থাকবেন স্লিম! কীভাবে…

 শিরোনাম পড়ে চমকে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে আলু নাকি আবার মেদ কমায় এটাও ভাবা যায়? কিন্তু যদি বলি এটাও সম্ভব? তবে হ্যাঁ, সেই আলু যে সে আলু নয়। এটি হতে হবে লাল আলু। এর গুণগুলি জানলে আপনি নিজেই একে রাখবেন আপনার ডায়েটে।

১. লাল আলু হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। মেটাবলিক রেট বাড়ায় বলে হজম হয় তাড়াতাড়ি। ফলে হঠাৎ করে বেশি খেলেও গ্যাস বা অম্বলের সমস্যা হয় না।

২. এতে যে পরিমাণ ফাইবার রয়েছে সেটা বারবার খাওয়ার ইচ্ছেকে দমিত করে। ফলে ওজন থাকে নিয়ন্ত্রণে।

৩. আমাদের শরীরে যে অতিরিক্ত জল চলে যায় সেটি শোষণ করতে সক্ষম রাঙা আলু। এই অতিরিক্ত পানি আমাদের দেহে জমে ওজন বাড়ায়।

 

৪. আমাদের শরীরের এনার্জি বাড়ে লাল আলু খেলে। এতে যে কার্বোহাইড্রেট থাকে তা বাড়ায় কাজ করার শক্তি।

কীভাবে খাবেন এই আলু?

১. আলু ভাজা করে নয়, সেদ্ধ অবস্থায় খেতে হবে।

২. এক্সাসাইজ করার কিছু সময় আগে খেয়ে নেবেন লাল আলু। এতে ঠিক সময়ে আপনি এনার্জি পাবেন।

৩. সপ্তাহে রোজ না হলে ৪ থেকে ৫ দিন একটি থেকে দুটি লাল আলু খেতে হবে।

৪. স্যালাডের সাথে একটুকরো লাল আলু মিশিয়ে নিতে পারেন। খেতেও অন্যরকম লাগবে আবার ওজনও থাকবে বশে।

৫. সময় হাতে খুব বেশি না থাকলে মাইক্রোওয়েভে বেক করে খেতে পারেন লাল আলু।

ডায়াবেটিকে আক্রান্ত রোগীরা লাল আলু খাবার আগে ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে নেবেন। সুগার হওয়ার ভয়ে ও ওজন বাড়ার ভয়ে আলু খাওয়া ছেড়ে দিলে লাল আলু রাখুন পাতে। সাধারণত আলুতে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশি থাকায় তা ওবেসিটি ও ডায়াবেটিসের রোগীদের মানা করা হয় খেতে। তবে লাল আলুতে এটি থাকে খুবই অল্প পরিমাণে। তাই কার কি ধরনের, কতটা সুগার রয়েছে তা জেনে নিয়ে খাওয়া ভালো।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

২৮ ঘন্টা বাঘের ডেরায়, রাত কেটেছে উচুঁ কেওড়া গাছের ডালে

আলু খেয়েও থাকবেন স্লিম! কীভাবে…

প্রকাশের সময় : ০৮:২৯:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ মার্চ ২০২১

 শিরোনাম পড়ে চমকে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে আলু নাকি আবার মেদ কমায় এটাও ভাবা যায়? কিন্তু যদি বলি এটাও সম্ভব? তবে হ্যাঁ, সেই আলু যে সে আলু নয়। এটি হতে হবে লাল আলু। এর গুণগুলি জানলে আপনি নিজেই একে রাখবেন আপনার ডায়েটে।

১. লাল আলু হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। মেটাবলিক রেট বাড়ায় বলে হজম হয় তাড়াতাড়ি। ফলে হঠাৎ করে বেশি খেলেও গ্যাস বা অম্বলের সমস্যা হয় না।

২. এতে যে পরিমাণ ফাইবার রয়েছে সেটা বারবার খাওয়ার ইচ্ছেকে দমিত করে। ফলে ওজন থাকে নিয়ন্ত্রণে।

৩. আমাদের শরীরে যে অতিরিক্ত জল চলে যায় সেটি শোষণ করতে সক্ষম রাঙা আলু। এই অতিরিক্ত পানি আমাদের দেহে জমে ওজন বাড়ায়।

 

৪. আমাদের শরীরের এনার্জি বাড়ে লাল আলু খেলে। এতে যে কার্বোহাইড্রেট থাকে তা বাড়ায় কাজ করার শক্তি।

কীভাবে খাবেন এই আলু?

১. আলু ভাজা করে নয়, সেদ্ধ অবস্থায় খেতে হবে।

২. এক্সাসাইজ করার কিছু সময় আগে খেয়ে নেবেন লাল আলু। এতে ঠিক সময়ে আপনি এনার্জি পাবেন।

৩. সপ্তাহে রোজ না হলে ৪ থেকে ৫ দিন একটি থেকে দুটি লাল আলু খেতে হবে।

৪. স্যালাডের সাথে একটুকরো লাল আলু মিশিয়ে নিতে পারেন। খেতেও অন্যরকম লাগবে আবার ওজনও থাকবে বশে।

৫. সময় হাতে খুব বেশি না থাকলে মাইক্রোওয়েভে বেক করে খেতে পারেন লাল আলু।

ডায়াবেটিকে আক্রান্ত রোগীরা লাল আলু খাবার আগে ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে নেবেন। সুগার হওয়ার ভয়ে ও ওজন বাড়ার ভয়ে আলু খাওয়া ছেড়ে দিলে লাল আলু রাখুন পাতে। সাধারণত আলুতে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশি থাকায় তা ওবেসিটি ও ডায়াবেটিসের রোগীদের মানা করা হয় খেতে। তবে লাল আলুতে এটি থাকে খুবই অল্প পরিমাণে। তাই কার কি ধরনের, কতটা সুগার রয়েছে তা জেনে নিয়ে খাওয়া ভালো।