বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

হল খুলে দেয়ার দাবিতে ইবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, প্রতিনিধি ## আবাসিক হলসমূহ দ্রুত খুলে দেয়ার একদফা দাবিতে অনড় ঢাবি, জাবি, রাবি, ইবি, শাবিপ্রবিসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায়ে দ্বিতীয় দিনের মত ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। একইসাথে হল খুলে দিতে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেন তারা।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে, চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে সোমবার বেলা ১১টার দিকে ক্যাম্পাসের ডায়না চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন ইবি শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি ক্যাম্পাসের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বঙ্গবন্ধু ও শেখ রাসেল হলের সামনের গিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। এসময় ‘লাথি মার ভাঙরে তালা, খুলে ফেল হলের তালা; একদফা একদাবি, হল কবে খুলে দিবি; শিক্ষক-কর্মকর্তা ভেতরে, আমরা কেন বাহিওে; প্রশাসনের প্রহসন, মানিনা মানবো না; আমার হল বন্ধ কেন, প্রশাসন জবাব চাই’ প্রভৃতি স্লোগান দিতে দেখা যায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের।

আরও পড়ুন>>> প্রশাসনের আল্টিমেটাম প্রত্যাখান করেছে জাবি শিক্ষার্থীরা

শিক্ষার্থীরা জানান, ইতোমধ্যে ভ্যাকসিন সরবরাহ শুরু হয়েছে। এছাড়া বহু আগ থেকেই দেশের প্রায় প্রতিটি সেক্টর স্বাভাবিক রয়েছে। শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ক্যাম্পাসেই অবস্থান করছেন। সম্প্রতি অগ্রধিকারের ভিত্তিতে পরীক্ষা গ্রহণও চালু হয়েছে। কিন্তু আবাসিক হলগুলো বন্ধ রেখেছে। বাইরে আমরা কোথায় কিভাবে থাকছি সে দায়িত্বও তারা নিচ্ছেন না। অথচ আমরা ছাত্রাবাসেও হলের মতই একাধিক শিক্ষার্থী এক রুমে থাকি। এতেও আমাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে যায়। এর চেয়ে হলকেই আমরা বেশি নিরাপদ মনে করি। কর্তৃপক্ষকে এই সিন্ধান্ত অভিভাবকসুলভ থেকে বেরিয়ে এসে দ্রুত হল খুলে দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।

প্রসঙ্গত, আবাসিক হল খোলার দাবিতে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা লাগাতার আন্দোলন শুরু করেছেন। ঢাবি ও জাবির শিক্ষার্থীরা ইতোমধ্যে হলের তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করেছেন। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এই দাবি ক্রমেই জোরদার হচ্ছে। তবে, ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক বিশ্বজিৎ চন্দ সোমবার জানিয়েছেন- শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ইমোশনাল হয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া যায় না। তার এই বক্তব্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

হল খুলে দেয়ার দাবিতে ইবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

প্রকাশের সময় : ০২:৩৫:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২১

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, প্রতিনিধি ## আবাসিক হলসমূহ দ্রুত খুলে দেয়ার একদফা দাবিতে অনড় ঢাবি, জাবি, রাবি, ইবি, শাবিপ্রবিসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায়ে দ্বিতীয় দিনের মত ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। একইসাথে হল খুলে দিতে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেন তারা।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে, চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে সোমবার বেলা ১১টার দিকে ক্যাম্পাসের ডায়না চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন ইবি শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি ক্যাম্পাসের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বঙ্গবন্ধু ও শেখ রাসেল হলের সামনের গিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। এসময় ‘লাথি মার ভাঙরে তালা, খুলে ফেল হলের তালা; একদফা একদাবি, হল কবে খুলে দিবি; শিক্ষক-কর্মকর্তা ভেতরে, আমরা কেন বাহিওে; প্রশাসনের প্রহসন, মানিনা মানবো না; আমার হল বন্ধ কেন, প্রশাসন জবাব চাই’ প্রভৃতি স্লোগান দিতে দেখা যায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের।

আরও পড়ুন>>> প্রশাসনের আল্টিমেটাম প্রত্যাখান করেছে জাবি শিক্ষার্থীরা

শিক্ষার্থীরা জানান, ইতোমধ্যে ভ্যাকসিন সরবরাহ শুরু হয়েছে। এছাড়া বহু আগ থেকেই দেশের প্রায় প্রতিটি সেক্টর স্বাভাবিক রয়েছে। শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ক্যাম্পাসেই অবস্থান করছেন। সম্প্রতি অগ্রধিকারের ভিত্তিতে পরীক্ষা গ্রহণও চালু হয়েছে। কিন্তু আবাসিক হলগুলো বন্ধ রেখেছে। বাইরে আমরা কোথায় কিভাবে থাকছি সে দায়িত্বও তারা নিচ্ছেন না। অথচ আমরা ছাত্রাবাসেও হলের মতই একাধিক শিক্ষার্থী এক রুমে থাকি। এতেও আমাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে যায়। এর চেয়ে হলকেই আমরা বেশি নিরাপদ মনে করি। কর্তৃপক্ষকে এই সিন্ধান্ত অভিভাবকসুলভ থেকে বেরিয়ে এসে দ্রুত হল খুলে দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।

প্রসঙ্গত, আবাসিক হল খোলার দাবিতে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা লাগাতার আন্দোলন শুরু করেছেন। ঢাবি ও জাবির শিক্ষার্থীরা ইতোমধ্যে হলের তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করেছেন। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এই দাবি ক্রমেই জোরদার হচ্ছে। তবে, ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক বিশ্বজিৎ চন্দ সোমবার জানিয়েছেন- শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ইমোশনাল হয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া যায় না। তার এই বক্তব্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।