ঢাকা ব্যুরো ## স্বর্ণ চোরাচালান নিয়ে ব্যতিক্রমধর্মী টেলিফিল্ম স্বর্ণমানব এর চতুর্থ পর্ব আসছে। সিরিজটির জনপ্রিয়তা ও একইসঙ্গে চলমান সামাজিক বাস্তবতা মাথায় নিয়ে এই ধারাবাহিকের আয়োজন করা হয়েছে। ‘স্বর্ণমানব ৪’ ২৬ জানুয়ারি আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবসে টেলিফিল্মটি প্রচারিত হবে। চ্যানেল আই (সন্ধ্যা ৫:৩০ টা), আরটিভি (বিকেল ৩:১৫ টা), এনটিভি (রাত ১১:৩০ টা) ও বাংলাভিশন (পরের দিন বিকেল ৫টা) চ্যানেলে প্রচার হবে। এটি এনটিভি অনলাইনের সৌজন্যে ইউটিউব ও ফেসবুকে পাওয়া যাবে। টেলিফিল্মের গল্প ও চিত্রনাট্য লিখেছেন ড. মইনুল খান। বর্তমানে তিনি ভ্যাট গোয়েন্দার মহাপরিচালক।
ড. মইনুল খান জানান, এরই মধ্যে পর্বটির শুটিং শেষ করা হয়েছে। টেকনাফের নাফ নদী, সমুদ্র বিচ ও জেলেপাড়া, কক্সবাজার ও ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, আকাশে এয়ারক্রাফটের ভেতর, এয়ারপোর্ট কাস্টমস জোন, একটি পাঁচ তারকা হোটেল ও উত্তরার ক্লিনিকে এই শুটিং সম্পন্ন হয়েছে। ঘটনার সাথে প্রাসঙ্গিক আকর্ষণীয় ও দুর্লভ কিছু দৃশ্য রয়েছে এই টেলিফিল্মে, যা নতুনত্ব ও বৈচিত্র এনে দিবে।
তিনি আরো জানান, এবারের প্লট সাজানো হয়েছে টেকনাফের এক জেলে দম্পতিকে নিয়ে। দেখা যাবে কীভাবে একজন দরিদ্র জেলে মানিক অভাবের তাড়নায় ও পারিপার্শিকতার চাপে ইয়াবা পাচারের সাথে যুক্ত হয়। ঝুঁকি নিয়ে কক্সবাজার থেকে ৪০০ ইয়াবা পোটলা করে গিলে পাকস্থলির ভেতর নিয়ে ঢাকায় পৌঁছে দেয় গডফাদারের কাছে। বিনিময়ে যা পায় সংসারের ভরণপোষণ হয়। তাকে ব্যবহার করে বড়লোক হয় গডফাদার ও তার দল। শেষ পরিণতি অনেক করুন ও তা বিস্ময় সৃষ্টি করবে। ডিটেক্টিভ চরিত্রের মুন্সিয়ানা থাকবে এই পর্বে, যা দর্শকদের মুগ্ধ করবে।
মইনুল খান জানান, এতে মূল চরিত্র মানিকের অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিম। তিনি আগের দুটো পর্বেও অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন। অন্যান্য ভূমিকায় আছেন জাকিয়া বারী মম, সালাউদ্দিন লাভলু, আজিজুল হাকিম, রুনা খান, আরফান আহমেদ, মনিরা মিঠু, রাশেদ মামুন অপু, আমানুল হক হেলাল, সুজাত শিমুল, শহীদউল্লাহ সবুজ, আরিয়া অরিত্রী, খালিদ মাহমুদ ও মাসুদ। বর্তমানে পর্বটির এডিটিং ও পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ চলছে। এটিও অত্যন্ত নিপুণভাবে করা হচ্ছে।
জানা গেছে, টেলিফিল্ম এর আরেকটি বিশেষত্ব হচ্ছে যে, এই টেলিছবির পর্বটির শুটিং রেড ক্যামেরায় ধারণ করা হয়েছে। টেলিফিল্মের পরিচালনা করেছেন আবু হায়াৎ মাহমুদ। নাট্যকার নিজেই শুটিং স্পটে উপস্থিত থেকে সার্বিক নির্দেশনা দিয়েছেন। চোরাচালান বিরোধী তার দাপ্তরিক কাজ ও অভিজ্ঞতা থেকেই এই ‘স্বর্ণমানব’ রচিত। তিনি বর্তমানে এনবিআরের কাস্টমস বিভাগে মহাপরিচালক হিসেবে কর্মরত। টেলিফিল্মটি ১৯৫২ প্রযোজনা থেকে নির্মাণ করা হয়েছে।
শুটিংকালে একটি চ্যালেঞ্জ ছিল আর্টিস্টদের স্থানীয় টেকনাফের আঞ্চলিক ভাষায় ডায়ালগ বলা। দুজন স্থানীয় বাসিন্দা দিয়ে ভাষান্তর করে সেটি সম্ভব হয়েছে। মোশাররফ করিম, রুনা খান, আরফান ও হেলাল এই চ্যালেঞ্জটি ভালভাবে পার করেছেন। ‘স্বর্ণমানব’ সামাজিক অন্যায় ও অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে একটি ছায়া।