শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঢাকা-জলপাইগুড়ি ট্রেন চলবে ২৬ মার্চ থেকে

আবু রায়হান জিকো ## ভারতের জলপাইগুড়ি (এনজেপি) ও ঢাকার মধ্যে চালু হচ্ছে রেল যোগাযোগ। আগামী ২৬ মার্চ থেকে এই রেল সেবা চালু হবে। সপ্তাহে দুদিন এ ট্রেন চলাচল করবে।

সোম এবং বৃহস্পতিবার ট্রেনটি এনজেপি থেকে ছেড়ে আসবে এবং ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে ছাড়বে মঙ্গল এবং শুক্রবার। জলপাইগুড়ি থেকে ঢাকার দূরত্ব ৫৩০ কিলোমিটার। এর মধ্যে বাংলাদেশ অংশে রয়েছে ৪৪৬ কিলোমিটার।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ অনলাইনের খবরে বলা হয়েছে, বিরতিহীন ৯ ঘণ্টার যাত্রায় ট্রেনটি গন্তব্যে পৌঁছবে। ১০টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচ নিয়ে একটি ডিজেল ইঞ্জিনের মাধ্যমে এটি চলবে।

গত ডিসেম্বরে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়াল বৈঠকে এ রেলপথ চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়।

এরপর বুধবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুই দেশের কর্মকর্তাদের বৈঠকে ট্রেন চালুর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন পাকশি রেলওয়ে বিভাগের ম্যানেজার মো. শহিদুল ইসলাম এবং ভারতের পক্ষে কাটিহার বিভাগের ম্যানেজার রবীন্দ্র কুমার ভার্মা।

বৈঠক শেষে  রবীন্দ্র কুমার ভার্মা ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, মূলত পর্যটন শিল্পকে সামনে রেখেই এই রেল পরিষেবা চালু করা হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে সপ্তাহে দুদিন এই ট্রেন চলবে। ২৬ মার্চ এনজেপি থেকে দুপুর ২টায় ট্রেনটি যাত্রা শুরু করবে। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি এর উদ্বোধন করবেন।

আরও পড়ুন>>>ভারতে যমুনায় ভয়াবহ দূষণ

এর আগে দুই দেশের মধ্যে দুটি রেল পরিষেবা চালু হয়। ২০০৮ সালের ১৪ এপ্রিল চালু হয় মৈত্রী এক্সপ্রেস। বন্ধন এক্সপ্রেস চালু হয় ২০১৭ সালের ৯ নভেম্বর। নতুন এই ট্রেনটি হবে দুই দেশের মধ্যে তৃতীয় ট্রেন।

এছাড়া ভারতের হলদিবাড়ি থেকে বাংলাদেশের চিলাহাটি পর্যন্ত ট্রেন চলাচল শুরুর প্রক্রিয়া চলছে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

ঢাকা-জলপাইগুড়ি ট্রেন চলবে ২৬ মার্চ থেকে

প্রকাশের সময় : ০৪:১২:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১
আবু রায়হান জিকো ## ভারতের জলপাইগুড়ি (এনজেপি) ও ঢাকার মধ্যে চালু হচ্ছে রেল যোগাযোগ। আগামী ২৬ মার্চ থেকে এই রেল সেবা চালু হবে। সপ্তাহে দুদিন এ ট্রেন চলাচল করবে।

সোম এবং বৃহস্পতিবার ট্রেনটি এনজেপি থেকে ছেড়ে আসবে এবং ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে ছাড়বে মঙ্গল এবং শুক্রবার। জলপাইগুড়ি থেকে ঢাকার দূরত্ব ৫৩০ কিলোমিটার। এর মধ্যে বাংলাদেশ অংশে রয়েছে ৪৪৬ কিলোমিটার।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ অনলাইনের খবরে বলা হয়েছে, বিরতিহীন ৯ ঘণ্টার যাত্রায় ট্রেনটি গন্তব্যে পৌঁছবে। ১০টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচ নিয়ে একটি ডিজেল ইঞ্জিনের মাধ্যমে এটি চলবে।

গত ডিসেম্বরে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়াল বৈঠকে এ রেলপথ চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়।

এরপর বুধবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুই দেশের কর্মকর্তাদের বৈঠকে ট্রেন চালুর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন পাকশি রেলওয়ে বিভাগের ম্যানেজার মো. শহিদুল ইসলাম এবং ভারতের পক্ষে কাটিহার বিভাগের ম্যানেজার রবীন্দ্র কুমার ভার্মা।

বৈঠক শেষে  রবীন্দ্র কুমার ভার্মা ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, মূলত পর্যটন শিল্পকে সামনে রেখেই এই রেল পরিষেবা চালু করা হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে সপ্তাহে দুদিন এই ট্রেন চলবে। ২৬ মার্চ এনজেপি থেকে দুপুর ২টায় ট্রেনটি যাত্রা শুরু করবে। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি এর উদ্বোধন করবেন।

আরও পড়ুন>>>ভারতে যমুনায় ভয়াবহ দূষণ

এর আগে দুই দেশের মধ্যে দুটি রেল পরিষেবা চালু হয়। ২০০৮ সালের ১৪ এপ্রিল চালু হয় মৈত্রী এক্সপ্রেস। বন্ধন এক্সপ্রেস চালু হয় ২০১৭ সালের ৯ নভেম্বর। নতুন এই ট্রেনটি হবে দুই দেশের মধ্যে তৃতীয় ট্রেন।

এছাড়া ভারতের হলদিবাড়ি থেকে বাংলাদেশের চিলাহাটি পর্যন্ত ট্রেন চলাচল শুরুর প্রক্রিয়া চলছে।