শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তাপমাত্রা আরও কমবে

দেবুল কুমার দাস ##  দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে। এটি ২-৩ দিন স্থায়ী হতে পারে। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহের প্রভাবে রাজধানীতেও শীত বেড়েছে। শৈত্যপ্রবাহটি আরও তীব্রতা পেতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে, তাপমাত্রা আরও কমে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহে পরিণত হতে পারে। তখন তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ গ্রিডি পর্যন্ত নেমে আসতে পারে।

আবহাওয়াবিদরা জানান, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম ও সৈয়দপুরে শৈত্যপ্রবাহ থাকবে। এর প্রভাব রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পড়বে। বুধবার রাজধানীর তাপমাত্রাও কমেছে। এদিন তাপমাত্রা ছিল ১৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াম। এর আগের দিন রাজধানীতে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল। আজ বৃহস্পতিবার উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় তাপমাত্রা ছয় থেকে আট ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে চলে আসতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ রয়েছে। ফলে শীত বেড়ে গেছে। এটি দু-তিন দিন স্থায়ী হতে পারে। দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছয় থেকে আট ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমে আসতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু শৈত্যপ্রবাহটি একই এলাকা দিয়ে বয়ে যেতে পারে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।

বুধবার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, শৈত্যপ্রবাহটি পাবনা, নওগাঁ, দিনাজপুর, সৈয়দপুর ও কুড়িগ্রাম অঞ্চলের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বুধবার দেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নওগাঁর বদলগাছীতে ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বোচ্চ কক্সবাজারে ৩০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

রাজশাহীতে বুধবার সকাল থেকে আগের কয়েক দিনের চেয়ে বেশি ঠাণ্ডা অনুভূত হলেও সন্ধ্যা হতেই শীতের তীব্রতা বেড়ে যায়। গোটা উত্তরাঞ্চলের কোথাও বুধবার সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। ফলে এ অঞ্চলের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। রাজশাহীসহ উত্তরের জেলাগুলোতে তাপমাত্রা আরও কমার পূর্বাভাস দিয়েছে রাজশাহী আঞ্চলিক আহবাওয়া অফিস।

এ মৌসুমে বুধবার রাজশাহীতে সর্বনিম্ন ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। মেঘ ও ঘনকুয়াশার কারণে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্র চার ডিগ্রি কমে ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যায়। দিনের মধ্যভাগে কুয়াশা কিছুটা কেটে গেলেও বিকালে কুয়াশার ভারে অন্ধকারের রূপ নেয় প্রকৃতি। সড়ক-মহাসড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। ঠাণ্ডা বাড়তে থাকায় সন্ধ্যার পর থেকেই রাজশাহী মহানগরীতে লোক চলাচল কমতে থাকে।

কুড়িগ্রাম ভূরুঙ্গামারীতে কয়েক দিনের তীব্র শৈত্যপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ঘনকুয়াশা আর কন কনে ঠান্ডায় মানুষ অনেকটাই ঘরবন্দি। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। ফলে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। শীতজনিত রোগ-বালাই বেড়েছে।

উত্তর দিক থেকে বয়ে আসা হিমালয়ের হিম বাতাসের কারণে কখনো মৃদু কখনোবা মাঝারি ধরনের শৈতপ্রবাহ বইছে এ জেলায়। তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ্ জানান, বুধবার সকালে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এক দিনের ব্যবধানে বুধবার তাপমাত্রা কমেছে ৩ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অফিস জানান, মঙ্গলবার দিনাজপুরসহ দেশের উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ থেকে ১৫ ডিগ্রির উপরে থাকলেও মঙ্গলবার দিবাগত রাত থেকে এই অঞ্চলে বইতে শুরু করেছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

তাপমাত্রা আরও কমবে

প্রকাশের সময় : ১০:৫৩:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২১

দেবুল কুমার দাস ##  দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে। এটি ২-৩ দিন স্থায়ী হতে পারে। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহের প্রভাবে রাজধানীতেও শীত বেড়েছে। শৈত্যপ্রবাহটি আরও তীব্রতা পেতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে, তাপমাত্রা আরও কমে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহে পরিণত হতে পারে। তখন তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ গ্রিডি পর্যন্ত নেমে আসতে পারে।

আবহাওয়াবিদরা জানান, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম ও সৈয়দপুরে শৈত্যপ্রবাহ থাকবে। এর প্রভাব রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পড়বে। বুধবার রাজধানীর তাপমাত্রাও কমেছে। এদিন তাপমাত্রা ছিল ১৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াম। এর আগের দিন রাজধানীতে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল। আজ বৃহস্পতিবার উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় তাপমাত্রা ছয় থেকে আট ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে চলে আসতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ রয়েছে। ফলে শীত বেড়ে গেছে। এটি দু-তিন দিন স্থায়ী হতে পারে। দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছয় থেকে আট ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমে আসতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু শৈত্যপ্রবাহটি একই এলাকা দিয়ে বয়ে যেতে পারে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।

বুধবার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, শৈত্যপ্রবাহটি পাবনা, নওগাঁ, দিনাজপুর, সৈয়দপুর ও কুড়িগ্রাম অঞ্চলের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বুধবার দেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নওগাঁর বদলগাছীতে ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বোচ্চ কক্সবাজারে ৩০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

রাজশাহীতে বুধবার সকাল থেকে আগের কয়েক দিনের চেয়ে বেশি ঠাণ্ডা অনুভূত হলেও সন্ধ্যা হতেই শীতের তীব্রতা বেড়ে যায়। গোটা উত্তরাঞ্চলের কোথাও বুধবার সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। ফলে এ অঞ্চলের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। রাজশাহীসহ উত্তরের জেলাগুলোতে তাপমাত্রা আরও কমার পূর্বাভাস দিয়েছে রাজশাহী আঞ্চলিক আহবাওয়া অফিস।

এ মৌসুমে বুধবার রাজশাহীতে সর্বনিম্ন ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। মেঘ ও ঘনকুয়াশার কারণে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্র চার ডিগ্রি কমে ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যায়। দিনের মধ্যভাগে কুয়াশা কিছুটা কেটে গেলেও বিকালে কুয়াশার ভারে অন্ধকারের রূপ নেয় প্রকৃতি। সড়ক-মহাসড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। ঠাণ্ডা বাড়তে থাকায় সন্ধ্যার পর থেকেই রাজশাহী মহানগরীতে লোক চলাচল কমতে থাকে।

কুড়িগ্রাম ভূরুঙ্গামারীতে কয়েক দিনের তীব্র শৈত্যপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ঘনকুয়াশা আর কন কনে ঠান্ডায় মানুষ অনেকটাই ঘরবন্দি। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। ফলে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। শীতজনিত রোগ-বালাই বেড়েছে।

উত্তর দিক থেকে বয়ে আসা হিমালয়ের হিম বাতাসের কারণে কখনো মৃদু কখনোবা মাঝারি ধরনের শৈতপ্রবাহ বইছে এ জেলায়। তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ্ জানান, বুধবার সকালে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এক দিনের ব্যবধানে বুধবার তাপমাত্রা কমেছে ৩ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অফিস জানান, মঙ্গলবার দিনাজপুরসহ দেশের উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ থেকে ১৫ ডিগ্রির উপরে থাকলেও মঙ্গলবার দিবাগত রাত থেকে এই অঞ্চলে বইতে শুরু করেছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।