শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফ্রান্সে ১৮ বছরের নিচে মেয়েদের হিজাব পরায় নিষেধাজ্ঞা

ফ্রান্সে ১৮ বছরের নিচে মেয়েদের হিজাব পরায় নিষেধাজ্ঞা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ## ফ্রান্সে ১৮ বছরের কম বয়সী নারীরা প্রকাশ্যে হিজাব পরতে পারবে না বলে দেশটির সিনেট একটি বিল পাস করেছে। এরপর থেকে কঠোর সমালোচনা শুরু করেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘হ্যান্ডস অফ মাই হিজাব’ হ্যাশট্যাগও শুরু হয়েছে।

 

মুসলিম নারীরা সাধাণত মাথা ঢাকার জন্য যে স্কার্ফ ব্যবহার করে থাকে তাকে হিজাব বলে। কিন্তু ফ্রান্সে কয়েক দশক ধরেই এটা বিতর্কের কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। সম্প্রতি ফরাসি সরকার যে তথাকথিত ‘বিচ্ছিন্নতাবাদ বিরোধী’ আইন আনতে চাচ্ছে তারই অংশ হিসেবে এমন পদক্ষেপ নিলো সিনেট।

 

ফরাসি সরকার বলছে, বিচ্ছিন্নতাবাদ বিরোধী এই আইনের উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশের সেক্যুলার ব্যবস্থাকে গতিশীল করা। কিন্তু সমালোচকরা বলছে, মূলত দেশটির মুসলিম সংখ্যালঘুদের টার্গেট করতেই এমন আইন আনছে ফ্রান্সের সরকার।

 

 

 

গত ৩০ মার্চ প্রস্তাবিত এই বিলের একটি সংশোধনী অনুমোদন দেয় সিনেট। যেখানে বলা হয়, ১৮ বছরের কম বয়সীরা জনসম্মুখে ধর্মীয় কোনও চিহ্ন এবং এমন কোনও পোশাক পরতে পারবে না যার মাধ্যমে তাদের অবস্থান পুরুষের চেয়ে খাটো হয়ে যায়।

 

 

এই বিলটি এখনও আইনে পরিণত হয়নি। এটি আইনে কার্যকর হওয়ার আগে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন এনে তা ফ্রান্সের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে পাস হবে। কিন্তু এমন সংশোধনীর কড়া সমালোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই বলছেন, প্রস্তাবিত আইনটি ‘ইসলামের বিরোধিতা’ করার শামিল।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

শ্যালক লুৎফুল হাবিবের অপরাধে ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী পলক

ফ্রান্সে ১৮ বছরের নিচে মেয়েদের হিজাব পরায় নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশের সময় : ০৩:২৪:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ এপ্রিল ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ## ফ্রান্সে ১৮ বছরের কম বয়সী নারীরা প্রকাশ্যে হিজাব পরতে পারবে না বলে দেশটির সিনেট একটি বিল পাস করেছে। এরপর থেকে কঠোর সমালোচনা শুরু করেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘হ্যান্ডস অফ মাই হিজাব’ হ্যাশট্যাগও শুরু হয়েছে।

 

মুসলিম নারীরা সাধাণত মাথা ঢাকার জন্য যে স্কার্ফ ব্যবহার করে থাকে তাকে হিজাব বলে। কিন্তু ফ্রান্সে কয়েক দশক ধরেই এটা বিতর্কের কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। সম্প্রতি ফরাসি সরকার যে তথাকথিত ‘বিচ্ছিন্নতাবাদ বিরোধী’ আইন আনতে চাচ্ছে তারই অংশ হিসেবে এমন পদক্ষেপ নিলো সিনেট।

 

ফরাসি সরকার বলছে, বিচ্ছিন্নতাবাদ বিরোধী এই আইনের উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশের সেক্যুলার ব্যবস্থাকে গতিশীল করা। কিন্তু সমালোচকরা বলছে, মূলত দেশটির মুসলিম সংখ্যালঘুদের টার্গেট করতেই এমন আইন আনছে ফ্রান্সের সরকার।

 

 

 

গত ৩০ মার্চ প্রস্তাবিত এই বিলের একটি সংশোধনী অনুমোদন দেয় সিনেট। যেখানে বলা হয়, ১৮ বছরের কম বয়সীরা জনসম্মুখে ধর্মীয় কোনও চিহ্ন এবং এমন কোনও পোশাক পরতে পারবে না যার মাধ্যমে তাদের অবস্থান পুরুষের চেয়ে খাটো হয়ে যায়।

 

 

এই বিলটি এখনও আইনে পরিণত হয়নি। এটি আইনে কার্যকর হওয়ার আগে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন এনে তা ফ্রান্সের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে পাস হবে। কিন্তু এমন সংশোধনীর কড়া সমালোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই বলছেন, প্রস্তাবিত আইনটি ‘ইসলামের বিরোধিতা’ করার শামিল।