শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি সচল

মামুন বাবু ## ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের জীবন-জীবিকা বাঁচাও কমিটির ডাকা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেওয়ায় দুইদিন পর পুনরায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য সচল হয়েছে। মঙ্গলবার (০২ ফেব্রুয়ারি ) সকাল থেকে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য শুরু হয়েছে।

এর আগে, বাণিজ্য পরিচালনায় নিরাপত্তার নামে সীমান্তরক্ষী বিএসএফ কর্তৃক ব্যবসায়ীদের হয়রানি বন্ধসহ পণ্য খালাসের জটিলতা নিরসনে পাঁচ দফা দাবি বাস্তবায়নে সংগঠনটি ধর্মঘটের ডাক দিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধ করে দেয়। এতে দুই বন্দরে প্রবেশে শত শত আমদানি-রফতানি পণ্যের ট্রাক আটকা পড়ে।

বেনাপোল সি এন্ড এফ এজেন্ট স্টাফ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান জানান, তারা বাণিজ্য সচলের জন্য রোববার ও সোমবার দফায় দফায় বৈঠক করে আসছিলেন। কিন্তু তাদের দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় গত দুইদিন কোনও ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করতে পারেনি।ভারতের পেট্রাপোল স্থল বন্দরে জীবন জীবিকা বাঁচাও কমিটির ৫ দফা আন্দোলনে ২ দফা দাবি বাস্তবায়ন হওয়ায় আন্দোলকারীরা তাদের অবরোধ প্রত্যাহার করে নিয়েছে। যার ফলে মঙ্গলবার সকাল থেকে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরে দু-দেশের মধ্যে আমদানি রফতানি শুরু হয়েছে। মেনে নেওয়া দাবি ২টি হলো ২০ ফেব্রুয়ারী থেকে পেট্রাপোল চেকপোষ্টে হ্যান্ড কুলিরা কাজ করতে পারবে। পণ্য বাহি ট্রাক বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দরে রেখে ট্রাক চালকরা পায়ে হেটে এপার ওপার যাতায়াত করতে পারবে।

বেনাপোল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (ট্রাফিক) আব্দুল জলিল জানান, সকাল থেকে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রফতানি শুরু হয়েছে। আটকে থাকা পণ্য যাতে ব্যবসায়ীরা দ্রুত খালাস নিতে পারেন তার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

জানা যায়, প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে প্রায় পাঁচ শতাধিক ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি ও দেড় শতাধিক ট্রাকে বিভিন্ন পণ্য ভারতে রফতানি হয়ে থাকে। বাণিজ্যিক কার্যক্রম সম্পাদনে ভারতীয় সি এন্ড এফ স্টাফ সদস্যরা বেনাপোল বন্দরে আসা-যাওয়া করতেন। কিন্তু সীমান্তরক্ষী বিএসএফ সম্প্রতি নিরাপত্তা জনিত কারণ দেখিয়ে তাদের যাতায়াত বন্ধ করে দেয়। এছাড়া বিএসএফ সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়াই পণ্যবাহী ট্রাক তল্লাশিতে দীর্ঘ সময় ক্ষেপন করে। এসব সমস্যা সমাধানে আন্তরিক হতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বার বার অবহিত করা হয়। কিন্তু কোনও সমাধান না আসায় বাধ্য হয়ে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর জীবন-জীবিকা বাঁচাও কমিটি ধর্মঘট ডাক দিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধ করে দেয়। এ সংগঠনটির সঙ্গে একত্বতা ঘোষণা করে ভারতের পেট্রাপোল সি এন্ড এফ এসোসিয়েশন, আমদানি-রফতানি সমিতি, ট্রাক ট্রান্সপোর্টসহ সংশ্লিষ্ট বাণিজ্যিক সংগঠনগুলো।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি সচল

প্রকাশের সময় : ০২:২৩:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২১

মামুন বাবু ## ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের জীবন-জীবিকা বাঁচাও কমিটির ডাকা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেওয়ায় দুইদিন পর পুনরায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য সচল হয়েছে। মঙ্গলবার (০২ ফেব্রুয়ারি ) সকাল থেকে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য শুরু হয়েছে।

এর আগে, বাণিজ্য পরিচালনায় নিরাপত্তার নামে সীমান্তরক্ষী বিএসএফ কর্তৃক ব্যবসায়ীদের হয়রানি বন্ধসহ পণ্য খালাসের জটিলতা নিরসনে পাঁচ দফা দাবি বাস্তবায়নে সংগঠনটি ধর্মঘটের ডাক দিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধ করে দেয়। এতে দুই বন্দরে প্রবেশে শত শত আমদানি-রফতানি পণ্যের ট্রাক আটকা পড়ে।

বেনাপোল সি এন্ড এফ এজেন্ট স্টাফ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান জানান, তারা বাণিজ্য সচলের জন্য রোববার ও সোমবার দফায় দফায় বৈঠক করে আসছিলেন। কিন্তু তাদের দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় গত দুইদিন কোনও ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করতে পারেনি।ভারতের পেট্রাপোল স্থল বন্দরে জীবন জীবিকা বাঁচাও কমিটির ৫ দফা আন্দোলনে ২ দফা দাবি বাস্তবায়ন হওয়ায় আন্দোলকারীরা তাদের অবরোধ প্রত্যাহার করে নিয়েছে। যার ফলে মঙ্গলবার সকাল থেকে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরে দু-দেশের মধ্যে আমদানি রফতানি শুরু হয়েছে। মেনে নেওয়া দাবি ২টি হলো ২০ ফেব্রুয়ারী থেকে পেট্রাপোল চেকপোষ্টে হ্যান্ড কুলিরা কাজ করতে পারবে। পণ্য বাহি ট্রাক বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দরে রেখে ট্রাক চালকরা পায়ে হেটে এপার ওপার যাতায়াত করতে পারবে।

বেনাপোল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (ট্রাফিক) আব্দুল জলিল জানান, সকাল থেকে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রফতানি শুরু হয়েছে। আটকে থাকা পণ্য যাতে ব্যবসায়ীরা দ্রুত খালাস নিতে পারেন তার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

জানা যায়, প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে প্রায় পাঁচ শতাধিক ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি ও দেড় শতাধিক ট্রাকে বিভিন্ন পণ্য ভারতে রফতানি হয়ে থাকে। বাণিজ্যিক কার্যক্রম সম্পাদনে ভারতীয় সি এন্ড এফ স্টাফ সদস্যরা বেনাপোল বন্দরে আসা-যাওয়া করতেন। কিন্তু সীমান্তরক্ষী বিএসএফ সম্প্রতি নিরাপত্তা জনিত কারণ দেখিয়ে তাদের যাতায়াত বন্ধ করে দেয়। এছাড়া বিএসএফ সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়াই পণ্যবাহী ট্রাক তল্লাশিতে দীর্ঘ সময় ক্ষেপন করে। এসব সমস্যা সমাধানে আন্তরিক হতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বার বার অবহিত করা হয়। কিন্তু কোনও সমাধান না আসায় বাধ্য হয়ে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর জীবন-জীবিকা বাঁচাও কমিটি ধর্মঘট ডাক দিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধ করে দেয়। এ সংগঠনটির সঙ্গে একত্বতা ঘোষণা করে ভারতের পেট্রাপোল সি এন্ড এফ এসোসিয়েশন, আমদানি-রফতানি সমিতি, ট্রাক ট্রান্সপোর্টসহ সংশ্লিষ্ট বাণিজ্যিক সংগঠনগুলো।