শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ভারতে তথ্য পাচার মামলায় দেবপ্রসাদ ফের রিমান্ডে

আলহাজ্ব হাফিজুর রহমান:=

ভারতে তথ্য পাচারের মামলায় গ্রেপ্তার বেনাপোল পুলিশ ইমগ্রেশনের সাবেক কনস্টেবল দেবপ্রসাদ সাহার আবারো পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

সোমবার দুপুরে যশোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (দ্বিতীয় আদালত) মো. সাইফুদ্দিন এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এদিন পুলিশ তাকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডের  আবেদন করে।

গত ১৯ ডিসেম্বর আদালত তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। পুলিশ জানায়, আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।

জানা গেছে, গত ১৬ ডিসেম্বর রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যপাচারের অভিযোগ এনে বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি মামুন খান কনস্টেবল দেবপ্রসাদ সাহার বিরুদ্ধে ওই থানায় একটি মামলা করেন। পরে ১৭ ডিসেম্বর সকালে বেনাপোল বন্দর থানা-পুলিশ দেবপ্রসাদ সাহাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, দেবপ্রসাদ সাহা ঢাকার উত্তরা ১ নম্বর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত। এর আগে তিনি ২০১৪ সালের ২৭ ডিসেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ১৭ আগস্ট পর্যন্ত বেনাপোল পুলিশ ইমিগ্রেশন বিভাগে কর্মরত ছিলেন।

সেখানে থাকা অবস্থায় তিনি যখন-তখন বেনাপোল চেকপোস্ট নো ম্যান্স ল্যান্ড অতিক্রম করে ভারতে যাওয়া-আসা করতেন। বেনাপোলে দায়িত্ব পালনকালে সে দেশের বিশেষ বাহিনীর দুজন সদস্যের সঙ্গে তার সম্পর্ক হয়। ওই দুজন মাঝেমধ্যে ভারতে গিয়ে এস চক্রবর্তী ও পিন্টু নামে দুজনের কাছে বাংলাদেশের গোপনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচার করতেন।

২০১৮ সালের শেষের দিকে দেবপ্রসাদ সাহা বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংবলিত একটি পেনড্রাইভ নোম্যান্সল্যান্ড অতিক্রম করে ভারতে পাচার করেন। এর ১৫ দিন পর তিনি বিশেষ বাহিনীর এক সদস্যের কাছ থেকে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংবলিত পেনড্রাইভ এনে ভারতের এস চক্রবর্তী ও পিন্টুর কাছে হস্তান্তর করেন। গত ২৫ অক্টোবর ঢাকার কমলাপুরের একটি হোটেল থেকে ডিজিএফআই ও র‌্যাবের হাতে সৈনিক শাহানেওয়াজ শাহীন আটক হন।  এ সময় তার কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি পেনড্রাইভ জব্দ করা হয়। তিনি ভারতে তথ্যপাচারের বেশ কিছু বিষয় জানান। পরে পুলিশ হেড কোয়ার্টার্স তদন্ত কমিটি গঠন করে বিষয়টি অনুসন্ধানে নামে।

পুলিশের তদন্তে কথাবার্তার ভিডিও সিডির মাধ্যমে ভারত-বাংলাদেশে তথ্য পাচারের বিষয়টি ধরা পড়ে। পুলিশ সদস্য দেবপ্রসাদ সাহা খুলনার তেরখাদা উপজেলা সদরের সুরেন্দ্রনাথ সাহার ছেলে।

 

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

রাজনীতিতে নাম লেখাতে যাচ্ছেন সানিয়া মির্জা

ভারতে তথ্য পাচার মামলায় দেবপ্রসাদ ফের রিমান্ডে

প্রকাশের সময় : ০৯:০২:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯
আলহাজ্ব হাফিজুর রহমান:=

ভারতে তথ্য পাচারের মামলায় গ্রেপ্তার বেনাপোল পুলিশ ইমগ্রেশনের সাবেক কনস্টেবল দেবপ্রসাদ সাহার আবারো পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

সোমবার দুপুরে যশোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (দ্বিতীয় আদালত) মো. সাইফুদ্দিন এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এদিন পুলিশ তাকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডের  আবেদন করে।

গত ১৯ ডিসেম্বর আদালত তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। পুলিশ জানায়, আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।

জানা গেছে, গত ১৬ ডিসেম্বর রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যপাচারের অভিযোগ এনে বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি মামুন খান কনস্টেবল দেবপ্রসাদ সাহার বিরুদ্ধে ওই থানায় একটি মামলা করেন। পরে ১৭ ডিসেম্বর সকালে বেনাপোল বন্দর থানা-পুলিশ দেবপ্রসাদ সাহাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, দেবপ্রসাদ সাহা ঢাকার উত্তরা ১ নম্বর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত। এর আগে তিনি ২০১৪ সালের ২৭ ডিসেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ১৭ আগস্ট পর্যন্ত বেনাপোল পুলিশ ইমিগ্রেশন বিভাগে কর্মরত ছিলেন।

সেখানে থাকা অবস্থায় তিনি যখন-তখন বেনাপোল চেকপোস্ট নো ম্যান্স ল্যান্ড অতিক্রম করে ভারতে যাওয়া-আসা করতেন। বেনাপোলে দায়িত্ব পালনকালে সে দেশের বিশেষ বাহিনীর দুজন সদস্যের সঙ্গে তার সম্পর্ক হয়। ওই দুজন মাঝেমধ্যে ভারতে গিয়ে এস চক্রবর্তী ও পিন্টু নামে দুজনের কাছে বাংলাদেশের গোপনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচার করতেন।

২০১৮ সালের শেষের দিকে দেবপ্রসাদ সাহা বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংবলিত একটি পেনড্রাইভ নোম্যান্সল্যান্ড অতিক্রম করে ভারতে পাচার করেন। এর ১৫ দিন পর তিনি বিশেষ বাহিনীর এক সদস্যের কাছ থেকে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংবলিত পেনড্রাইভ এনে ভারতের এস চক্রবর্তী ও পিন্টুর কাছে হস্তান্তর করেন। গত ২৫ অক্টোবর ঢাকার কমলাপুরের একটি হোটেল থেকে ডিজিএফআই ও র‌্যাবের হাতে সৈনিক শাহানেওয়াজ শাহীন আটক হন।  এ সময় তার কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি পেনড্রাইভ জব্দ করা হয়। তিনি ভারতে তথ্যপাচারের বেশ কিছু বিষয় জানান। পরে পুলিশ হেড কোয়ার্টার্স তদন্ত কমিটি গঠন করে বিষয়টি অনুসন্ধানে নামে।

পুলিশের তদন্তে কথাবার্তার ভিডিও সিডির মাধ্যমে ভারত-বাংলাদেশে তথ্য পাচারের বিষয়টি ধরা পড়ে। পুলিশ সদস্য দেবপ্রসাদ সাহা খুলনার তেরখাদা উপজেলা সদরের সুরেন্দ্রনাথ সাহার ছেলে।