শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মমতাকে গৃহবন্দি করার দাবী বিজেপির

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ## ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে শনিবার চতুর্থ দফার ভোটে কোচবিহারের শীতলকুচিতে পাঁচজন নিহত হন। তাদের মধ্যে চারজন নিহত হয়েছেন দেশটির কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে। এরপর এই হত্যাকাণ্ডের দায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর চাপিয়ে তাকে গৃহবৃন্দি করার দাবি তুলেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

তার দাবি, ‘(মমতা) বুঝতে পেরেছেন হেরে যাবেন, তাই মানুষকে উত্তেজিত করতে শুরু করেছেন। কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে নিহতদের দায় পুরোপুরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি মানুষকে সেন্ট্রাল ফোর্সকে ঘেরাও করতে, ইভিএম আটকানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন।

’দিলীপ ঘোষের ভাষায়, ‘সমাজ বিরোধীরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে ভোট করতো। মমতা তাদের উত্তেজিত করেছেন। তারা সেন্ট্রাল ফোর্সের ওপর হামলা করেছে। পরে গুলিবিদ্ধ হয়েছে। আমার মনে হয়, মমতার বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা হওয়া উচিত। প্রচার থেকে সরিয়ে গৃহবন্দি করে রাখা দরকার।’

তবে রাজ্যে তোলপাড় সৃষ্টি হওয়া এই ঘটনায় ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে দায়ী করে তার পদত্যাগ দাবি করেছেন মমতা। পাশাপাশি এর তদন্তভার তুলে দিয়েছেন সিআইডি’র হাতে।

মমতার দাবি, ‘আজকের ঘটনার জন্য দায়ী অমিত শাহ। উনিই ষড়যন্ত্রকারী। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দায়ী করব না। তারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে চলে। নির্বাচন কমিশনের কথায় চললেও ওরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে।’

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, কোচবিহারের শীতলকুচি আসনের জোড়পাটকি ভোটকেন্দ্রের ১২৬ নং বুথের বাইরে শনিবার গুলিবর্ষণ করে ভারতের কেন্দ্রীয় বাহিনী। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় চারজন। নিহতরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী। এ ঘটনায় কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানতে চায় নির্বাচন কমিশন।

তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনী বিজেপি’র হয়ে কাজ করছে। রাতভর মদ-মাংস খেয়ে সকালে নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে। সুষ্ঠ নির্বাচন নিশ্চিত করার দায়িত্ব যাদের কাঁধে, তাদের নির্বিচারে গুলি চালানোর অধিকার কে দিয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে মমতার শিবির।

স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মী সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘দলে দলে মানুষ ভোট দিতে যাচ্ছিলেন। সেই সময় বিনা প্ররোচনায় গুলি চালায় কেন্দ্রীয় বাহিনী।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

মমতাকে গৃহবন্দি করার দাবী বিজেপির

প্রকাশের সময় : ১১:১২:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ এপ্রিল ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ## ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে শনিবার চতুর্থ দফার ভোটে কোচবিহারের শীতলকুচিতে পাঁচজন নিহত হন। তাদের মধ্যে চারজন নিহত হয়েছেন দেশটির কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে। এরপর এই হত্যাকাণ্ডের দায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর চাপিয়ে তাকে গৃহবৃন্দি করার দাবি তুলেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

তার দাবি, ‘(মমতা) বুঝতে পেরেছেন হেরে যাবেন, তাই মানুষকে উত্তেজিত করতে শুরু করেছেন। কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে নিহতদের দায় পুরোপুরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি মানুষকে সেন্ট্রাল ফোর্সকে ঘেরাও করতে, ইভিএম আটকানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন।

’দিলীপ ঘোষের ভাষায়, ‘সমাজ বিরোধীরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে ভোট করতো। মমতা তাদের উত্তেজিত করেছেন। তারা সেন্ট্রাল ফোর্সের ওপর হামলা করেছে। পরে গুলিবিদ্ধ হয়েছে। আমার মনে হয়, মমতার বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা হওয়া উচিত। প্রচার থেকে সরিয়ে গৃহবন্দি করে রাখা দরকার।’

তবে রাজ্যে তোলপাড় সৃষ্টি হওয়া এই ঘটনায় ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে দায়ী করে তার পদত্যাগ দাবি করেছেন মমতা। পাশাপাশি এর তদন্তভার তুলে দিয়েছেন সিআইডি’র হাতে।

মমতার দাবি, ‘আজকের ঘটনার জন্য দায়ী অমিত শাহ। উনিই ষড়যন্ত্রকারী। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দায়ী করব না। তারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে চলে। নির্বাচন কমিশনের কথায় চললেও ওরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে।’

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, কোচবিহারের শীতলকুচি আসনের জোড়পাটকি ভোটকেন্দ্রের ১২৬ নং বুথের বাইরে শনিবার গুলিবর্ষণ করে ভারতের কেন্দ্রীয় বাহিনী। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় চারজন। নিহতরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী। এ ঘটনায় কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানতে চায় নির্বাচন কমিশন।

তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনী বিজেপি’র হয়ে কাজ করছে। রাতভর মদ-মাংস খেয়ে সকালে নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে। সুষ্ঠ নির্বাচন নিশ্চিত করার দায়িত্ব যাদের কাঁধে, তাদের নির্বিচারে গুলি চালানোর অধিকার কে দিয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে মমতার শিবির।

স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মী সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘দলে দলে মানুষ ভোট দিতে যাচ্ছিলেন। সেই সময় বিনা প্ররোচনায় গুলি চালায় কেন্দ্রীয় বাহিনী।