শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

যশোরের মনিরামপুরে চা দোকানিকে পিটিয়ে হত্যা

যশোর ব্যুরো ##

যশোরের মনিরামপুর উপজেলায় এক চা দোকানিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (০৭ জানুয়ারী) সকালে উপজেলার খালিয়া গ্রামের ঈদগাহের সামনে রাস্তার পাশ থেকে পুলিশ তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে।

নিহত চা দোকানির নাম জালাল বিশ্বাস(৫৫)। তিনি মনিরামপুর উপজেলার খলিয়া গ্রামের আজিবর বিশ্বাসের ছেলে।

পুলিশ জানায়, উপজেলার খালিয়া গ্রামের মোড়ে জালাল বিশ্বাসের একটি চায়ের দোকান রয়েছে। দীর্ঘ ২০ বছর ধরে তিনি সেখানে চা বিক্রি করেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে তিনি বাড়ি থেকে দোকানের উদ্দেশে বের হন। সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে তিনি গ্রামের ঈদগাহের সামনে পৌঁছালে। এ সময় পিছন থেকে কে বা কারা তাঁকে মাথায় আঘাত করে পালিয়ে যান। এতে তিনি ঘটনাস্থলে মারা যান। পরে মরদেহ রাস্তার পাশে ফেলে দেওয়া হয়।

সকালে খেজুরের রস সংগ্রহ করতে যাওয়ার সময় একব্যক্তি রাস্তার পাশে মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। বিষয়টি তিনি গ্রামবাসীদের কয়েকজনকে জাানান। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। সকাল আটটার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।

আব্দুল জলিলের স্ত্রী শাহিদা বেগম বলেন, আমার স্বামী প্রতিদিন ভোরে উঠে দোকানে যেতেন। আজও তিনি ভোরে উঠে দোকানে রওয়ানা হন। পরে তাঁর মৃত্যুর খবর পেয়েছি।

মনিরামপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শিকদার মতিয়ার রহমান বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে হত্যার ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি। আসামীদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

রাজনীতিতে নাম লেখাতে যাচ্ছেন সানিয়া মির্জা

যশোরের মনিরামপুরে চা দোকানিকে পিটিয়ে হত্যা

প্রকাশের সময় : ০২:১৭:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ জানুয়ারী ২০২১

যশোর ব্যুরো ##

যশোরের মনিরামপুর উপজেলায় এক চা দোকানিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (০৭ জানুয়ারী) সকালে উপজেলার খালিয়া গ্রামের ঈদগাহের সামনে রাস্তার পাশ থেকে পুলিশ তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে।

নিহত চা দোকানির নাম জালাল বিশ্বাস(৫৫)। তিনি মনিরামপুর উপজেলার খলিয়া গ্রামের আজিবর বিশ্বাসের ছেলে।

পুলিশ জানায়, উপজেলার খালিয়া গ্রামের মোড়ে জালাল বিশ্বাসের একটি চায়ের দোকান রয়েছে। দীর্ঘ ২০ বছর ধরে তিনি সেখানে চা বিক্রি করেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে তিনি বাড়ি থেকে দোকানের উদ্দেশে বের হন। সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে তিনি গ্রামের ঈদগাহের সামনে পৌঁছালে। এ সময় পিছন থেকে কে বা কারা তাঁকে মাথায় আঘাত করে পালিয়ে যান। এতে তিনি ঘটনাস্থলে মারা যান। পরে মরদেহ রাস্তার পাশে ফেলে দেওয়া হয়।

সকালে খেজুরের রস সংগ্রহ করতে যাওয়ার সময় একব্যক্তি রাস্তার পাশে মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। বিষয়টি তিনি গ্রামবাসীদের কয়েকজনকে জাানান। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। সকাল আটটার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।

আব্দুল জলিলের স্ত্রী শাহিদা বেগম বলেন, আমার স্বামী প্রতিদিন ভোরে উঠে দোকানে যেতেন। আজও তিনি ভোরে উঠে দোকানে রওয়ানা হন। পরে তাঁর মৃত্যুর খবর পেয়েছি।

মনিরামপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শিকদার মতিয়ার রহমান বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে হত্যার ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি। আসামীদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে।