শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজারের ভ্যাকসিন আসছে

তানজীর মহসিন অংকন ##  করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজার উদ্ভাবিত ভ্যাকসিন পাচ্ছে বাংলাদেশ। প্রথমেই চার লাখ মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। কোভ্যাক্সের সদস্য হিসেবে বাংলাদেশের মোট জনগোষ্ঠীর ২০ শতাংশের জন্য বিনামূলে বা স্বল্পমূল্যে পর্যায়ক্রমে ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা।

এরই অংশ হিসেবে এ প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ এই ভ্যাকসিন নিতে আগ্রহী কি না, তা ১৮ জানুয়ারির মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

তবে এই টিকা কবে নাগাদ পাওয়া যাবে, সেই বিষয়ে এখনো নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারছে না। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ১৮ জানুয়ারির মধ্যে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কোভ্যাক্সকে বিস্তারিত জানাতে হবে। তারপর জানা যাবে এটি কবে নাগাদ পাওয়া যাবে।

সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে কোভ্যাক্সের এই প্রস্তাব পেয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। বিষয়টি নিয়ে শুক্রবার রাতে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেকের সভাপতিত্বে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। দীর্ঘসময় অনুষ্ঠিত ওই সভায় ভ্যাকসিনটির সামগ্রিক বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট সবাইকে এই ভ্যাকসিন গ্রহণের সম্ভাব্যতা যাচাই করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই কোভ্যাক্সের প্রস্তাবের জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেন। সভায় উপস্থিত সবাই সম্ভাব্যতা যাচায়ের মাধ্যমে ফাইজার-বায়োএনটেক উৎপাদিত ভ্যাকসিন গ্রহণের পক্ষে ইতিবাচক মনোভাব ব্যক্ত করেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সভার পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা প্রথমেই ফাইজার-বায়োএনটেক উৎপাদিত ভ্যাকসিন রাখার ব্যবস্থার খোঁজ নেন। কারণ, এই ভ্যাকসিন হিমাঙ্কের নিচে ৭০ থেকে ৮০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয়।

রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট-আইইডিসিআর, ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথ-আইপিএইচ, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিন-নিপসমসহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আওতাধীন বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে হিমাঙ্কের নিচে ৭০ থেকে ৮০ ডিগ্রি তাপমাত্রার ফ্রিজার রয়েছে। ওইসব ফ্রিজারে বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের জীবাণু সংরক্ষিত রয়েছে। তবে ভ্যাকসিন রাখার জন্য এসব ফ্রিজার খালি করা সম্ভব বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে।

সূত্র আরও জানায়, এই ভ্যাকসিনের আরেকটি সমস্যা রয়েছে, সেটি হলো-এটি প্রয়োগের পরিমাণ। এটি জনপ্রতি প্রতি ডোজ শূন্য দশমিক ৩ মিলিলিটার করে দিতে হবে। একটি ভায়লে থাকে ৩ মিলিলিটার। অর্থাৎ, একটি ভায়ল থেকে ১০ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে এত ছোট আকৃতির সিরিঞ্জ পাওয়া কঠিন। কারণ বাংলাদেশে এত ছোট আকৃতির সিরিঞ্জ ব্যবহার করা হয় না। অন্যদিকে ইনসুলিন ব্যবহারের সিরিঞ্জগুলো আকারে ছোট হলেও সেগুলোর সুঁইগুলোও ছোট। ইনসুলিন দিতে হয় চামড়ার নিচে, অন্যদিকে ভ্যাকসিন দিতে হবে মাংসপেশিতে।

এক্ষেত্রে ইনসুলিনের সিরিঞ্জ খুব একটা উপযোগী নয়। তবে শনিবার এ সংক্রান্ত যোগাযোগ করে এক্ষেত্রে ব্যবহার উপযোগী একটি সিরিঞ্জ খুঁজে পেয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। যেই সিরিঞ্জটি মূলত এক মিলিলিটার পরিমাণের। ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে এই সিরিঞ্জ ব্যবহার করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন তারা।

এ প্রসঙ্গে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের উপদেষ্টা ড. মুশতাক হোসেন বলেন, ফাইজারের ভ্যাকসিন নেব কি নেব না, এটা নিয়ে সংশয়ের কোনো সুযোগ নেই। কারণ, ভ্যাকসিন প্রথম সুযোগে যেটা পাওয়া যাবে, সেটাই নিতে হবে। যদিও কোভ্যাক্স থেকে প্রথম পর্যায়ে খুব ক্ষুদ্র একটি অংশ দেবে বলেই জেনেছি।

তবে যত ক্ষুদ্র অংশই হোক, সেটিই নিতে হবে। সংরক্ষণের বিষয়ে তিনি বলেন, সরকারি পর্যায়ে যে ফ্রিজারগুলো রয়েছে, সেগুলো জীবাণুমুক্ত করে ব্যবহার করা যাবে। পাশাপাশি বেসরকারি পর্যায়ে বিশেষ করে ওষুধ কোম্পানিগুলোয়ও নিশ্চয়ই এ ধরনের সুবিধা রয়েছে। খোঁজ নিলে সেগুলো পাওয়া যাবে। এক্ষেত্রে তাদের সহযোগিতা নেওয়া যেতে পারে।

জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম বলেন, কোভ্যাক্স থেকে প্রাথমিক পর্যায়ে কিছু ভ্যাকসিন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে। মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর এ বিষয়ে কাজ করছে। ভ্যাকসিন পেতে যা করার আছে, তা-ই করা হবে। আপতত এর বেশি কিছু বলা যাচ্ছে না।

প্রসঙ্গত, গত ২ ডিসেম্বর বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ফাইজার-বায়োএনটেকের করোনাভাইরাস টিকার অনুমোদন দেয় যুক্তরাজ্য। যদিও উৎপাদক প্রতিষ্ঠান দুটির একটি যুক্তরাষ্ট্রে এবং অন্যটি জার্মানির। ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রক সংস্থা এমএইচআরএ জানায়, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ৯৫ শতাংশ সক্ষম এই টিকাটি এখন ব্যবহারের জন্য নিরাপদ। একটি টিকা উৎপাদন ও মানবদেহে ব্যবহারের ক্ষেত্রে যেসব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে দশকের বেশি সময় প্রয়োজন, সেখানে মাত্র ১০ মাসে এই টিকার আবিষ্কারের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে অনুমোদিত হয়।

এর আগে ২৫ নভেম্বর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ সম্মেলনে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির পরিচালক ডা. সামসুল হক জানান, বিশ্বব্যাপী গ্যাভি-দ্য ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্সের ব্যবস্থাপনায় কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় ২০২১ সালের মধ্যে ৬ কোটি ৮০ লাখ ডোজ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন পাবে বাংলাদেশ।

গ্যাভির প্রতি ডোজ ভ্যাকসিনের জন্য ব্যয় হবে ১ দশমিক ৬২ থেকে ২ ডলার। ওইদিন তিনি জানিয়েছিলেন, যারা আগে এ জাতীয় ভ্যাকসিন বিতরণ পরিকল্পনা জমা দেবে, তারাই আগে ভ্যাকসিন পাবে। গ্যাভি যখন থেকে পরিকল্পনা জমা নেওয়া শুরু করবে, আশা করছি আমরা প্রথমদিনই আমাদের পরিকল্পনা জমা দিতে পারব।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজারের ভ্যাকসিন আসছে

প্রকাশের সময় : ১১:৪৫:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ জানুয়ারী ২০২১

তানজীর মহসিন অংকন ##  করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজার উদ্ভাবিত ভ্যাকসিন পাচ্ছে বাংলাদেশ। প্রথমেই চার লাখ মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। কোভ্যাক্সের সদস্য হিসেবে বাংলাদেশের মোট জনগোষ্ঠীর ২০ শতাংশের জন্য বিনামূলে বা স্বল্পমূল্যে পর্যায়ক্রমে ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা।

এরই অংশ হিসেবে এ প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ এই ভ্যাকসিন নিতে আগ্রহী কি না, তা ১৮ জানুয়ারির মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

তবে এই টিকা কবে নাগাদ পাওয়া যাবে, সেই বিষয়ে এখনো নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারছে না। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ১৮ জানুয়ারির মধ্যে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কোভ্যাক্সকে বিস্তারিত জানাতে হবে। তারপর জানা যাবে এটি কবে নাগাদ পাওয়া যাবে।

সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে কোভ্যাক্সের এই প্রস্তাব পেয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। বিষয়টি নিয়ে শুক্রবার রাতে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেকের সভাপতিত্বে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। দীর্ঘসময় অনুষ্ঠিত ওই সভায় ভ্যাকসিনটির সামগ্রিক বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট সবাইকে এই ভ্যাকসিন গ্রহণের সম্ভাব্যতা যাচাই করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই কোভ্যাক্সের প্রস্তাবের জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেন। সভায় উপস্থিত সবাই সম্ভাব্যতা যাচায়ের মাধ্যমে ফাইজার-বায়োএনটেক উৎপাদিত ভ্যাকসিন গ্রহণের পক্ষে ইতিবাচক মনোভাব ব্যক্ত করেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সভার পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা প্রথমেই ফাইজার-বায়োএনটেক উৎপাদিত ভ্যাকসিন রাখার ব্যবস্থার খোঁজ নেন। কারণ, এই ভ্যাকসিন হিমাঙ্কের নিচে ৭০ থেকে ৮০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয়।

রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট-আইইডিসিআর, ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথ-আইপিএইচ, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিন-নিপসমসহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আওতাধীন বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে হিমাঙ্কের নিচে ৭০ থেকে ৮০ ডিগ্রি তাপমাত্রার ফ্রিজার রয়েছে। ওইসব ফ্রিজারে বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের জীবাণু সংরক্ষিত রয়েছে। তবে ভ্যাকসিন রাখার জন্য এসব ফ্রিজার খালি করা সম্ভব বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে।

সূত্র আরও জানায়, এই ভ্যাকসিনের আরেকটি সমস্যা রয়েছে, সেটি হলো-এটি প্রয়োগের পরিমাণ। এটি জনপ্রতি প্রতি ডোজ শূন্য দশমিক ৩ মিলিলিটার করে দিতে হবে। একটি ভায়লে থাকে ৩ মিলিলিটার। অর্থাৎ, একটি ভায়ল থেকে ১০ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে এত ছোট আকৃতির সিরিঞ্জ পাওয়া কঠিন। কারণ বাংলাদেশে এত ছোট আকৃতির সিরিঞ্জ ব্যবহার করা হয় না। অন্যদিকে ইনসুলিন ব্যবহারের সিরিঞ্জগুলো আকারে ছোট হলেও সেগুলোর সুঁইগুলোও ছোট। ইনসুলিন দিতে হয় চামড়ার নিচে, অন্যদিকে ভ্যাকসিন দিতে হবে মাংসপেশিতে।

এক্ষেত্রে ইনসুলিনের সিরিঞ্জ খুব একটা উপযোগী নয়। তবে শনিবার এ সংক্রান্ত যোগাযোগ করে এক্ষেত্রে ব্যবহার উপযোগী একটি সিরিঞ্জ খুঁজে পেয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। যেই সিরিঞ্জটি মূলত এক মিলিলিটার পরিমাণের। ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে এই সিরিঞ্জ ব্যবহার করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন তারা।

এ প্রসঙ্গে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের উপদেষ্টা ড. মুশতাক হোসেন বলেন, ফাইজারের ভ্যাকসিন নেব কি নেব না, এটা নিয়ে সংশয়ের কোনো সুযোগ নেই। কারণ, ভ্যাকসিন প্রথম সুযোগে যেটা পাওয়া যাবে, সেটাই নিতে হবে। যদিও কোভ্যাক্স থেকে প্রথম পর্যায়ে খুব ক্ষুদ্র একটি অংশ দেবে বলেই জেনেছি।

তবে যত ক্ষুদ্র অংশই হোক, সেটিই নিতে হবে। সংরক্ষণের বিষয়ে তিনি বলেন, সরকারি পর্যায়ে যে ফ্রিজারগুলো রয়েছে, সেগুলো জীবাণুমুক্ত করে ব্যবহার করা যাবে। পাশাপাশি বেসরকারি পর্যায়ে বিশেষ করে ওষুধ কোম্পানিগুলোয়ও নিশ্চয়ই এ ধরনের সুবিধা রয়েছে। খোঁজ নিলে সেগুলো পাওয়া যাবে। এক্ষেত্রে তাদের সহযোগিতা নেওয়া যেতে পারে।

জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম বলেন, কোভ্যাক্স থেকে প্রাথমিক পর্যায়ে কিছু ভ্যাকসিন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে। মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর এ বিষয়ে কাজ করছে। ভ্যাকসিন পেতে যা করার আছে, তা-ই করা হবে। আপতত এর বেশি কিছু বলা যাচ্ছে না।

প্রসঙ্গত, গত ২ ডিসেম্বর বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ফাইজার-বায়োএনটেকের করোনাভাইরাস টিকার অনুমোদন দেয় যুক্তরাজ্য। যদিও উৎপাদক প্রতিষ্ঠান দুটির একটি যুক্তরাষ্ট্রে এবং অন্যটি জার্মানির। ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রক সংস্থা এমএইচআরএ জানায়, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ৯৫ শতাংশ সক্ষম এই টিকাটি এখন ব্যবহারের জন্য নিরাপদ। একটি টিকা উৎপাদন ও মানবদেহে ব্যবহারের ক্ষেত্রে যেসব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে দশকের বেশি সময় প্রয়োজন, সেখানে মাত্র ১০ মাসে এই টিকার আবিষ্কারের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে অনুমোদিত হয়।

এর আগে ২৫ নভেম্বর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ সম্মেলনে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির পরিচালক ডা. সামসুল হক জানান, বিশ্বব্যাপী গ্যাভি-দ্য ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্সের ব্যবস্থাপনায় কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় ২০২১ সালের মধ্যে ৬ কোটি ৮০ লাখ ডোজ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন পাবে বাংলাদেশ।

গ্যাভির প্রতি ডোজ ভ্যাকসিনের জন্য ব্যয় হবে ১ দশমিক ৬২ থেকে ২ ডলার। ওইদিন তিনি জানিয়েছিলেন, যারা আগে এ জাতীয় ভ্যাকসিন বিতরণ পরিকল্পনা জমা দেবে, তারাই আগে ভ্যাকসিন পাবে। গ্যাভি যখন থেকে পরিকল্পনা জমা নেওয়া শুরু করবে, আশা করছি আমরা প্রথমদিনই আমাদের পরিকল্পনা জমা দিতে পারব।