শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লকডাউনে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরের বাণিজ্য স্বাভাবিক, দূর্ভোগে যাত্রীরা

শাহজালাল সম্রাট ## করোনা সংক্রমণ রোধে লকডাউন ঘোষণায় দেশে গণপরিবহন, শিক্ষাকেন্দ্রসহ বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এক সপ্তাহ বন্ধ থাকলেও স্বাভাবিক থাকবে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য। এ ছাড়া দুই দেশের মধ্যে শর্তসাপেক্ষে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়ে সচল রয়েছে পাসপোর্টধারী যাত্রীর যাতায়াত। তবে বেনাপোল বন্দর থেকে বন্ধ রয়েছে যাত্রীবাহী সব ধরনের গণপরিবহন।এতে দূর্ভোগে পড়েছেন ভারত ফেরত যাত্রীরা।

মঙ্গলবার ( এপ্রিল) সকালে বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক মামুন কবীর তরফদার জানান, লকডাউনের মধ্যে স্বাভাবিক নিয়মে বন্দরে বাণিজ্যিক কার্যক্রম চলছে। এ ছাড়া ট্রাকচালকরা আমদানি পণ্য নিয়ে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে যাচ্ছেন। দুইবন্দরে পাসপোর্ট যাত্রী যাতায়াতও স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান তিনি।

ভারত ফেরত যাত্রী বিপ্লব সাহা জানান,চিকিৎসার জন্য দীর্ঘ দুইমাস আগে ভারতে গিয়েছিলাম। কাছে যা টাকা পয়সা ছিল ঔষধ আর হোটেল ভাড়ায় সব শেষ।বাসভাড়াটা কোন রকমে রেখেছিলাম।এখন দেশে এসে দেখছি লকডাউন।কিভাবে বাড়ি ফিরব বুঝতে পারছিনা।

বেনাপোল ঈগল পরিবহনের ম্যানেজার রাসেদুর রহমান রাশু জানান, সরকারি নির্দেশনা মানতে বেনাপোল থেকে সব ধরণের বাস বন্ধ রয়েছে।তবে ভারত ফেরত কিছুকিছু যাত্রী বেশি টাকা দিয়ে প্রাইভেটকার ভাড়া করে গন্থব্যে পৌছাতে দেখা যাচ্ছে।আর যাদের কাছে টাকা পয়সা নেই তাদের একটু অসুবিধা হচ্ছে।

জানা যায়, হঠাৎ করে দেশে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুহার বেড়ে যাওয়ার তা প্রতিরোধে সরকার ১৮টি প্রস্তাবনা জারি করেন। কিন্তু জনসাধারণের সচেতনতার অভাবে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে করোনায় সক্রমন ও মৃত্যুর হার। অবশেষে বাধ্য হয়ে সরকার এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা দেন। এতে গণপরিবহন, শিক্ষাকেন্দ্রসহ বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের মধ্যে পড়ে। তবে দেশের শিল্প কলকারখানায় উৎপাদন ও সরবরাহ সচল রাখতে আমদানি, রফতানি বাণিজ্য স্বাভাবিক রেখেছেন।

এদিকে বন্দরের কার্যক্রমের পাশাপাশি বেনাপোল কাস্টমসের কার্যক্রমও স্বাভাবিক থাকবে বলে জানিয়েছেন বেনাপোল কাস্টমস কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা নাসিদুল হক। সকাল থেকে কাস্টমস হাউসে পণ্য ছাড়করণে কাজ করছেন সকলে।

বেনাপোল ট্রাক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আজিম উদ্দিন গাজী জানান, লকডাউনের মধ্যে বন্দর থেকে পণ্য সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে অন্যান্য সময়ের মতো চালকরা মালামাল বহন করছেন। বন্দরে চলা ফেরার সময় চালকদের বিশেষ করে মাস্ক ও ডিপো ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি আহসান হাবিব জানান, লকডাউনের মধ্যে এ পথে শর্তসাপেক্ষে দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত করছে। তবে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় যাত্রীর সংখ্যা অন্যান্য সময়ের তুলনায় কম বলে জানান তিনি। বর্তমানে মেডিকেল, বিজনেস ও কূটনৈতিক ভিসায় যাতায়াত করছেন যাত্রীরা।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

লকডাউনে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরের বাণিজ্য স্বাভাবিক, দূর্ভোগে যাত্রীরা

প্রকাশের সময় : ০৭:১৬:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ এপ্রিল ২০২১

শাহজালাল সম্রাট ## করোনা সংক্রমণ রোধে লকডাউন ঘোষণায় দেশে গণপরিবহন, শিক্ষাকেন্দ্রসহ বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এক সপ্তাহ বন্ধ থাকলেও স্বাভাবিক থাকবে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য। এ ছাড়া দুই দেশের মধ্যে শর্তসাপেক্ষে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়ে সচল রয়েছে পাসপোর্টধারী যাত্রীর যাতায়াত। তবে বেনাপোল বন্দর থেকে বন্ধ রয়েছে যাত্রীবাহী সব ধরনের গণপরিবহন।এতে দূর্ভোগে পড়েছেন ভারত ফেরত যাত্রীরা।

মঙ্গলবার ( এপ্রিল) সকালে বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক মামুন কবীর তরফদার জানান, লকডাউনের মধ্যে স্বাভাবিক নিয়মে বন্দরে বাণিজ্যিক কার্যক্রম চলছে। এ ছাড়া ট্রাকচালকরা আমদানি পণ্য নিয়ে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে যাচ্ছেন। দুইবন্দরে পাসপোর্ট যাত্রী যাতায়াতও স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান তিনি।

ভারত ফেরত যাত্রী বিপ্লব সাহা জানান,চিকিৎসার জন্য দীর্ঘ দুইমাস আগে ভারতে গিয়েছিলাম। কাছে যা টাকা পয়সা ছিল ঔষধ আর হোটেল ভাড়ায় সব শেষ।বাসভাড়াটা কোন রকমে রেখেছিলাম।এখন দেশে এসে দেখছি লকডাউন।কিভাবে বাড়ি ফিরব বুঝতে পারছিনা।

বেনাপোল ঈগল পরিবহনের ম্যানেজার রাসেদুর রহমান রাশু জানান, সরকারি নির্দেশনা মানতে বেনাপোল থেকে সব ধরণের বাস বন্ধ রয়েছে।তবে ভারত ফেরত কিছুকিছু যাত্রী বেশি টাকা দিয়ে প্রাইভেটকার ভাড়া করে গন্থব্যে পৌছাতে দেখা যাচ্ছে।আর যাদের কাছে টাকা পয়সা নেই তাদের একটু অসুবিধা হচ্ছে।

জানা যায়, হঠাৎ করে দেশে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুহার বেড়ে যাওয়ার তা প্রতিরোধে সরকার ১৮টি প্রস্তাবনা জারি করেন। কিন্তু জনসাধারণের সচেতনতার অভাবে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে করোনায় সক্রমন ও মৃত্যুর হার। অবশেষে বাধ্য হয়ে সরকার এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা দেন। এতে গণপরিবহন, শিক্ষাকেন্দ্রসহ বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের মধ্যে পড়ে। তবে দেশের শিল্প কলকারখানায় উৎপাদন ও সরবরাহ সচল রাখতে আমদানি, রফতানি বাণিজ্য স্বাভাবিক রেখেছেন।

এদিকে বন্দরের কার্যক্রমের পাশাপাশি বেনাপোল কাস্টমসের কার্যক্রমও স্বাভাবিক থাকবে বলে জানিয়েছেন বেনাপোল কাস্টমস কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা নাসিদুল হক। সকাল থেকে কাস্টমস হাউসে পণ্য ছাড়করণে কাজ করছেন সকলে।

বেনাপোল ট্রাক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আজিম উদ্দিন গাজী জানান, লকডাউনের মধ্যে বন্দর থেকে পণ্য সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে অন্যান্য সময়ের মতো চালকরা মালামাল বহন করছেন। বন্দরে চলা ফেরার সময় চালকদের বিশেষ করে মাস্ক ও ডিপো ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি আহসান হাবিব জানান, লকডাউনের মধ্যে এ পথে শর্তসাপেক্ষে দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত করছে। তবে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় যাত্রীর সংখ্যা অন্যান্য সময়ের তুলনায় কম বলে জানান তিনি। বর্তমানে মেডিকেল, বিজনেস ও কূটনৈতিক ভিসায় যাতায়াত করছেন যাত্রীরা।