শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লালমনিরহাট ছাত্রলীগের সভাপতি সম্পাদককে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কারণ দর্শনোর নির্দেশ

লালমনিরহাট প্রতিনিধি ## দলীয় শৃংঙ্খলা পরিপন্থি অনাকাঙ্খিত ঘটনা এবং চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষিতে লালমনিরহাট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাবেদ হোসেন বক্কর ও সাধারন সম্পাদক ইয়াকুব আলীকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি।

গত শনিবার (১০এপ্রিল) রাতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় ও সাধারন সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়েছে।বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের এক জরুরী সিন্ধান্ত মোতাবেক জানানো হয়, দলীয় শৃংঙ্খলা পরিপন্থি অনাকাঙ্খিত ঘটনা এবং চলমান উত্তেজনা পরিস্থিতির কারণে লালমনিরহাট ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার উপযুক্ত কারণসহ ৩কার্যদিবসের মধ্যে ডাকযোগে/কুড়িয়ার অথবা ই-মেইলের মাধ্যমে কেন্দ্রƒীয় দপ্তর সেলে জমা দেয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়।উল্লেখ, গত ৮এপ্রিল সন্ধ্যায় শহরের আলোরুপা মোড়ে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি ফরিদ হাসান সবুজের বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটায় ছাত্রলীগের সভাপতি জাবেদ হোসেন বক্কর গ্রুপের ৫০থেকে ৬০জনের একটি দল। হামলায় ছাত্রলীগ নেতা সবুজের মা আহত হন।

এ ঘটনায় ওই রাতে আহত ফাতেমা বেগম বাদি হয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাবেদ হোসেন বক্করসহ ২০জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৫০থেকে ৬০জনের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরদিন ৮এপ্রিল সন্ধ্যায় ওই অভিযোগ প্রত্যাহারের দাবীতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাবেদ হোসেন বক্কর গ্রুপ ও পৌর ছাত্রলীগ গ্রুপ জেলা ছাত্রলীগ অফিস থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে।এদিকে গত শনিবার বেলা ১২টায় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার থেকে জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিপুল আহমেদ অয়ন ও সাবেক সহ সভাপতি ফরিদ হাসান সবুজের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের একাংশ ছাত্রলীগের সভাপতি বক্করকে গ্রেফতারের দাবীতে মিছিল বের করে শহরের বাটামোড়ে পৌছায়। একই সময় অপরদিক থেকে ছাত্রলীগের সভাপতি বক্করের নেতৃত্বে জেলা ছাত্রলীগ অফিস থেকে একটি মিছিল বের হয়ে ওই বাটামোড়ে পৌছালে দুই মিছিল মুখোমুখি হয়। পরে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুই গ্রুপের অন্তত: ৭জন আহত হয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ ঘটনার পর শহরজুড়ে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

লালমনিরহাট ছাত্রলীগের সভাপতি সম্পাদককে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কারণ দর্শনোর নির্দেশ

প্রকাশের সময় : ০১:২২:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ এপ্রিল ২০২১

লালমনিরহাট প্রতিনিধি ## দলীয় শৃংঙ্খলা পরিপন্থি অনাকাঙ্খিত ঘটনা এবং চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষিতে লালমনিরহাট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাবেদ হোসেন বক্কর ও সাধারন সম্পাদক ইয়াকুব আলীকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি।

গত শনিবার (১০এপ্রিল) রাতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় ও সাধারন সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়েছে।বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের এক জরুরী সিন্ধান্ত মোতাবেক জানানো হয়, দলীয় শৃংঙ্খলা পরিপন্থি অনাকাঙ্খিত ঘটনা এবং চলমান উত্তেজনা পরিস্থিতির কারণে লালমনিরহাট ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার উপযুক্ত কারণসহ ৩কার্যদিবসের মধ্যে ডাকযোগে/কুড়িয়ার অথবা ই-মেইলের মাধ্যমে কেন্দ্রƒীয় দপ্তর সেলে জমা দেয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়।উল্লেখ, গত ৮এপ্রিল সন্ধ্যায় শহরের আলোরুপা মোড়ে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি ফরিদ হাসান সবুজের বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটায় ছাত্রলীগের সভাপতি জাবেদ হোসেন বক্কর গ্রুপের ৫০থেকে ৬০জনের একটি দল। হামলায় ছাত্রলীগ নেতা সবুজের মা আহত হন।

এ ঘটনায় ওই রাতে আহত ফাতেমা বেগম বাদি হয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাবেদ হোসেন বক্করসহ ২০জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৫০থেকে ৬০জনের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরদিন ৮এপ্রিল সন্ধ্যায় ওই অভিযোগ প্রত্যাহারের দাবীতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাবেদ হোসেন বক্কর গ্রুপ ও পৌর ছাত্রলীগ গ্রুপ জেলা ছাত্রলীগ অফিস থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে।এদিকে গত শনিবার বেলা ১২টায় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার থেকে জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিপুল আহমেদ অয়ন ও সাবেক সহ সভাপতি ফরিদ হাসান সবুজের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের একাংশ ছাত্রলীগের সভাপতি বক্করকে গ্রেফতারের দাবীতে মিছিল বের করে শহরের বাটামোড়ে পৌছায়। একই সময় অপরদিক থেকে ছাত্রলীগের সভাপতি বক্করের নেতৃত্বে জেলা ছাত্রলীগ অফিস থেকে একটি মিছিল বের হয়ে ওই বাটামোড়ে পৌছালে দুই মিছিল মুখোমুখি হয়। পরে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুই গ্রুপের অন্তত: ৭জন আহত হয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ ঘটনার পর শহরজুড়ে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।