শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিক্ষার্থীদের করোনা টিকা দেয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় খুলবে

প্রভাষক মামুনুর রশিদ ## আবাসিক হল খুলে দেয়ার দাবিতে আন্দোলন করছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তবে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকির কারণে হলগুলো এখনই খোলার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি মোকাবেলার অংশ হিসেবে গত বছরের মার্চের ১৭ তারিখ থেকে দেশের সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, শিক্ষা কার্যক্রম চালুর সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে পরিবেশ ঝুঁকিমুক্ত করতে হবে। সেক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের পরেই শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন দেয়ার একটি পরিকল্পনা করা হচ্ছে। ভ্যাকসিন দেয়া শেষ হলে বিশ্ববিদ্যালয় খুলবে।

চলতি মাসের ৭ তারিখ থেকে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন বা টিকা দেয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শুরুতে মহামারি মোকাবেলায় সম্মুখসারির কর্মী ও ৫৫ বছরের বেশি বয়সী দেয়ার কথা থাকলেও, টিকাদান কর্মসূচী শুরুর একদিন পরেই বয়সসীমার শর্ত কিছুটা শিথিল করে সরকার। এখন পর্যন্ত সম্মুখসারির কর্মী এবং ৪০-ঊর্ধ্ব বয়সীরা টিকা নিতে পারছেন।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, বিশ্বজুড়ে চলছে করোনা সংক্রমণের মহামারি। হঠাৎ করে শিক্ষার্থীদের বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়া ঠিক হবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন দেয়ার একটি পরিকল্পনা করেছে সরকার। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী এগিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

আরও খবর>>> দ্বিতীয় চালানে ৫০ লাখ ডোজ টিকা আসবে: স্বাস্থ্য সচিব

অধ্যাপক চন্দ বলেন, বিশ্বের অন্য দেশের মতো আমাদের দেশে করোনা ভ্যাকসিন দেয়া শুরু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা টিকা নিচ্ছেন। এরপরের ধাপে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে যে শিক্ষার্থীরা থাকেন, তাদেরও টিকা দেয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে ভ্যাকসিন দেয়া সম্পন্ন হলেই বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হতে পারে। তবে কবে নাগাদ শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়া শুরু হবে সেই সম্পর্কে কিছু বলতে পারেননি অধ্যাপক বিশ্বজিৎ চন্দ।

তিনি আরো বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয়ভাবে নেয়া হবে, অর্থাৎ শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এবং সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আলোচনার পরই খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

২৩ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিয়ে এ বিষয়ে একটি বৈঠক করতে যাচ্ছে। সূত্র: বিবিসি বাংলা

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

শিক্ষার্থীদের করোনা টিকা দেয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় খুলবে

প্রকাশের সময় : ১১:২২:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২১

প্রভাষক মামুনুর রশিদ ## আবাসিক হল খুলে দেয়ার দাবিতে আন্দোলন করছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তবে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকির কারণে হলগুলো এখনই খোলার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি মোকাবেলার অংশ হিসেবে গত বছরের মার্চের ১৭ তারিখ থেকে দেশের সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, শিক্ষা কার্যক্রম চালুর সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে পরিবেশ ঝুঁকিমুক্ত করতে হবে। সেক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের পরেই শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন দেয়ার একটি পরিকল্পনা করা হচ্ছে। ভ্যাকসিন দেয়া শেষ হলে বিশ্ববিদ্যালয় খুলবে।

চলতি মাসের ৭ তারিখ থেকে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন বা টিকা দেয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শুরুতে মহামারি মোকাবেলায় সম্মুখসারির কর্মী ও ৫৫ বছরের বেশি বয়সী দেয়ার কথা থাকলেও, টিকাদান কর্মসূচী শুরুর একদিন পরেই বয়সসীমার শর্ত কিছুটা শিথিল করে সরকার। এখন পর্যন্ত সম্মুখসারির কর্মী এবং ৪০-ঊর্ধ্ব বয়সীরা টিকা নিতে পারছেন।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, বিশ্বজুড়ে চলছে করোনা সংক্রমণের মহামারি। হঠাৎ করে শিক্ষার্থীদের বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়া ঠিক হবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন দেয়ার একটি পরিকল্পনা করেছে সরকার। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী এগিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

আরও খবর>>> দ্বিতীয় চালানে ৫০ লাখ ডোজ টিকা আসবে: স্বাস্থ্য সচিব

অধ্যাপক চন্দ বলেন, বিশ্বের অন্য দেশের মতো আমাদের দেশে করোনা ভ্যাকসিন দেয়া শুরু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা টিকা নিচ্ছেন। এরপরের ধাপে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে যে শিক্ষার্থীরা থাকেন, তাদেরও টিকা দেয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে ভ্যাকসিন দেয়া সম্পন্ন হলেই বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হতে পারে। তবে কবে নাগাদ শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়া শুরু হবে সেই সম্পর্কে কিছু বলতে পারেননি অধ্যাপক বিশ্বজিৎ চন্দ।

তিনি আরো বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয়ভাবে নেয়া হবে, অর্থাৎ শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এবং সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আলোচনার পরই খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

২৩ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিয়ে এ বিষয়ে একটি বৈঠক করতে যাচ্ছে। সূত্র: বিবিসি বাংলা