বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

স্বাধীন ভারতে প্রথম কোনো নারী ফাঁসির অপেক্ষায়

স্টাফ রিপোর্টার ## আর কিছুদিনের মধ্যেই ইতিহাসের শরিক হতে পারে উত্তরপ্রদেশের আমরাহর বাসিন্দা শিক্ষিকা শবনম। স্বাধীন ভারতে শবনমই প্রথম মহিলা বন্দি যার ফাঁসির আদেশ হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট তার প্রাণদণ্ডের আদেশ বহাল রেখেছে।

রাষ্ট্রপতি তার প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ করেছেন। মহিলা অপরাধীদের ফাঁসির জন্যে ১৫০ বছর আগে মথুরা জেলে ফাঁসির মঞ্চ তৈরি হলেও কখনও সেখানে কোনো ফাঁসি হয়নি। ফাঁসির দিনক্ষণ স্থির না হলেও নির্ভয়া কাণ্ডের ফাঁসুড়ে পবন জল্লাদ পৌঁছে গেছে মথুরায়। বক্সার থেকে এসেছে ফাঁসির ম্যানিলা রজ্জুও। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা শবনমের ফাঁসি হওয়া।  আমরাহর স্কুল শিক্ষিকা শবনম ডাবল এমএ

 
ইতিহাস ও ভূগোলে  স্নাতকোত্তর ডিগ্রির অধিকারী। প্রেমে পড়েছিল গ্রামের দিনমজুর অশিক্ষিত সালিমের। প্রতি রাতে পরিবারের লোকদের ঘুমের ওষুধ খাইয়ে সে মিলিত হত সালিমের সঙ্গে। দুজনের বিয়েতে আপত্তি ওঠায় ২০০৮ সালের ১৪ এপ্রিলের রাতে শবনম কুঠার দিয়ে ছিন্নভিন্ন করে হত্যা করে বাবা, মা, তিন দাদা, এক বৌদি ও ১০ মাস বয়সী ভাইপোকে। ৭ খুনের তদন্তে নেমে পুলিশ গ্রেপ্তার করে শবনম ও সালিমকে। মূল হত্যাকারী শবনমের ফাঁসির আদেশ হয়। সেই আদেশ এখন কার্যকর হওয়ার পথে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

যশোরে বায়েজিদ হত্যা মামলার আরও ২ আসামি গ্রেপ্তার

স্বাধীন ভারতে প্রথম কোনো নারী ফাঁসির অপেক্ষায়

প্রকাশের সময় : ০৬:২৫:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার ## আর কিছুদিনের মধ্যেই ইতিহাসের শরিক হতে পারে উত্তরপ্রদেশের আমরাহর বাসিন্দা শিক্ষিকা শবনম। স্বাধীন ভারতে শবনমই প্রথম মহিলা বন্দি যার ফাঁসির আদেশ হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট তার প্রাণদণ্ডের আদেশ বহাল রেখেছে।

রাষ্ট্রপতি তার প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ করেছেন। মহিলা অপরাধীদের ফাঁসির জন্যে ১৫০ বছর আগে মথুরা জেলে ফাঁসির মঞ্চ তৈরি হলেও কখনও সেখানে কোনো ফাঁসি হয়নি। ফাঁসির দিনক্ষণ স্থির না হলেও নির্ভয়া কাণ্ডের ফাঁসুড়ে পবন জল্লাদ পৌঁছে গেছে মথুরায়। বক্সার থেকে এসেছে ফাঁসির ম্যানিলা রজ্জুও। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা শবনমের ফাঁসি হওয়া।  আমরাহর স্কুল শিক্ষিকা শবনম ডাবল এমএ

 
ইতিহাস ও ভূগোলে  স্নাতকোত্তর ডিগ্রির অধিকারী। প্রেমে পড়েছিল গ্রামের দিনমজুর অশিক্ষিত সালিমের। প্রতি রাতে পরিবারের লোকদের ঘুমের ওষুধ খাইয়ে সে মিলিত হত সালিমের সঙ্গে। দুজনের বিয়েতে আপত্তি ওঠায় ২০০৮ সালের ১৪ এপ্রিলের রাতে শবনম কুঠার দিয়ে ছিন্নভিন্ন করে হত্যা করে বাবা, মা, তিন দাদা, এক বৌদি ও ১০ মাস বয়সী ভাইপোকে। ৭ খুনের তদন্তে নেমে পুলিশ গ্রেপ্তার করে শবনম ও সালিমকে। মূল হত্যাকারী শবনমের ফাঁসির আদেশ হয়। সেই আদেশ এখন কার্যকর হওয়ার পথে।