বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

স্বাস্থ্যের দুর্নীতি রোধে দুদকের সুপারিশ বাস্তবায়ন চেয়ে হাইকোর্টে রিট

আব্দুল লতিফ #

দেশের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে দুর্নীতির ১১টি খাত চিহ্নিত করে তা প্রতিরোধে মন্ত্রণালয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের দেয়া ২৫ দফা সুপারিশ বাস্তবায়নের নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়েছে হাইকোর্টে।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান ও আইনজীবী আমিনুর রহমান চৌধুরী রবিবার এ রিট করেন। এতে বিবাদী করা হয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজিসহ ছয়জনকে।

রিট আবেদনে সুপারিশের বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা প্রতিবেদন আকারে আদালতে দাখিলের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে বিক্রি করা হয়।

২০১৯ সালের ৩১ জানুয়ারি স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে দুর্নীতির ১১টি খাত চিহ্নিত করে তা প্রতিহতের জন্য মন্ত্রণালয়ে ২৫ দফা সুপারিশ করে দুদক। প্রতিবেদনে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বিভিন্ন কেনাকাটা, নিয়োগ, পদোন্নতি, বদলি, পদায়ন, চিকিৎসা দেয়া, চিকিৎসায় ব্যবহৃত ইক্যুপমেন্ট ব্যবহার, ওষুধ সরবরাহসহ বিভিন্ন দুর্নীতির উৎস চিহ্নিত করা হয়।

এসব উৎস বন্ধে দুদক যেসব সুপারিশ করে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো তথ্যবহুল সিটিজেন চার্টার প্রদর্শন, মালামাল রিসিভ কমিটিতে বিশেষজ্ঞ সংস্থার সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত, ওষুধ ও যন্ত্রপাতি কেনার ক্ষেত্রে ইজিপি টেন্ডার প্রক্রিয়া অনুসরণ, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও বেসরকারি হাসপাতাল স্থাপন ও অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে নিজস্ব স্থায়ী চিকিৎসক বা কর্মচারী এবং কার্যনির্বাহী কমিটি ইত্যাদি রয়েছে কিনা এসব বিষয় নিশ্চিত হওয়া, কর্মকর্তা-কর্মচারী বদলির নীতিমালা প্রণয়ন, চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে ওষুধের নাম না লিখে জেনেরিক নাম লেখা বাধ্যতামূলক করা, ইন্টার্নশিপ এক বছর থেকে বাড়িয়ে দুই বছর করা এবং বর্ধিত এক বছর উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালে থাকা বাধ্যতামূলক করা, চিকিৎসকদের (সরকারি/বেসরকারি) পদোন্নতির জন্য সরকারি চাকুরেদের ক্ষেত্রে পিএসসি ও বেসরকারিদের ক্ষেত্রে মহাপরিচালক (স্বাস্থ্য) এবং পিএসসির প্রতিনিধির সমন্বয়ে গঠিত কমিটির মাধ্যমে সুপারিশ দেয়া।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

স্বাস্থ্যের দুর্নীতি রোধে দুদকের সুপারিশ বাস্তবায়ন চেয়ে হাইকোর্টে রিট

প্রকাশের সময় : ০৪:৪৩:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০

আব্দুল লতিফ #

দেশের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে দুর্নীতির ১১টি খাত চিহ্নিত করে তা প্রতিরোধে মন্ত্রণালয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের দেয়া ২৫ দফা সুপারিশ বাস্তবায়নের নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়েছে হাইকোর্টে।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান ও আইনজীবী আমিনুর রহমান চৌধুরী রবিবার এ রিট করেন। এতে বিবাদী করা হয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজিসহ ছয়জনকে।

রিট আবেদনে সুপারিশের বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা প্রতিবেদন আকারে আদালতে দাখিলের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে বিক্রি করা হয়।

২০১৯ সালের ৩১ জানুয়ারি স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে দুর্নীতির ১১টি খাত চিহ্নিত করে তা প্রতিহতের জন্য মন্ত্রণালয়ে ২৫ দফা সুপারিশ করে দুদক। প্রতিবেদনে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বিভিন্ন কেনাকাটা, নিয়োগ, পদোন্নতি, বদলি, পদায়ন, চিকিৎসা দেয়া, চিকিৎসায় ব্যবহৃত ইক্যুপমেন্ট ব্যবহার, ওষুধ সরবরাহসহ বিভিন্ন দুর্নীতির উৎস চিহ্নিত করা হয়।

এসব উৎস বন্ধে দুদক যেসব সুপারিশ করে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো তথ্যবহুল সিটিজেন চার্টার প্রদর্শন, মালামাল রিসিভ কমিটিতে বিশেষজ্ঞ সংস্থার সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত, ওষুধ ও যন্ত্রপাতি কেনার ক্ষেত্রে ইজিপি টেন্ডার প্রক্রিয়া অনুসরণ, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও বেসরকারি হাসপাতাল স্থাপন ও অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে নিজস্ব স্থায়ী চিকিৎসক বা কর্মচারী এবং কার্যনির্বাহী কমিটি ইত্যাদি রয়েছে কিনা এসব বিষয় নিশ্চিত হওয়া, কর্মকর্তা-কর্মচারী বদলির নীতিমালা প্রণয়ন, চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে ওষুধের নাম না লিখে জেনেরিক নাম লেখা বাধ্যতামূলক করা, ইন্টার্নশিপ এক বছর থেকে বাড়িয়ে দুই বছর করা এবং বর্ধিত এক বছর উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালে থাকা বাধ্যতামূলক করা, চিকিৎসকদের (সরকারি/বেসরকারি) পদোন্নতির জন্য সরকারি চাকুরেদের ক্ষেত্রে পিএসসি ও বেসরকারিদের ক্ষেত্রে মহাপরিচালক (স্বাস্থ্য) এবং পিএসসির প্রতিনিধির সমন্বয়ে গঠিত কমিটির মাধ্যমে সুপারিশ দেয়া।