শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র আমদানি বন্ধ না হলে দেশ জংলি রাষ্ট্রে পরিণত হবে

বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদের। ফাইল ছবি

স্টাফ রিপোর্টার ।।

অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র আমদানি রোধ করতে না পারলে দেশ জংলি রাষ্ট্রে পরিণত হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদের।

আজ সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই মন্তব্য করেন তিনি।

জি এম কাদের বলেন, ‘অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র আমদানি রোধ করতে না পারলে দেশ জংলি রাষ্ট্রে পরিণত হবে। জাতির ভবিষ্যত ভয়াবহ হয়ে উঠবে। চরম অবনতি ঘটবে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি। তাই অবৈধ অস্ত্রের চালান রোধ করার পাশাপাশি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে সরকারকে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।’

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে সম্প্রতি যশোরের এক ছাত্রনেতা আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন। গোয়েন্দা সংস্থার কাছে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী গত কয়েক বছরে তিনি একাই সারা দেশে দুই শতাধিক আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রি করেছেন। ওই ছাত্রনেতা বলেছেন, পার্শ্ববর্তী একটি দেশের সীমান্ত দিয়ে অভিনব কায়দায় কীভাবে বাংলাদেশে অস্ত্র এনেছেন তিনি। গোয়েন্দা সংস্থার কাছে তিনি আরো বলেছেন, অস্ত্র চোরাচালান সিন্ডিকেট বাংলাদেশে কীভাবে অস্ত্র সরবরাহ করে। এর চেয়ে ভয়াবহ খবর আর হতে পারে না।’

জি এম কাদের অভিযোগ করেন, “এর আগে, ইসরাইলে তৈরি অত্যাধুনিক ‘উজি’ পিস্তলসহ এক মডেলের ছবি ভাইরাল হয়েছে। যে অত্যাধুনিক অস্ত্র আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতেও নেই। তাই সমাজের অভিভাবক মহলের মাঝে মারাত্মক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।”

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান আরো বলেন, ‘দেশের মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দ্রুততার সঙ্গে অবৈধ অস্ত্র আমদানি সিন্ডিকেট ও অস্ত্রবাজদের তালিকা তৈরি করতে হবে। বিশেষায়িত বাহিনী নিয়োগ করে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করতে হবে ও এর সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে হবে।

অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র আমদানি বন্ধ না হলে দেশ জংলি রাষ্ট্রে পরিণত হবে

প্রকাশের সময় : ০৩:০৮:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার ।।

অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র আমদানি রোধ করতে না পারলে দেশ জংলি রাষ্ট্রে পরিণত হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদের।

আজ সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই মন্তব্য করেন তিনি।

জি এম কাদের বলেন, ‘অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র আমদানি রোধ করতে না পারলে দেশ জংলি রাষ্ট্রে পরিণত হবে। জাতির ভবিষ্যত ভয়াবহ হয়ে উঠবে। চরম অবনতি ঘটবে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি। তাই অবৈধ অস্ত্রের চালান রোধ করার পাশাপাশি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে সরকারকে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।’

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে সম্প্রতি যশোরের এক ছাত্রনেতা আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন। গোয়েন্দা সংস্থার কাছে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী গত কয়েক বছরে তিনি একাই সারা দেশে দুই শতাধিক আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রি করেছেন। ওই ছাত্রনেতা বলেছেন, পার্শ্ববর্তী একটি দেশের সীমান্ত দিয়ে অভিনব কায়দায় কীভাবে বাংলাদেশে অস্ত্র এনেছেন তিনি। গোয়েন্দা সংস্থার কাছে তিনি আরো বলেছেন, অস্ত্র চোরাচালান সিন্ডিকেট বাংলাদেশে কীভাবে অস্ত্র সরবরাহ করে। এর চেয়ে ভয়াবহ খবর আর হতে পারে না।’

জি এম কাদের অভিযোগ করেন, “এর আগে, ইসরাইলে তৈরি অত্যাধুনিক ‘উজি’ পিস্তলসহ এক মডেলের ছবি ভাইরাল হয়েছে। যে অত্যাধুনিক অস্ত্র আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতেও নেই। তাই সমাজের অভিভাবক মহলের মাঝে মারাত্মক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।”

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান আরো বলেন, ‘দেশের মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দ্রুততার সঙ্গে অবৈধ অস্ত্র আমদানি সিন্ডিকেট ও অস্ত্রবাজদের তালিকা তৈরি করতে হবে। বিশেষায়িত বাহিনী নিয়োগ করে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করতে হবে ও এর সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে হবে।