শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অর্থ পাচারের তথ্য সংগ্রহ সহজ নয়

ডেস্ক রিপোর্ট ##
দেশে জাতীয় সংসদসহ বিভিন্ন জায়গায় অর্থ পাচার নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। বিদেশ থেকে এ বিষয়ে তথ্য আনার জন্য সরকার আন্তরিক নয় এ সমালোচনাও রয়েছে। কিন্তু পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন মনে করেন বিদেশ থেকে তথ্য সংগ্রহ একটি জটিল প্রক্রিয়া এবং চাইলেও বিদেশিরা বাংলাদেশকে তথ্য দেবেনা।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘অর্থ পাচারের তথ্য সংগ্রহ একটি জটিল আইনি প্রক্রিয়া। এটির আইনি দিক আছে, লজিস্টিক দিক। সুতরাং কোনও নির্দিষ্ট তথ্যের বিষয় হলে একভাবে এপ্রোচ করা যায়, কিন্তু একজন বিদেশি নাগরিক অর্থাৎ আগে বাংলাদেশি ছিল কিন্তু এখন অন্য দেশের নাগরিক, সেই ব্যক্তির সম্পর্কে তথ্য চাইলে ওইদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তথ্য দিতে বাধ্য নয়।’
তিনি বলেন, ‘তাদের দেশের প্রাইভেসি আইন দিয়ে তারা সুরক্ষিত এবং এই বিষয়টা আমাদের বোঝা দরকার। আমি দূতাবাসকে বললাম এবং দূতাবাস পেয়ে গেল বা দিয়ে দিল, বিষয়টা এত সহজ নয়। এটি একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়।’
তবে তিনি বলেন, ‘কেউ যদি অন্যায়ভাবে বা দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ পাচার করে থাকে এবং সেক্ষেত্রে যদি অপরাধমূলক কিছু থেকে থাকে, তাহলে আমরা সেটি ইন্টারপোলের মাধ্যমে তুলতে পারি। তখন তাদের কিছুটা দায়বোধ জন্মাবে। আমরা যদি র‌্যানডমলি যদি তথ্য চাই সেটি তারা দিতে বাধ্য নয়। সেক্ষেত্রে আমাদের দূতাবাসগুলি চাইলেও তারা তথ্য দিতে বাধ্য নয়।’
দোষি ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা ক্ষেত্রে পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় কোনও পদক্ষেপ নিতে পারে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের কাজ না এবং এটি কাম্যও নয়।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে যেসব দায়িত্বপ্রাপ্ত ইনস্টিটিউশন আছে যেমন বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিনানসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট, দুদক, এসবি, ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ আছে – এরা আইন ভাঙ্গার বিষয়গুলি দেখবে।’
বিভিন্ন দেশের সঙ্গে মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিসট্যান্স (এমএলএ) এর বিষয় আছে এবং সেগুলো হলে করা সাপেক্ষে কেউ যদি দোষী প্রমাণিত হয় সেক্ষেত্রে পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় বিষয়টি দেখবে। বেশ কিছু দেশের সঙ্গে আমাদের এমএলএ আছে এবং আরও কিছু দেশের সঙ্গে পাইপলাইনে আছে। এই অবকাঠামো আগে করতে হবে বলে তিনি জানান।

অর্থ পাচারের তথ্য সংগ্রহ সহজ নয়

প্রকাশের সময় : ০৫:১১:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুন ২০২১
ডেস্ক রিপোর্ট ##
দেশে জাতীয় সংসদসহ বিভিন্ন জায়গায় অর্থ পাচার নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। বিদেশ থেকে এ বিষয়ে তথ্য আনার জন্য সরকার আন্তরিক নয় এ সমালোচনাও রয়েছে। কিন্তু পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন মনে করেন বিদেশ থেকে তথ্য সংগ্রহ একটি জটিল প্রক্রিয়া এবং চাইলেও বিদেশিরা বাংলাদেশকে তথ্য দেবেনা।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘অর্থ পাচারের তথ্য সংগ্রহ একটি জটিল আইনি প্রক্রিয়া। এটির আইনি দিক আছে, লজিস্টিক দিক। সুতরাং কোনও নির্দিষ্ট তথ্যের বিষয় হলে একভাবে এপ্রোচ করা যায়, কিন্তু একজন বিদেশি নাগরিক অর্থাৎ আগে বাংলাদেশি ছিল কিন্তু এখন অন্য দেশের নাগরিক, সেই ব্যক্তির সম্পর্কে তথ্য চাইলে ওইদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তথ্য দিতে বাধ্য নয়।’
তিনি বলেন, ‘তাদের দেশের প্রাইভেসি আইন দিয়ে তারা সুরক্ষিত এবং এই বিষয়টা আমাদের বোঝা দরকার। আমি দূতাবাসকে বললাম এবং দূতাবাস পেয়ে গেল বা দিয়ে দিল, বিষয়টা এত সহজ নয়। এটি একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়।’
আরও পড়ুন… ঢাকা মেডিকেলে র‍্যাবের অভিযান, ২৪ দালাল আটক
তবে তিনি বলেন, ‘কেউ যদি অন্যায়ভাবে বা দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ পাচার করে থাকে এবং সেক্ষেত্রে যদি অপরাধমূলক কিছু থেকে থাকে, তাহলে আমরা সেটি ইন্টারপোলের মাধ্যমে তুলতে পারি। তখন তাদের কিছুটা দায়বোধ জন্মাবে। আমরা যদি র‌্যানডমলি যদি তথ্য চাই সেটি তারা দিতে বাধ্য নয়। সেক্ষেত্রে আমাদের দূতাবাসগুলি চাইলেও তারা তথ্য দিতে বাধ্য নয়।’
দোষি ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা ক্ষেত্রে পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় কোনও পদক্ষেপ নিতে পারে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের কাজ না এবং এটি কাম্যও নয়।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে যেসব দায়িত্বপ্রাপ্ত ইনস্টিটিউশন আছে যেমন বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিনানসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট, দুদক, এসবি, ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ আছে – এরা আইন ভাঙ্গার বিষয়গুলি দেখবে।’
বিভিন্ন দেশের সঙ্গে মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিসট্যান্স (এমএলএ) এর বিষয় আছে এবং সেগুলো হলে করা সাপেক্ষে কেউ যদি দোষী প্রমাণিত হয় সেক্ষেত্রে পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় বিষয়টি দেখবে। বেশ কিছু দেশের সঙ্গে আমাদের এমএলএ আছে এবং আরও কিছু দেশের সঙ্গে পাইপলাইনে আছে। এই অবকাঠামো আগে করতে হবে বলে তিনি জানান।