শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

অসহায় মুক্তিযোদ্ধার বাঁচার আকুতি, শেষ ইচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করার

মোঃ রাসেল হোসেন,বরগুনা প্রতিনিধি ##
বরিশাল জেলার সাহেবের হাট বন্দর থানার,চন্দ্রমোহন  ইউনিয়নের, ৪নং ওয়ার্ডের, চন্দ্রমোহন গ্রামের , আব্দুল করীম শিয়ালীর পুএ মুক্তিযোদ্ধা মো: শাহজাহান শিয়ালী, ভারতের হাসনাবাদ টার্কি ক‍্যাম্প এ অবস্থান করেন। ওখানে ৯ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার হিসেবে মেজর জলিলের নেতৃত্বে সেখানে ট্রেনিং প্রাপ্ত হন।
মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে ২৫ মার্চ ৭১ হানাদার পাকিস্তানিরা বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে গেলে এই মুজিবের নামে বাংলার মুক্তিপাগল বীর সন্তানেরা নয়টি মাস দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার্থে প্রাণপণ যুদ্ধ করেছিল। পূর্ব বাংলার স্বাধিকার আন্দোলন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধ তারই দিকনির্দেশনা এবং নামে পরিচালিত হয়। তিনিই প্রথম বাঙালি সরকার প্রধান যে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বাংলায় বক্তৃতা প্রদান করেছিলেন। বাঙালি জাতিসত্তা বিকাশের আন্দোলনে অনন্য ভূমিকা পালন করায় এবং এর ভিত্তিতে স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় মুজিব বাঙালি জাতির ইতিহাসে জাতির পিতা রুপে অমর হয়ে থাকবেন। তিনি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের মূল চালিকাশক্তি ও প্রানপ্রদীপ। ১৯৭২সালের  ১০জানুয়ারি দেশে ফিরে কর্পদকহীন  হাতে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পুর্নগঠিত করা, শহীদ পরিবার, আহত ও পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধা সহ এক কোটি ভারত প্রত্যাগত বাঙালি শরণার্থীর পূর্নবাসিত করে যখন দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচির ডাক দিয়ে দেশকে অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিশ্বের দরবারে বাঙালি জাতিকে এগিয়ে নেওয়ার পথে অগ্রসর হচ্ছিলেন। ঠিক তখনই ৭৫এর ১৫আগস্ট এর ভোরে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী বাংলাদেশের স্থপতি বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ধানমন্ডি রোডস্থ ৩২নম্বরের নিজ বাসভবনে দেশি ও বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীদের ইশারায়, বিশ্বাসঘাতক স্বাধীনতাবিরোধী কতিপয় সেনা কর্মকর্তার হাতে তিনি শাহাদাত বরণ করেন। সেই যুদ্ধকালীন সময়ের বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দেয়া এক সদস‍্য বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান শিয়ালী
এই অসহায় মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী সহ তার পাচ ছেলে, তিন কন্যা সন্তান নিয়ে বর্তমানে দুরবস্থায় জীবন যাপন করছেন।
স্থানীয়রা বলেন মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান শিয়ালী ও তার পরিবার বর্তমানে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। বর্তমানে তার স্ত্রী গুরুতর রোগে ভুগছেন। তার ছেলে মেয়েরা বেকারত্ব জীবন নিয়ে চলছে। বর্তমান সরকার বিভিন্ন কোটা ভিত্তিক মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের চাকরির ব‍্যবস্থা করলেও চাকরি মেলেনি শাহজাহান  এর পরিবারের কারো। বর্তমানে নোভেল করোনা ভাইরাসের কারণে আরও কর্মহীন হয়ে পরেছেন ঐ পরিবারটি।
এ বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান শিয়ালী বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুর সৈনিক হিসেবে দেশের জন্যে যুদ্ধ করেছি কোনো কিছু পাওয়ার আশায় নয়। যুদ্ধ করেছিলাম দেশ স্বাধীন করার জন্যে।
তিনি বলেন, আমি শেখ মুজিবরের আদর্শকে বুকে লালন করে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেছিলাম। যেদিন শুনি আমার নেতা শেখ মুজিবর রহমান মৃত্যুবরণ করেন সেদিন থেকে এখন পর্যন্ত তার জন্যে একটি করে রোজা রাখি।
 আমার কোনো চাওয়া পাওয়া নেই।  আমার মৃত্যুর আগ মুহুর্তে মানবতার মা জননেত্রী শেখ হাসিনার সাথে দেখা করতে চাই। এটাই আমার স্বপ্ন, এটাই   আমার আশা। সেই অপেক্ষায় এখনো চেয়ে আছি প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করার অনুমতি পাবো কিনা।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

রাজনীতিতে নাম লেখাতে যাচ্ছেন সানিয়া মির্জা

অসহায় মুক্তিযোদ্ধার বাঁচার আকুতি, শেষ ইচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করার

প্রকাশের সময় : ০৫:৪৭:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২১
মোঃ রাসেল হোসেন,বরগুনা প্রতিনিধি ##
বরিশাল জেলার সাহেবের হাট বন্দর থানার,চন্দ্রমোহন  ইউনিয়নের, ৪নং ওয়ার্ডের, চন্দ্রমোহন গ্রামের , আব্দুল করীম শিয়ালীর পুএ মুক্তিযোদ্ধা মো: শাহজাহান শিয়ালী, ভারতের হাসনাবাদ টার্কি ক‍্যাম্প এ অবস্থান করেন। ওখানে ৯ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার হিসেবে মেজর জলিলের নেতৃত্বে সেখানে ট্রেনিং প্রাপ্ত হন।
মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে ২৫ মার্চ ৭১ হানাদার পাকিস্তানিরা বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে গেলে এই মুজিবের নামে বাংলার মুক্তিপাগল বীর সন্তানেরা নয়টি মাস দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার্থে প্রাণপণ যুদ্ধ করেছিল। পূর্ব বাংলার স্বাধিকার আন্দোলন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধ তারই দিকনির্দেশনা এবং নামে পরিচালিত হয়। তিনিই প্রথম বাঙালি সরকার প্রধান যে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বাংলায় বক্তৃতা প্রদান করেছিলেন। বাঙালি জাতিসত্তা বিকাশের আন্দোলনে অনন্য ভূমিকা পালন করায় এবং এর ভিত্তিতে স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় মুজিব বাঙালি জাতির ইতিহাসে জাতির পিতা রুপে অমর হয়ে থাকবেন। তিনি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের মূল চালিকাশক্তি ও প্রানপ্রদীপ। ১৯৭২সালের  ১০জানুয়ারি দেশে ফিরে কর্পদকহীন  হাতে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পুর্নগঠিত করা, শহীদ পরিবার, আহত ও পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধা সহ এক কোটি ভারত প্রত্যাগত বাঙালি শরণার্থীর পূর্নবাসিত করে যখন দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচির ডাক দিয়ে দেশকে অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিশ্বের দরবারে বাঙালি জাতিকে এগিয়ে নেওয়ার পথে অগ্রসর হচ্ছিলেন। ঠিক তখনই ৭৫এর ১৫আগস্ট এর ভোরে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী বাংলাদেশের স্থপতি বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ধানমন্ডি রোডস্থ ৩২নম্বরের নিজ বাসভবনে দেশি ও বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীদের ইশারায়, বিশ্বাসঘাতক স্বাধীনতাবিরোধী কতিপয় সেনা কর্মকর্তার হাতে তিনি শাহাদাত বরণ করেন। সেই যুদ্ধকালীন সময়ের বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দেয়া এক সদস‍্য বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান শিয়ালী
এই অসহায় মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী সহ তার পাচ ছেলে, তিন কন্যা সন্তান নিয়ে বর্তমানে দুরবস্থায় জীবন যাপন করছেন।
স্থানীয়রা বলেন মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান শিয়ালী ও তার পরিবার বর্তমানে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। বর্তমানে তার স্ত্রী গুরুতর রোগে ভুগছেন। তার ছেলে মেয়েরা বেকারত্ব জীবন নিয়ে চলছে। বর্তমান সরকার বিভিন্ন কোটা ভিত্তিক মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের চাকরির ব‍্যবস্থা করলেও চাকরি মেলেনি শাহজাহান  এর পরিবারের কারো। বর্তমানে নোভেল করোনা ভাইরাসের কারণে আরও কর্মহীন হয়ে পরেছেন ঐ পরিবারটি।
এ বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান শিয়ালী বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুর সৈনিক হিসেবে দেশের জন্যে যুদ্ধ করেছি কোনো কিছু পাওয়ার আশায় নয়। যুদ্ধ করেছিলাম দেশ স্বাধীন করার জন্যে।
তিনি বলেন, আমি শেখ মুজিবরের আদর্শকে বুকে লালন করে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেছিলাম। যেদিন শুনি আমার নেতা শেখ মুজিবর রহমান মৃত্যুবরণ করেন সেদিন থেকে এখন পর্যন্ত তার জন্যে একটি করে রোজা রাখি।
 আমার কোনো চাওয়া পাওয়া নেই।  আমার মৃত্যুর আগ মুহুর্তে মানবতার মা জননেত্রী শেখ হাসিনার সাথে দেখা করতে চাই। এটাই আমার স্বপ্ন, এটাই   আমার আশা। সেই অপেক্ষায় এখনো চেয়ে আছি প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করার অনুমতি পাবো কিনা।