শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আওয়ামীলীগের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি-খন্দকার মোশাররফ

ঢাকা ব্যুরো।। আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে আর কোনো ধরনের নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে না বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) আয়োজিত জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব ও জাতীয় যুব সংহতির আহ্বায়ক মো. মহসীন সরকারের স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী থাকবে, এমপিরা এমপি থাকবে, মন্ত্রীরা মন্ত্রী থাকবে তারপর বলবে এবার আসেন নির্বাচন করি। এভাবে কোনো নির্বাচন সম্ভব না। এমন ধরনের কোনো নির্বাচনে বিএনপি আর যাবে না। এমন নির্বাচন আর করতেও দেওয়া হবে না।’

খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ তিনবার ভোট চুরি করে দাবি করে তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার। হাস্যকর, কতটা নির্লজ্জ হলে এমন দাবি করতে পারে ৷ তাদের নিজেদের কর্মীরাই তো ভোট দিতে পারেনি ৷ বর্তমান কমিশন তো আরও অথর্ব। তাদের পক্ষে কোনো  সুুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব নয়।’

খালেদা জিয়া সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করেছিলেন দাবি করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘বর্তমান প্রধানমন্ত্রী একসময় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে অনেক আন্দোলন করেছিলেন। কিন্তু ক্ষমতায় যাওয়ার পর তিনি নিজেই সেটা বাতিল করেছেন।’

স্থানীয় সরকার নির্বাচন প্রসঙ্গে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘স্থানীয় নির্বাচনগুলো দেখেন কী হচ্ছে। ভোট-ব্যবস্থার ওপর জনগণ আস্থা হারিয়েছে ৷ এই অবস্থান থেকে জনগণ পরিত্রাণ চায়, পরিবর্তন চায়। বাংলাদেশে আর কোনো স্বৈরাচার, ফ্যাসিস্ট সরকার চলতে পারে না। আজকে প্রধান চ্যালেঞ্জ জনগণের মুক্তি, গণতন্ত্রের মুক্তি, খালেদা জিয়ার মুক্তি। এই সরকারের অধীনে এর কোনোটাই সম্ভব না।’

দেশের জনগণ একটা ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠীর কাছে জিম্মি হয়ে আছে জানিয়ে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের নামে লক্ষাধিক মামলা চলছে। দেশ-বিদেশে এখন প্রমাণিত যে এই দেশ আর সভ্য, মানবিক, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ নেই। শুধু ক্ষমতায় থাকার জন্য একটা গোষ্ঠী সব ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে৷ ’

খন্দকার মোশাররফ আরও বলেন, ‘রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য যে মূল প্রতিষ্ঠানগুলো রয়েছে, সেগুলোতে দলীয়করণ করে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্টের বিচারকেরা সরকারের ইশারা ছাড়া কোনো  রায় দিতে পারেন না৷ এস কে সিনহার কী অবস্থা, সেটা সবাই দেখছে।’

মহসীন সরকার সম্পর্কে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘গণতন্ত্র, সার্বভৌমত্ব রক্ষার লড়াইয়ে তিনি একজন লড়াকু সৈনিক ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে জাতি অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আজ মহসীন, কাজী জাফর বেঁচে থাকলে তাঁরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারতেন।’

জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় আরও বক্তব্য রাখেন এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাগপার সভাপতি খোন্দকার লুতফর রহমান, জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন প্রমুখ।

ইসরায়েল ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র আক্রমণ’ও চালায়,তার জবাব হবে কঠোর-ইরানের প্রেসিডেন্ট

আওয়ামীলীগের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি-খন্দকার মোশাররফ

প্রকাশের সময় : ০৭:০৮:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ অক্টোবর ২০২১

ঢাকা ব্যুরো।। আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে আর কোনো ধরনের নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে না বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) আয়োজিত জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব ও জাতীয় যুব সংহতির আহ্বায়ক মো. মহসীন সরকারের স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী থাকবে, এমপিরা এমপি থাকবে, মন্ত্রীরা মন্ত্রী থাকবে তারপর বলবে এবার আসেন নির্বাচন করি। এভাবে কোনো নির্বাচন সম্ভব না। এমন ধরনের কোনো নির্বাচনে বিএনপি আর যাবে না। এমন নির্বাচন আর করতেও দেওয়া হবে না।’

খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ তিনবার ভোট চুরি করে দাবি করে তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার। হাস্যকর, কতটা নির্লজ্জ হলে এমন দাবি করতে পারে ৷ তাদের নিজেদের কর্মীরাই তো ভোট দিতে পারেনি ৷ বর্তমান কমিশন তো আরও অথর্ব। তাদের পক্ষে কোনো  সুুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব নয়।’

খালেদা জিয়া সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করেছিলেন দাবি করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘বর্তমান প্রধানমন্ত্রী একসময় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে অনেক আন্দোলন করেছিলেন। কিন্তু ক্ষমতায় যাওয়ার পর তিনি নিজেই সেটা বাতিল করেছেন।’

স্থানীয় সরকার নির্বাচন প্রসঙ্গে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘স্থানীয় নির্বাচনগুলো দেখেন কী হচ্ছে। ভোট-ব্যবস্থার ওপর জনগণ আস্থা হারিয়েছে ৷ এই অবস্থান থেকে জনগণ পরিত্রাণ চায়, পরিবর্তন চায়। বাংলাদেশে আর কোনো স্বৈরাচার, ফ্যাসিস্ট সরকার চলতে পারে না। আজকে প্রধান চ্যালেঞ্জ জনগণের মুক্তি, গণতন্ত্রের মুক্তি, খালেদা জিয়ার মুক্তি। এই সরকারের অধীনে এর কোনোটাই সম্ভব না।’

দেশের জনগণ একটা ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠীর কাছে জিম্মি হয়ে আছে জানিয়ে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের নামে লক্ষাধিক মামলা চলছে। দেশ-বিদেশে এখন প্রমাণিত যে এই দেশ আর সভ্য, মানবিক, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ নেই। শুধু ক্ষমতায় থাকার জন্য একটা গোষ্ঠী সব ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে৷ ’

খন্দকার মোশাররফ আরও বলেন, ‘রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য যে মূল প্রতিষ্ঠানগুলো রয়েছে, সেগুলোতে দলীয়করণ করে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্টের বিচারকেরা সরকারের ইশারা ছাড়া কোনো  রায় দিতে পারেন না৷ এস কে সিনহার কী অবস্থা, সেটা সবাই দেখছে।’

মহসীন সরকার সম্পর্কে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘গণতন্ত্র, সার্বভৌমত্ব রক্ষার লড়াইয়ে তিনি একজন লড়াকু সৈনিক ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে জাতি অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আজ মহসীন, কাজী জাফর বেঁচে থাকলে তাঁরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারতেন।’

জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় আরও বক্তব্য রাখেন এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাগপার সভাপতি খোন্দকার লুতফর রহমান, জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন প্রমুখ।