মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আবাসিক এলাকায় এসিডের  গোডাউন, ক্ষোভ এলাকাবাসীর

শহীদ জয় ,যশোর ব্যুরো ## 
যশোর শহরের বেজপাড়া মেইন রোডের মৎস্য অফিসের সামনের ঘনবসতি এলাকায় এসিড ও বিস্ফোরক দ্রব্যের গোডাউন খুলে চলছে রমরমা ব্যবসা। দীর্ঘদিন ধরে অরক্ষিত স্থানে রহমান কেমিক্যাল নামের এ প্রতিষ্ঠানটি এলাকার লোকজনকে যেমন হুমকির মুখে ফেলেছে তেমনি রাস্তা দিয়ে চলাচলে অসুবিধার সৃষ্টি করছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ হয়ে জেলা প্রশাসক, পুলিশসুপার, পৌরসভাসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছে। দ্রুত ক্ষতিকারক এই গোডাউন অপসরণের দাবি জানিয়েছে তারা।
ওই এলাকার আব্দুল খালেকের দেয়া অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, স্থানীয় আতিয়ার রহমান ও তার ছেলে ডাক্তার আলাউদ্দিন তার কেনা জমির রাস্তা দখল করে রহমান কেমিক্যাল নামের প্রতিষ্ঠানটি খুলেছেন। সেখানে এসিড জাতীয় দ্রব্য নিয়মিত কেনাবেচা ও মজুত করে আসছেন। এসব বিষয়ে প্রতিবাদ করলে তাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি ও এসিড নিক্ষেপের ভয় দেখানো হচ্ছে।
মঙ্গলবার সরেজমিনে ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়,জীর্ণ টিনের ঘরে ড্রাম ভর্তি করে রাখা হয়েছে নাইট্রিক এসিড, সালফিউরিক এসিডসহ বিভিন্ন বিস্ফোরক দ্রব্য। চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এসিডের ড্রাম। এসময় চোখে পড়ে রহমান কেমিক্যালকে কেন্দ্র করে
প্রতিষ্ঠানটির মালিক পক্ষ ও আব্দুল খালেকের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিষয়টি নিয়ে খারাপ পরিস্থিতিতে যাওয়ার আগেই এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে পুলিশ ডাকা হয়। একইসাথে এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা কমিটির নেতৃবৃন্দও হাজির হন সেখানে। স্থানীয় এলাকাবাসী তখন আব্দুল খালেকের পক্ষ নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি অপসারণের দাবি জানান। শেষমেষ বিষয়টি মীমাংসার জন্যে পুলিশ সন্ধ্যার পর শান্তি শৃঙ্খলা কমিটির অফিসে দু’ পক্ষকে হাজির হতে বলে। তখন দু’ পক্ষই রাজি হয়। কথা হয় স্থানীয় বাসিন্দা খুলনায় কর্মরত পুলিশের এএসপি আজম খান, অধ্যাপক মাহমুদ কবীর, মিঠু খান, অঞ্জন কুমার, সেলিম হোসেনসহ আরো কয়েকজনের সাথে। তারা সকলেই বিষয়টি নিয়ে বিব্রত ও চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন বলে জানান। একই সাথে রহমান কেমিক্যালের অপসারণ দাবি করেন তারা।
এদিকে, রাতে স্থানীয় শান্তি শৃঙ্খলা কমিটির অফিসে পুলিশ, আব্দুল খালেকসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা হাজির হলেও হাজির হননি রহমান কেমিক্যাল কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিশ্চিত করেন কোতোয়ালি থানার এসআই সেকেন্দার আবু জাফর।
এ বষয়ে এনডিসি কেএম মামুনুর রশীদ বলেন, আবাসিক ও জনবসতিপূর্ণ এলাকায় এসিডের গোডাউন থাকাটা ঝঁুিকপূর্ণ। তিনি বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখবেন বলেও জানান।
এ বিষয়ে রহমান কেমিক্যালের মালিকপক্ষের দাবি,তারা প্রশাসনের সকল নির্দেশনা মেনেই নিজ জমিতে ব্যবসা পরিচালনা করছেন। একটি মহল তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।

আবাসিক এলাকায় এসিডের  গোডাউন, ক্ষোভ এলাকাবাসীর

প্রকাশের সময় : ০৯:১৪:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুন ২০২১
শহীদ জয় ,যশোর ব্যুরো ## 
যশোর শহরের বেজপাড়া মেইন রোডের মৎস্য অফিসের সামনের ঘনবসতি এলাকায় এসিড ও বিস্ফোরক দ্রব্যের গোডাউন খুলে চলছে রমরমা ব্যবসা। দীর্ঘদিন ধরে অরক্ষিত স্থানে রহমান কেমিক্যাল নামের এ প্রতিষ্ঠানটি এলাকার লোকজনকে যেমন হুমকির মুখে ফেলেছে তেমনি রাস্তা দিয়ে চলাচলে অসুবিধার সৃষ্টি করছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ হয়ে জেলা প্রশাসক, পুলিশসুপার, পৌরসভাসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছে। দ্রুত ক্ষতিকারক এই গোডাউন অপসরণের দাবি জানিয়েছে তারা।
ওই এলাকার আব্দুল খালেকের দেয়া অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, স্থানীয় আতিয়ার রহমান ও তার ছেলে ডাক্তার আলাউদ্দিন তার কেনা জমির রাস্তা দখল করে রহমান কেমিক্যাল নামের প্রতিষ্ঠানটি খুলেছেন। সেখানে এসিড জাতীয় দ্রব্য নিয়মিত কেনাবেচা ও মজুত করে আসছেন। এসব বিষয়ে প্রতিবাদ করলে তাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি ও এসিড নিক্ষেপের ভয় দেখানো হচ্ছে।
মঙ্গলবার সরেজমিনে ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়,জীর্ণ টিনের ঘরে ড্রাম ভর্তি করে রাখা হয়েছে নাইট্রিক এসিড, সালফিউরিক এসিডসহ বিভিন্ন বিস্ফোরক দ্রব্য। চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এসিডের ড্রাম। এসময় চোখে পড়ে রহমান কেমিক্যালকে কেন্দ্র করে
প্রতিষ্ঠানটির মালিক পক্ষ ও আব্দুল খালেকের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিষয়টি নিয়ে খারাপ পরিস্থিতিতে যাওয়ার আগেই এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে পুলিশ ডাকা হয়। একইসাথে এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা কমিটির নেতৃবৃন্দও হাজির হন সেখানে। স্থানীয় এলাকাবাসী তখন আব্দুল খালেকের পক্ষ নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি অপসারণের দাবি জানান। শেষমেষ বিষয়টি মীমাংসার জন্যে পুলিশ সন্ধ্যার পর শান্তি শৃঙ্খলা কমিটির অফিসে দু’ পক্ষকে হাজির হতে বলে। তখন দু’ পক্ষই রাজি হয়। কথা হয় স্থানীয় বাসিন্দা খুলনায় কর্মরত পুলিশের এএসপি আজম খান, অধ্যাপক মাহমুদ কবীর, মিঠু খান, অঞ্জন কুমার, সেলিম হোসেনসহ আরো কয়েকজনের সাথে। তারা সকলেই বিষয়টি নিয়ে বিব্রত ও চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন বলে জানান। একই সাথে রহমান কেমিক্যালের অপসারণ দাবি করেন তারা।
এদিকে, রাতে স্থানীয় শান্তি শৃঙ্খলা কমিটির অফিসে পুলিশ, আব্দুল খালেকসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা হাজির হলেও হাজির হননি রহমান কেমিক্যাল কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিশ্চিত করেন কোতোয়ালি থানার এসআই সেকেন্দার আবু জাফর।
এ বষয়ে এনডিসি কেএম মামুনুর রশীদ বলেন, আবাসিক ও জনবসতিপূর্ণ এলাকায় এসিডের গোডাউন থাকাটা ঝঁুিকপূর্ণ। তিনি বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখবেন বলেও জানান।
এ বিষয়ে রহমান কেমিক্যালের মালিকপক্ষের দাবি,তারা প্রশাসনের সকল নির্দেশনা মেনেই নিজ জমিতে ব্যবসা পরিচালনা করছেন। একটি মহল তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।