বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আমাদের দুর্ভাগ্য, দেড় বছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলতে পারিনি: প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা অফিস ।।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শিক্ষা কার্যক্রমকে সময়োপযোগী করা একান্তভাবে অপরিহার্য। বিজ্ঞান-প্রযুক্তিসহ বিশ্ব পরিস্থিতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে শিক্ষা ব্যবস্থার আরও আধুনিকায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন সরকার প্রধান।
সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) গণভবনে জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখার খসড়ার উপস্থাপনা দেখার সময় এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা মনে করি বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি এগিয়ে যাচ্ছে, আমাদেরকে এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের যে নীতিমালা আছে নীতিমালার ভিত্তিতে আমরা তা করবো। কিন্তু আমাদের বিশ্ব পরিস্থিতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। আর এই বিজ্ঞান-প্রযুক্তির জ্ঞানের ক্ষেত্রে বিশ্ব যদি এগিয়ে যায় আমরা কোন মতেই পিছিয়ে থাকতে পারি না।
বিজ্ঞান শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি লক্ষ্য করেছি‑ আমাদের দেশের ছেলেমেয়েদের বিজ্ঞানের প্রতি অনীহা। বিজ্ঞান বিভাগে পড়ার শিক্ষার্থীই পাওয়া যেতো না‑এ রকম একটা সময় আমাদের ছিল। আমরা বিজ্ঞান শিক্ষায় গুরুত্ব দেই। আমরা ১২টা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় করে দিয়েছি।
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সরকারের চলমান বিভিন্ন কার্যক্রমের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, যেহেতু আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলছি, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার কথা উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, গতকাল থেকে আমরা স্কুল-কলেজ খুলে দিয়েছি, ধীরে ধীরে সবগুলো খুলে যাবে। ফলে আবার নতুনভাবে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে।
তিনি বলেন, আমাদের অত্যন্ত দুর্ভাগ্য, আমরা প্রায় দেড় বছরের মতো আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলতে পারিনি। যদিও অনলাইনে বা টেলিভিশনের মাধ্যমে বা ঘরে বসে- ঘরেই স্কুল‑ এই ধরনের বহুমুখী কার্যক্রম আমরা হাতে নিয়েছি, কাজ করেছি। কিন্তু স্কুলে যাওয়ার আনন্দ, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার আনন্দ থেকে শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হয়েছে।
করোনাকালীন সময়ে শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে সংশ্লিষ্টদের ভূমিকার প্রশংসা করে শেখ হাসিনা বলেন, করোনাকালীন সময়ে যখন সব কিছু স্থবির তখন আপনারা যথেষ্ট উদ্যোগ নিয়েছেন, বিশেষ করে শিক্ষার ক্ষেত্রে এখনকার যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কিভাবে শিক্ষা ব্যবস্থাটাকে আরও আমাদের শিক্ষার্থীদের কাছে আকর্ষণীয় করা যায়। আবার সেই সাথে সাথে জীবন-জীবিকার পথটাও যেন খোলে। সেই বিষয়টার দিকে বিশেষ দৃষ্টি দিয়ে আপনারা এই কার্যক্রমগুলো করেছেন।
শিক্ষার্থীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে বিভিন্ন এলাকায় নতুন নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা এ পর্যন্ত যথেষ্ট পদক্ষেপ নিয়েছি। যে সমস্ত এলাকায় স্কুল ছিল না। সেসব এলাকায় আমরা স্কুল তৈরি করে দিচ্ছি।
তিনি বলেন, আমাদের নদী-নালা, খাল-বিলের দেশ। শিশুদের যোগাযোগ ও যাতায়াতের ব্যবস্থা বিবেচনা করেই কিন্তু আমরা বিভিন্ন এলাকায় স্কুল তৈরির করার ব্যবস্থা নিয়েছি।

যশোরে প্রাচ্যসংঘের ইফতার মাহফিল

আমাদের দুর্ভাগ্য, দেড় বছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলতে পারিনি: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৩:৫২:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১
ঢাকা অফিস ।।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শিক্ষা কার্যক্রমকে সময়োপযোগী করা একান্তভাবে অপরিহার্য। বিজ্ঞান-প্রযুক্তিসহ বিশ্ব পরিস্থিতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে শিক্ষা ব্যবস্থার আরও আধুনিকায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন সরকার প্রধান।
সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) গণভবনে জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখার খসড়ার উপস্থাপনা দেখার সময় এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা মনে করি বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি এগিয়ে যাচ্ছে, আমাদেরকে এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের যে নীতিমালা আছে নীতিমালার ভিত্তিতে আমরা তা করবো। কিন্তু আমাদের বিশ্ব পরিস্থিতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। আর এই বিজ্ঞান-প্রযুক্তির জ্ঞানের ক্ষেত্রে বিশ্ব যদি এগিয়ে যায় আমরা কোন মতেই পিছিয়ে থাকতে পারি না।
বিজ্ঞান শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি লক্ষ্য করেছি‑ আমাদের দেশের ছেলেমেয়েদের বিজ্ঞানের প্রতি অনীহা। বিজ্ঞান বিভাগে পড়ার শিক্ষার্থীই পাওয়া যেতো না‑এ রকম একটা সময় আমাদের ছিল। আমরা বিজ্ঞান শিক্ষায় গুরুত্ব দেই। আমরা ১২টা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় করে দিয়েছি।
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সরকারের চলমান বিভিন্ন কার্যক্রমের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, যেহেতু আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলছি, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার কথা উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, গতকাল থেকে আমরা স্কুল-কলেজ খুলে দিয়েছি, ধীরে ধীরে সবগুলো খুলে যাবে। ফলে আবার নতুনভাবে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে।
তিনি বলেন, আমাদের অত্যন্ত দুর্ভাগ্য, আমরা প্রায় দেড় বছরের মতো আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলতে পারিনি। যদিও অনলাইনে বা টেলিভিশনের মাধ্যমে বা ঘরে বসে- ঘরেই স্কুল‑ এই ধরনের বহুমুখী কার্যক্রম আমরা হাতে নিয়েছি, কাজ করেছি। কিন্তু স্কুলে যাওয়ার আনন্দ, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার আনন্দ থেকে শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হয়েছে।
করোনাকালীন সময়ে শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে সংশ্লিষ্টদের ভূমিকার প্রশংসা করে শেখ হাসিনা বলেন, করোনাকালীন সময়ে যখন সব কিছু স্থবির তখন আপনারা যথেষ্ট উদ্যোগ নিয়েছেন, বিশেষ করে শিক্ষার ক্ষেত্রে এখনকার যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কিভাবে শিক্ষা ব্যবস্থাটাকে আরও আমাদের শিক্ষার্থীদের কাছে আকর্ষণীয় করা যায়। আবার সেই সাথে সাথে জীবন-জীবিকার পথটাও যেন খোলে। সেই বিষয়টার দিকে বিশেষ দৃষ্টি দিয়ে আপনারা এই কার্যক্রমগুলো করেছেন।
শিক্ষার্থীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে বিভিন্ন এলাকায় নতুন নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা এ পর্যন্ত যথেষ্ট পদক্ষেপ নিয়েছি। যে সমস্ত এলাকায় স্কুল ছিল না। সেসব এলাকায় আমরা স্কুল তৈরি করে দিচ্ছি।
তিনি বলেন, আমাদের নদী-নালা, খাল-বিলের দেশ। শিশুদের যোগাযোগ ও যাতায়াতের ব্যবস্থা বিবেচনা করেই কিন্তু আমরা বিভিন্ন এলাকায় স্কুল তৈরির করার ব্যবস্থা নিয়েছি।