বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আসছে কঠোর বিধিনিষেধের ‘নতুন রূপ’

স্টাফ রিপোর্টার ##

চলমান কঠোর বিধিনিষেধগুলো সময়ের প্রয়োজনে রবিবার (৬ জুন) নতুন অ্যাপ্রোচ নিয়ে হাজির হতে পারে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। শনিবার (৫ জুন) রাতে তিনি বলেন, ‘আমাদের এখন নতুনভাবে ভাবতে হচ্ছে। মনে হচ্ছে দীর্ঘদিন এর মধ্যেই থাকতে হবে, তাই বিধিনিষেধের নতুন ধরনের দিকে যেতে হবে।’
এখন থেকে যেখানে যেখানে সংক্রমণ পরিস্থিতি খারাপ হবে সেখানে সেখানে বিধিনিষেধ কঠোরসহ লকডাউন দিতে পারবে স্থানীয় প্রশাসন। কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করার নতুন পদ্ধতি এটাই।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সংক্রমিত জায়গায় সেটা হোক তৃণমূলে, সেটি একটি নির্দিষ্ট গ্রাম, হতে পারে একটি শহর, হতে পারে একটি থানা শহর, যেখানে সংক্রমণ বেশি দেখা যাবে সেখানে আমরা কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করবো। সেই জায়গাগুলোতে শ্রমজীবী মানুষের যেন খাওয়া-পরা সমস্যা না হয় সেজন্য তাদের প্রয়োজনীয় অর্থ সহযোগিতা দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে সব জেলাতেই অর্থ পৌঁছে গেছে। সংক্রমণ ঠেকাতে গ্রামের চা দোকান বন্ধ হতে পারে। সেই দোকানিকে অর্থ সাহায্য দিয়ে ঘরে রাখা হবে।
তিনি বলেন, এছাড়া আগে যে বিধিনিষেধগুলো ছিল সেগুলো আগের মতোই থাকবে। রেস্তোরাঁয় মানুষ খেতে বসতে পারবে কিন্তু ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক মানুষ প্রবেশের অনুমতি পাবে। গণপরিবহন আন্তঃজেলা পরিবহনগুলো যেন কঠোরভাবে বিধিনিষেধ মেনে চলে সেজন্য তদারকি বাড়ানো হয়েছে। সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
এর আগে গত রবিবার জাতীয় পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ বলেন, দেশে করোনা সংক্রমণ এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টও ধরা পড়ছে এলাকাভেদে। সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার বিবেচনায় যানবাহন চলাচল ও মানুষের কার্যক্রমের ওপর চলমান বিধিনিষেধ আরও বাড়ানো যেতে পারে।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে দেশে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে থাকায় গত ৫ এপ্রিল সরকার নানা বিধিনিষেধ আরোপ করে। ওই সময়ের পর থেকে ব্যাংকে লেনদেনের সময় কয়েক দফায় বদলেছে। এর সঙ্গে তাল রেখে গত সপ্তাহে পুঁজিবাজারে লেনদেনের সময়ও বাড়ানো হয়।

আসছে কঠোর বিধিনিষেধের ‘নতুন রূপ’

প্রকাশের সময় : ১২:৫৫:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ জুন ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার ##

চলমান কঠোর বিধিনিষেধগুলো সময়ের প্রয়োজনে রবিবার (৬ জুন) নতুন অ্যাপ্রোচ নিয়ে হাজির হতে পারে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। শনিবার (৫ জুন) রাতে তিনি বলেন, ‘আমাদের এখন নতুনভাবে ভাবতে হচ্ছে। মনে হচ্ছে দীর্ঘদিন এর মধ্যেই থাকতে হবে, তাই বিধিনিষেধের নতুন ধরনের দিকে যেতে হবে।’
এখন থেকে যেখানে যেখানে সংক্রমণ পরিস্থিতি খারাপ হবে সেখানে সেখানে বিধিনিষেধ কঠোরসহ লকডাউন দিতে পারবে স্থানীয় প্রশাসন। কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করার নতুন পদ্ধতি এটাই।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সংক্রমিত জায়গায় সেটা হোক তৃণমূলে, সেটি একটি নির্দিষ্ট গ্রাম, হতে পারে একটি শহর, হতে পারে একটি থানা শহর, যেখানে সংক্রমণ বেশি দেখা যাবে সেখানে আমরা কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করবো। সেই জায়গাগুলোতে শ্রমজীবী মানুষের যেন খাওয়া-পরা সমস্যা না হয় সেজন্য তাদের প্রয়োজনীয় অর্থ সহযোগিতা দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে সব জেলাতেই অর্থ পৌঁছে গেছে। সংক্রমণ ঠেকাতে গ্রামের চা দোকান বন্ধ হতে পারে। সেই দোকানিকে অর্থ সাহায্য দিয়ে ঘরে রাখা হবে।
তিনি বলেন, এছাড়া আগে যে বিধিনিষেধগুলো ছিল সেগুলো আগের মতোই থাকবে। রেস্তোরাঁয় মানুষ খেতে বসতে পারবে কিন্তু ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক মানুষ প্রবেশের অনুমতি পাবে। গণপরিবহন আন্তঃজেলা পরিবহনগুলো যেন কঠোরভাবে বিধিনিষেধ মেনে চলে সেজন্য তদারকি বাড়ানো হয়েছে। সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
এর আগে গত রবিবার জাতীয় পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ বলেন, দেশে করোনা সংক্রমণ এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টও ধরা পড়ছে এলাকাভেদে। সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার বিবেচনায় যানবাহন চলাচল ও মানুষের কার্যক্রমের ওপর চলমান বিধিনিষেধ আরও বাড়ানো যেতে পারে।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে দেশে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে থাকায় গত ৫ এপ্রিল সরকার নানা বিধিনিষেধ আরোপ করে। ওই সময়ের পর থেকে ব্যাংকে লেনদেনের সময় কয়েক দফায় বদলেছে। এর সঙ্গে তাল রেখে গত সপ্তাহে পুঁজিবাজারে লেনদেনের সময়ও বাড়ানো হয়।