শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আ.লীগে যোগ দিতে যোগাযোগ করছে বিএনপির নেতা-কর্মীরা : কাদের

ঢাকা ব্যুরো।। বিএনপির নেতৃত্ব সংকটের কারণে দলটির সর্বপর্যায়ের কিছু নেতাকর্মী আওয়ামী লীগে যোগদানের ব্যাপারেও তলে তলে যোগাযোগ করছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
শনিবার (৩ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর সংসদ ভবন এলাকায় নিজের সরকারি বাসভভনে ভার্চুয়ালি এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি নেতারা বলছেন, বেগম জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্ব নিয়ে দলে কোন সঙ্কট নেই। এ নিয়ে আমরা কিছু বলতে চাই না। তবে দলীয় নেতৃত্ব নিয়ে ঘটা করে সংকট নেই বলার মাঝেই মনে হচ্ছে ডাল মে কুছ কালা হ্যায়।’
তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি দলটির দু’জন নেতা বিএনপি ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি তাদের নেতৃত্ব সংকটকে আরো প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছে বলেই অনেকে মনে করছেন। নেতারা পদ পদবী রক্ষায় স্বীকার না করলেও ইতিমধ্যে বিএনপি’র কর্মী, সমর্থকরা এবং বুদ্ধিজীবিরাও এ নিয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছেন। বিএনপির সর্বপর্যায়ের কিছু নেতাকর্মী আওয়ামী লীগে যোগদানের ব্যাপারেও তলে তলে যোগাযোগ করছে।”
দেশে এক এগারোর ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে বলে বিএনপি নেতাদের অভিযোগ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আসলে বিএনপি নিজেরাই ষড়যন্ত্রকারী বলে সর্বত্র ষড়যন্ত্রের গন্ধ খুঁজে পায়। ষড়যন্ত্র যদি কেউ করে তাহলে তা বিএনপিই করেছে।’
বিএনপি নেতাদের আন্দোলনে হুমকি নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘করোনা মহামারির এ প্রেক্ষাপটে মানুষের সুরক্ষা যখন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার তখন বিএনপি আন্দোলনের হুমকি দিচ্ছে। আসলে জনগণের মনের ভাষা ও মাঠের পরিস্থিতি বোঝার অক্ষমতায় তারা ক্রমশ মানুষের প্রত্যাশা থেকে ছিটকে পড়ছে। মুখে বললেও তারা কখনো জনগণের অধিকার দেয়নি।’
ক্ষমতায় থাকাকালীন জনগণের অধিকার হরণ করাই ছিলো বিএনপির রাজনীতি উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, অপরদিকে অধিকার প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে এদেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই হচ্ছে আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার রাজনীতি।
তিনি বলেন, মানুষের দুঃখ-কষ্ট এবং অসহায় খেটে খাওয়া মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে আন্দোলনের ভাবনা বিএনপির জনবিচ্ছিন্ন ও অদূরদর্শী রাজনৈতিক ভাবনা বলেই জনগণ মনে করে। ভরা বর্ষায় বিএনপির এসব হাঁক-ডাক করোনায় মানুষের পাশে না দাঁড়ানোর ব্যর্থতা আড়াল করার অপচেষ্টা বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
বিএনপির কাজ হল সরকার এবং দেশের কোন অর্জনকে বিতর্কিত করা-মন্তব্য করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, নিজেদের ব্যর্থতার দায় অন্যের ওপর চাপাতে তাদের জুড়ি নেই। করোনার শুরু থেকে নানা অপপ্রচার ও গুজব ছড়িয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করছে বিএনপি, এখনও করছে। বিএনপি যত অপপ্রচারই করুক, জনগণ সু বিবেচক, তারা বিভ্রান্ত সহজে হয় না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী করোনার টিকা দেশে আসতে শুরু করেছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ইতিমধ্যেই পঁচিশ লাখ ডোজ টিকা দেশে পৌঁছেছে,আরো টিকা কয়েকদিনের মধ্যে আসবে।
জনগণকে টিকা গ্রহণের পাশাপাশি সংক্রমণের উচ্চহার রোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং চলমান লকডাউনে জনগণকে নিজ ঘরে অবস্থানের আহবান জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
গত দুইদিনের লকডাউনে যারা সরকার ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সহযোগিতা করেছেন,স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেছেন তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উপলক্ষেও আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশের আন্দোলন-সংগ্রামের সুতিকাগার হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠানের যে গৌরবের ইতিহাস বর্তমানে তা কিছুটা ফিকে হয়ে গেছে এটা অস্বীকার করা উপায় নেই। অতীতে পড়াশোনার জন্য যে খ্যাতি অর্জন করেছিলো তা এখন কমে গেছে। গবেষনায়ও পিছিয়ে। আন্তর্জাতিক র‌্যাংকিংয়েও পিছিয়ে গেছে। এটা অব্যশই আমাদের জন্য সুখবর নয়।’

আ.লীগে যোগ দিতে যোগাযোগ করছে বিএনপির নেতা-কর্মীরা : কাদের

প্রকাশের সময় : ০৬:৩৬:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ জুলাই ২০২১
ঢাকা ব্যুরো।। বিএনপির নেতৃত্ব সংকটের কারণে দলটির সর্বপর্যায়ের কিছু নেতাকর্মী আওয়ামী লীগে যোগদানের ব্যাপারেও তলে তলে যোগাযোগ করছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
শনিবার (৩ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর সংসদ ভবন এলাকায় নিজের সরকারি বাসভভনে ভার্চুয়ালি এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি নেতারা বলছেন, বেগম জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্ব নিয়ে দলে কোন সঙ্কট নেই। এ নিয়ে আমরা কিছু বলতে চাই না। তবে দলীয় নেতৃত্ব নিয়ে ঘটা করে সংকট নেই বলার মাঝেই মনে হচ্ছে ডাল মে কুছ কালা হ্যায়।’
তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি দলটির দু’জন নেতা বিএনপি ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি তাদের নেতৃত্ব সংকটকে আরো প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছে বলেই অনেকে মনে করছেন। নেতারা পদ পদবী রক্ষায় স্বীকার না করলেও ইতিমধ্যে বিএনপি’র কর্মী, সমর্থকরা এবং বুদ্ধিজীবিরাও এ নিয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছেন। বিএনপির সর্বপর্যায়ের কিছু নেতাকর্মী আওয়ামী লীগে যোগদানের ব্যাপারেও তলে তলে যোগাযোগ করছে।”
দেশে এক এগারোর ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে বলে বিএনপি নেতাদের অভিযোগ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আসলে বিএনপি নিজেরাই ষড়যন্ত্রকারী বলে সর্বত্র ষড়যন্ত্রের গন্ধ খুঁজে পায়। ষড়যন্ত্র যদি কেউ করে তাহলে তা বিএনপিই করেছে।’
বিএনপি নেতাদের আন্দোলনে হুমকি নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘করোনা মহামারির এ প্রেক্ষাপটে মানুষের সুরক্ষা যখন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার তখন বিএনপি আন্দোলনের হুমকি দিচ্ছে। আসলে জনগণের মনের ভাষা ও মাঠের পরিস্থিতি বোঝার অক্ষমতায় তারা ক্রমশ মানুষের প্রত্যাশা থেকে ছিটকে পড়ছে। মুখে বললেও তারা কখনো জনগণের অধিকার দেয়নি।’
ক্ষমতায় থাকাকালীন জনগণের অধিকার হরণ করাই ছিলো বিএনপির রাজনীতি উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, অপরদিকে অধিকার প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে এদেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই হচ্ছে আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার রাজনীতি।
তিনি বলেন, মানুষের দুঃখ-কষ্ট এবং অসহায় খেটে খাওয়া মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে আন্দোলনের ভাবনা বিএনপির জনবিচ্ছিন্ন ও অদূরদর্শী রাজনৈতিক ভাবনা বলেই জনগণ মনে করে। ভরা বর্ষায় বিএনপির এসব হাঁক-ডাক করোনায় মানুষের পাশে না দাঁড়ানোর ব্যর্থতা আড়াল করার অপচেষ্টা বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
বিএনপির কাজ হল সরকার এবং দেশের কোন অর্জনকে বিতর্কিত করা-মন্তব্য করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, নিজেদের ব্যর্থতার দায় অন্যের ওপর চাপাতে তাদের জুড়ি নেই। করোনার শুরু থেকে নানা অপপ্রচার ও গুজব ছড়িয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করছে বিএনপি, এখনও করছে। বিএনপি যত অপপ্রচারই করুক, জনগণ সু বিবেচক, তারা বিভ্রান্ত সহজে হয় না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী করোনার টিকা দেশে আসতে শুরু করেছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ইতিমধ্যেই পঁচিশ লাখ ডোজ টিকা দেশে পৌঁছেছে,আরো টিকা কয়েকদিনের মধ্যে আসবে।
জনগণকে টিকা গ্রহণের পাশাপাশি সংক্রমণের উচ্চহার রোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং চলমান লকডাউনে জনগণকে নিজ ঘরে অবস্থানের আহবান জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
গত দুইদিনের লকডাউনে যারা সরকার ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সহযোগিতা করেছেন,স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেছেন তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উপলক্ষেও আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশের আন্দোলন-সংগ্রামের সুতিকাগার হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠানের যে গৌরবের ইতিহাস বর্তমানে তা কিছুটা ফিকে হয়ে গেছে এটা অস্বীকার করা উপায় নেই। অতীতে পড়াশোনার জন্য যে খ্যাতি অর্জন করেছিলো তা এখন কমে গেছে। গবেষনায়ও পিছিয়ে। আন্তর্জাতিক র‌্যাংকিংয়েও পিছিয়ে গেছে। এটা অব্যশই আমাদের জন্য সুখবর নয়।’