শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ইউপি নির্বাচনে সংঘাতে জড়ালে সাংগঠনিক ব্যবস্থা: কাদের

ফাইল ছবি

ঢাকা ব্যুরো ।।

উনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নকে কেন্দ্র করে যারা সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ করছেন, নিজেদের মধ্যে সংঘাত-সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছেন, তাদেরকে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা বিরোধী তৎপরতা থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

আজ সোমবার (১ নভেম্বর) সকালে তার বাসভবনে ব্রিফিংকালে তিনি নির্দেশনা দেন।

তিনি বলেন, অন্যথায় সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী এবং তাদের মদদদাতা, উস্কানিদাতা নেতা ও জনপ্রতিনিধিরাও দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থার সম্মুখীন হবেন। শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী ও তাদের মদদদাতাদের বিরুদ্ধে দলীয় প্রধানের নির্দেশে তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। অপকর্ম করলে কেউ রেহাই পাবে না- শাস্তি তাদের পেতেই হবে।

আগামীকাল ২ নভেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনের কথা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ছলে-বলে কৌশলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কেউ নির্বাচিত হলে শৃঙ্খলাবিরোধী অপকর্ম বলে গণ্য করা হবে।

এদেশের ধর্মীয় উগ্রবাদ ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তির পৃষ্ঠপোষক এবং নির্ভরযোগ্য ঠিকানা হচ্ছে বিএনপি। দেশের মানুষ ভালো করেই জানেন, বাংলাদেশের জন্মের পর থেকে আজ পর্যন্ত এদেশে কারা সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে, কারা ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে। সেটা নতুন করে বলার বিষয় নয়।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় যেতে ও ক্ষমতা অবৈধভাবে ধরে রাখতে সাম্প্রদায়িক শক্তির ওপর নির্ভর করে। ১৯৯১ সালেও বিএনপি ক্ষমতায় এসেছিল সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে আঁতাত করে। দেশে ধর্মীয় উগ্রবাদ সৃষ্টি হয়েছে বিএনপির আমলে। ৬৩টি জেলায় একইসঙ্গে বোমা হামলা হয়েছিল বিএনপির শাসনামলে। শায়খ আবদুর রহমান, বাংলা ভাইরা যে উগ্রপন্থার জন্ম দিয়েছিল তার প্রশ্রয়দাতা আর আশ্রয়দাতা ছিল বিএনপি।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চায়। অন্যদিকে বিএনপি চায় মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তিকে সাথে নিয়ে দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে। সাম্প্রদায়িকতাকে অস্ত্র বানায় বিএনপি, আওয়ামী লীগ নয়। ক্ষমতায় যেতে বিএনপিই ধর্মকে আর সাম্প্রদায়িকতাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে। ধর্ম, সাম্প্রদায়িকতা আর ভারত বিরোধিতা তাদের কাছে রাজনৈতিক ট্রাম্পকার্ড।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ক্ষমতায় যেতে আওয়ামী লীগের কোন ষড়যন্ত্রের প্রয়োজন হয় না। আওয়ামী লীগ এদেশের মাটি ও মানুষের দল। বঙ্গবন্ধু এদেশের মানুষের জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছেন। আর এখন তাঁর কন্যা শেখ হাসিনা পিতার স্বপ্ন পূরণে অবিরাম লড়ে যাচ্ছেন।

 বার্তাকণ্ঠ/এন

ইউপি নির্বাচনে সংঘাতে জড়ালে সাংগঠনিক ব্যবস্থা: কাদের

প্রকাশের সময় : ০৪:০৯:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ নভেম্বর ২০২১

ঢাকা ব্যুরো ।।

উনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নকে কেন্দ্র করে যারা সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ করছেন, নিজেদের মধ্যে সংঘাত-সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছেন, তাদেরকে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা বিরোধী তৎপরতা থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

আজ সোমবার (১ নভেম্বর) সকালে তার বাসভবনে ব্রিফিংকালে তিনি নির্দেশনা দেন।

তিনি বলেন, অন্যথায় সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী এবং তাদের মদদদাতা, উস্কানিদাতা নেতা ও জনপ্রতিনিধিরাও দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থার সম্মুখীন হবেন। শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী ও তাদের মদদদাতাদের বিরুদ্ধে দলীয় প্রধানের নির্দেশে তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। অপকর্ম করলে কেউ রেহাই পাবে না- শাস্তি তাদের পেতেই হবে।

আগামীকাল ২ নভেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনের কথা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ছলে-বলে কৌশলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কেউ নির্বাচিত হলে শৃঙ্খলাবিরোধী অপকর্ম বলে গণ্য করা হবে।

এদেশের ধর্মীয় উগ্রবাদ ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তির পৃষ্ঠপোষক এবং নির্ভরযোগ্য ঠিকানা হচ্ছে বিএনপি। দেশের মানুষ ভালো করেই জানেন, বাংলাদেশের জন্মের পর থেকে আজ পর্যন্ত এদেশে কারা সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে, কারা ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে। সেটা নতুন করে বলার বিষয় নয়।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় যেতে ও ক্ষমতা অবৈধভাবে ধরে রাখতে সাম্প্রদায়িক শক্তির ওপর নির্ভর করে। ১৯৯১ সালেও বিএনপি ক্ষমতায় এসেছিল সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে আঁতাত করে। দেশে ধর্মীয় উগ্রবাদ সৃষ্টি হয়েছে বিএনপির আমলে। ৬৩টি জেলায় একইসঙ্গে বোমা হামলা হয়েছিল বিএনপির শাসনামলে। শায়খ আবদুর রহমান, বাংলা ভাইরা যে উগ্রপন্থার জন্ম দিয়েছিল তার প্রশ্রয়দাতা আর আশ্রয়দাতা ছিল বিএনপি।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চায়। অন্যদিকে বিএনপি চায় মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তিকে সাথে নিয়ে দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে। সাম্প্রদায়িকতাকে অস্ত্র বানায় বিএনপি, আওয়ামী লীগ নয়। ক্ষমতায় যেতে বিএনপিই ধর্মকে আর সাম্প্রদায়িকতাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে। ধর্ম, সাম্প্রদায়িকতা আর ভারত বিরোধিতা তাদের কাছে রাজনৈতিক ট্রাম্পকার্ড।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ক্ষমতায় যেতে আওয়ামী লীগের কোন ষড়যন্ত্রের প্রয়োজন হয় না। আওয়ামী লীগ এদেশের মাটি ও মানুষের দল। বঙ্গবন্ধু এদেশের মানুষের জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছেন। আর এখন তাঁর কন্যা শেখ হাসিনা পিতার স্বপ্ন পূরণে অবিরাম লড়ে যাচ্ছেন।

 বার্তাকণ্ঠ/এন