শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

উপহারের ঘর ভাঙার প্রতিটি ঘটনা তদন্ত করা হবে: প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা ব্যুরো ।।

দেশের গৃহহীন মানুষদের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে নির্মাণ করা উপহারের ঘর ভাঙার প্রতিটি ঘটনা তদন্ত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরই মধ্যে উপহারের ঘরগুলোর মধ্যে অন্তত ৩০০টি কে বা কারা ভেঙে ফেলেছে জানিয়ে তা তদন্তে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

জাতীয় সংসদের চতুর্দশ অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশ দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি দুর্নীতি দমন কমিশনকে বলব, যে কয়টা ঘর, ৩০০ ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, প্রত্যেকটার তদন্ত তাদের করতে হবে। তাদের রিপোর্ট দিতে হবে। এটাই আমার কথা।

তিনি বলেন, অবশ্যই এখানে দুর্নীতি করলে আমি সেই দুর্নীতি মানতে রাজি নই। গরিবকে ঘর করে দেবো, সেখান থেকেও টাকা মেরে খাবে? তদন্ত করে দেখতে হবে, যারা ভাঙল তারা কারা? তাদের উদ্দেশ্যটা কী ছিল? তারা কেন ভাঙল? দুর্নীতি দমন কমিশন যদি তদন্ত করে থাকে, করতেই হবে।

আগামীতে উপহারের ঘর নির্মাণের ক্ষেত্রে নতুন কৌশল নেয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা এখন ঠিক করেছি কংক্রিটের পিলার ও স্টিলের ফ্রেম দিয়ে ঘর করে দেবো, যাতে চট করে ভাঙতে না পারে।

উপহারের ক্ষতিগ্রস্ত ঘর নিয়ে বক্তব্য প্রধানমন্ত্রী বলেন, তদন্তে ৯টি জায়গায় আমরা দুর্নীতি পেয়েছি। ১০/১২ জায়গায় যেখানে অতিবৃষ্টি হলো, সেখানে বৃষ্টির কারণে মাটি ধসে ঘর পড়ে গেছে। সেখানে কিন্তু আরও অনেক ঘর ছিল।

তবে ৩০০টি স্থানে পরিস্থিতি ভিন্ন ছিল বলে প্রধানমন্ত্রী সংসদকে জানান, আর ৩০০টি জায়গায়, যেখানে প্রত্যেকটি ঘরের ছবি আমার কাছে আছে, পুরো তদন্ত করে দেখা গেছে সেখানে দরজা-জানালার ওপর হাতুড়ির আঘাত। ফ্লোরগুলো খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে ভাঙা। প্রশ্ন উঠবে জানলে ছবিটা নিয়ে আসতাম। আগামীতে ছবি দেখাব।

উপহারের ঘর ভাঙার প্রতিটি ঘটনা তদন্ত করা হবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৫:৪১:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১

ঢাকা ব্যুরো ।।

দেশের গৃহহীন মানুষদের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে নির্মাণ করা উপহারের ঘর ভাঙার প্রতিটি ঘটনা তদন্ত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরই মধ্যে উপহারের ঘরগুলোর মধ্যে অন্তত ৩০০টি কে বা কারা ভেঙে ফেলেছে জানিয়ে তা তদন্তে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

জাতীয় সংসদের চতুর্দশ অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশ দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি দুর্নীতি দমন কমিশনকে বলব, যে কয়টা ঘর, ৩০০ ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, প্রত্যেকটার তদন্ত তাদের করতে হবে। তাদের রিপোর্ট দিতে হবে। এটাই আমার কথা।

তিনি বলেন, অবশ্যই এখানে দুর্নীতি করলে আমি সেই দুর্নীতি মানতে রাজি নই। গরিবকে ঘর করে দেবো, সেখান থেকেও টাকা মেরে খাবে? তদন্ত করে দেখতে হবে, যারা ভাঙল তারা কারা? তাদের উদ্দেশ্যটা কী ছিল? তারা কেন ভাঙল? দুর্নীতি দমন কমিশন যদি তদন্ত করে থাকে, করতেই হবে।

আগামীতে উপহারের ঘর নির্মাণের ক্ষেত্রে নতুন কৌশল নেয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা এখন ঠিক করেছি কংক্রিটের পিলার ও স্টিলের ফ্রেম দিয়ে ঘর করে দেবো, যাতে চট করে ভাঙতে না পারে।

উপহারের ক্ষতিগ্রস্ত ঘর নিয়ে বক্তব্য প্রধানমন্ত্রী বলেন, তদন্তে ৯টি জায়গায় আমরা দুর্নীতি পেয়েছি। ১০/১২ জায়গায় যেখানে অতিবৃষ্টি হলো, সেখানে বৃষ্টির কারণে মাটি ধসে ঘর পড়ে গেছে। সেখানে কিন্তু আরও অনেক ঘর ছিল।

তবে ৩০০টি স্থানে পরিস্থিতি ভিন্ন ছিল বলে প্রধানমন্ত্রী সংসদকে জানান, আর ৩০০টি জায়গায়, যেখানে প্রত্যেকটি ঘরের ছবি আমার কাছে আছে, পুরো তদন্ত করে দেখা গেছে সেখানে দরজা-জানালার ওপর হাতুড়ির আঘাত। ফ্লোরগুলো খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে ভাঙা। প্রশ্ন উঠবে জানলে ছবিটা নিয়ে আসতাম। আগামীতে ছবি দেখাব।