শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

এহসান রিয়েল এস্টেটের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে দুই মামলা

যশোর প্রতিনিধি ।।
যশোরে এহসান রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের চেয়ারম্যানসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে দুইটি মামলা হয়েছে। যশোর শহরের চাঁচড়া ডালমিল এলাকার মৃত আব্দুস সামাদের স্ত্রী রহিমা খাতুন ও সদর উপজেলার সতীঘাটা কামালপুর গ্রামের মৃত তুরফান গাজীর ছেলে মো. ওসমান গাজীর পক্ষে মামলা দুইটি করেছেন যশোর শহরের পশ্চিম বারান্দীপাড়া কদমতলা এলাকার রবিউল ইসলামের ছেলে মফিজুল ইসলাম ইমন। অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মারুফ আহম্মেদ অভিযোগ আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আদেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলেন, এহসান রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের চেয়ারম্যান চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার নিশ্চিন্তপুরের মুফতি আবু তাহের নদভী, প্রধান নির্বাহী ব্যবস্থাপক মাগুরা সদর উপজেলার সাজিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা কাজী রবিউল ইসলাম, ব্যবস্থাপক মাগুরা সদর উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা জুনায়েদ আলী, পরিচালক মাগুরা সদর উপজেলার রাউতলা গ্রামের বাসিন্দা আজিজুর রহমান, পরিচালক কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার লক্ষীধরদিয়াড় গ্রামের বাসিন্দা মঈন উদ্দিন, পরিচালক খুলনার লবনচরা হরিণটানা রিয়াবাজার এলাকার বাসিন্দা মুফতি গোলাম রহমান, পরিচালক গাজীপুরের টঙ্গী উপজেলার চড়মাটিন এলাকার বাসিন্দা আব্দুল মতিন, মহাপরিচালক (প্রশাসন) সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার খুবদিপুর এলাকার বাসিন্দা আমিনুল হক, চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার লিচুবাগান জামালকান রোডের বাসিন্দা কলিমুল্লাহ কলি, পরিচালক খুলনার খানজাহান আলীর শিরোমনি এলাকার বাসিন্দা মিজানুর রহমান, পরিচালক যশোর সদর উপজেলার রামনগর গ্রামের বাসিন্দা মুফতি মো. ইউনুস আহম্মেদ, পরিচালক খুলনার পাইকগাছা উপজেলার মরল এলাকার বাসিন্দা মনিরুল ইসলাম, পরিচালক মাগুরা সদর উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা আইয়ুব আলী, পরিচালক যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার ধান্যপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সামসুজ্জামান টিটু, ব্যবস্থাপক (যশোর শাখা) মাগুরা সদর উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা আতাউল্লাহ, যশোরের কেশবপুর উপজেলার বেতিখোলা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হালিম, মাঠকর্মী যশোর শহরের কারবালা রোডের বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম (সোনামিয়া), উপশহর এ-ব্লক এলাকার বাসিন্দা শামসুর রহমান, সমন্বয়কারী সেক্রেটারি যশোর শহরতলীর শেখহাটি জামরুলতলা এলাকার বাসিন্দা বাবুর আলী, একই এলাকার বাসিন্দা আব্দুল হক, শার্শা উপজেলার তেবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা এস এম সেলিম উল চৌধুরী, বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার সুন্দরকাটি গ্রামের বাসিন্দা মোকসেদ আলী, যশোর সদর উপজেলার রামনগর গ্রামের বাসিন্দা মুফতি ফুরকান আহমেদ, চাঁদপুর সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের বাসিন্দা লোকমান হোসেন, যশোর শহরের পুলিশ লাইনস টালিখোলা এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী ও উপশহর ই-ব্লকের বাসিন্দা আক্তারুজ্জামান।
রহিমা খাতুনের পক্ষে দায়ের করা মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, আসামি সিরাজুল ইসলাম তারও পূর্ব পরিচিত। প্রলোভনে পড়ে রহিমা খাতুন ২০১৩ সালের ১ আগস্ট থেকে ২০১৪ সালের ১ জুলাই পর্যন্ত ওই কোম্পানিতে ১৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা লগ্নি করেন। কিন্তু কোম্পানির কর্মকর্তারা তাকে মুনাফা ও আসলটাকা কোনোটায় দেয়নি। টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করায় আদালতে মামলা করেন।
অন্যদিকে,ওসমান গাজীর পক্ষে দায়ের করা মামলায় উল্লেখ করা হয়, আসামি সিরাজুল ইসলাম মাঠকর্মী সেক্রেটারি পরিচয় দিয়ে তাকে অর্থ লগ্নি করতে প্রলোভন দেন। ওসমান গাজী ২০১০ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৪ সালের ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত ১৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা লগ্নি করেন। সর্বশেষ চলতি বছরের ২০ আগস্ট তাদের কাছে লগ্নিকৃত টাকা ফেরত চাইলে তারা তা দিতে অস্বীকার করেন।

রাজনীতিতে নাম লেখাতে যাচ্ছেন সানিয়া মির্জা

এহসান রিয়েল এস্টেটের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে দুই মামলা

প্রকাশের সময় : ০৬:০৪:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১
যশোর প্রতিনিধি ।।
যশোরে এহসান রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের চেয়ারম্যানসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে দুইটি মামলা হয়েছে। যশোর শহরের চাঁচড়া ডালমিল এলাকার মৃত আব্দুস সামাদের স্ত্রী রহিমা খাতুন ও সদর উপজেলার সতীঘাটা কামালপুর গ্রামের মৃত তুরফান গাজীর ছেলে মো. ওসমান গাজীর পক্ষে মামলা দুইটি করেছেন যশোর শহরের পশ্চিম বারান্দীপাড়া কদমতলা এলাকার রবিউল ইসলামের ছেলে মফিজুল ইসলাম ইমন। অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মারুফ আহম্মেদ অভিযোগ আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আদেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলেন, এহসান রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের চেয়ারম্যান চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার নিশ্চিন্তপুরের মুফতি আবু তাহের নদভী, প্রধান নির্বাহী ব্যবস্থাপক মাগুরা সদর উপজেলার সাজিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা কাজী রবিউল ইসলাম, ব্যবস্থাপক মাগুরা সদর উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা জুনায়েদ আলী, পরিচালক মাগুরা সদর উপজেলার রাউতলা গ্রামের বাসিন্দা আজিজুর রহমান, পরিচালক কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার লক্ষীধরদিয়াড় গ্রামের বাসিন্দা মঈন উদ্দিন, পরিচালক খুলনার লবনচরা হরিণটানা রিয়াবাজার এলাকার বাসিন্দা মুফতি গোলাম রহমান, পরিচালক গাজীপুরের টঙ্গী উপজেলার চড়মাটিন এলাকার বাসিন্দা আব্দুল মতিন, মহাপরিচালক (প্রশাসন) সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার খুবদিপুর এলাকার বাসিন্দা আমিনুল হক, চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার লিচুবাগান জামালকান রোডের বাসিন্দা কলিমুল্লাহ কলি, পরিচালক খুলনার খানজাহান আলীর শিরোমনি এলাকার বাসিন্দা মিজানুর রহমান, পরিচালক যশোর সদর উপজেলার রামনগর গ্রামের বাসিন্দা মুফতি মো. ইউনুস আহম্মেদ, পরিচালক খুলনার পাইকগাছা উপজেলার মরল এলাকার বাসিন্দা মনিরুল ইসলাম, পরিচালক মাগুরা সদর উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা আইয়ুব আলী, পরিচালক যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার ধান্যপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সামসুজ্জামান টিটু, ব্যবস্থাপক (যশোর শাখা) মাগুরা সদর উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা আতাউল্লাহ, যশোরের কেশবপুর উপজেলার বেতিখোলা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হালিম, মাঠকর্মী যশোর শহরের কারবালা রোডের বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম (সোনামিয়া), উপশহর এ-ব্লক এলাকার বাসিন্দা শামসুর রহমান, সমন্বয়কারী সেক্রেটারি যশোর শহরতলীর শেখহাটি জামরুলতলা এলাকার বাসিন্দা বাবুর আলী, একই এলাকার বাসিন্দা আব্দুল হক, শার্শা উপজেলার তেবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা এস এম সেলিম উল চৌধুরী, বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার সুন্দরকাটি গ্রামের বাসিন্দা মোকসেদ আলী, যশোর সদর উপজেলার রামনগর গ্রামের বাসিন্দা মুফতি ফুরকান আহমেদ, চাঁদপুর সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের বাসিন্দা লোকমান হোসেন, যশোর শহরের পুলিশ লাইনস টালিখোলা এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী ও উপশহর ই-ব্লকের বাসিন্দা আক্তারুজ্জামান।
রহিমা খাতুনের পক্ষে দায়ের করা মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, আসামি সিরাজুল ইসলাম তারও পূর্ব পরিচিত। প্রলোভনে পড়ে রহিমা খাতুন ২০১৩ সালের ১ আগস্ট থেকে ২০১৪ সালের ১ জুলাই পর্যন্ত ওই কোম্পানিতে ১৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা লগ্নি করেন। কিন্তু কোম্পানির কর্মকর্তারা তাকে মুনাফা ও আসলটাকা কোনোটায় দেয়নি। টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করায় আদালতে মামলা করেন।
অন্যদিকে,ওসমান গাজীর পক্ষে দায়ের করা মামলায় উল্লেখ করা হয়, আসামি সিরাজুল ইসলাম মাঠকর্মী সেক্রেটারি পরিচয় দিয়ে তাকে অর্থ লগ্নি করতে প্রলোভন দেন। ওসমান গাজী ২০১০ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৪ সালের ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত ১৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা লগ্নি করেন। সর্বশেষ চলতি বছরের ২০ আগস্ট তাদের কাছে লগ্নিকৃত টাকা ফেরত চাইলে তারা তা দিতে অস্বীকার করেন।