শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনাকালে শরণখোলায় ৪০০ বাল্যবিয়ে

নাজমুল ইসলাম, শরনখোলা (বাগেরহাট)।।

শরণখোলা উপজেলায় করোনাকালীন দেড় বছর স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকার কারণে বাল্যবিয়ে শিকার হয়েছে প্রায় ৪০০ ছাত্রী। এদের ভিতর পঞ্চম, অষ্টম,নবম, শিক্ষার্থীরা বেশি বাল্য বিবাহ শিকার হয়েছে।
বাল্যবিয়ের কারণে তাদের স্কুলে আসা বন্ধ হয়ে গেছে। এ নিয়ে একটি কমিটি গঠন করেছেন শরণখোলা উপজেলা নির্বাহি অফিসার খাতুনে জান্নাত তিনি বলেন বলেন প্রতিবেদন পেলেই আমরা কঠোর ব্যবস্থা নিব বাল্যবিয়ের সাথে যারা জড়িত।
শরণখোলা উপজেলার সদরের রায়েন্দা পাইলট হাই স্কুল যেখানে ছাত্রীসংখ্যা ৪২৭ জন কিন্তু এই করোনাকালীন দেড় বছর স্কুল বন্ধ থাকার কারণে প্রায় ৪০ জনের বাল্যবিয়ে হয়ে গেছে জানা যায় শরণখোলা উপজেলার ৩৬ টি স্কুল-মাদ্রাসা একই চিত্র দেখা যাচ্ছে করোনাকালীন সময় প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রায় ৪০০ ছাত্রীর বাল্যবিয়ে হয়ে গেছে তাদের ভিতর বেশিরভাগই পড়াশোনা করছে না বলে জানা যায়।
অষ্টম ,নবম,দশম ও দাখিলের ছাত্রীদের বেশিই বাল্য বিয়ে হয়ে গেছে। এমন কি পঞ্চম শ্রেণির অনেক ছাত্রীকেও বিয়ের পিড়িতে বসিয়েছে অভিভাবকরা। এমনই এক ছাত্রী সুমি আক্তার। সে সুন্দরবন গা ঘেঁষে দক্ষিণ খুড়িয়াখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। পড়ালেখায় প্রথম দিকেই ছিলো সে। রোল নম্বর চার কিন্তু করোনাকালে বিয়ে হয়ে গেছে তার। সে এখন স্বামীর সংসার টানা শিখছে বাবার সংসারে অভাব বেড়ে যাওয়ায় পড়াশোনাসহ তার অনেক স্বপ্ন এখন দুঃস্বপ্নে পরিণত। মাসের পর মাস শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকা আর অভাবের কারণে।
করোনাকালীন সময় এমনিতেই স্কুল বন্ধ স্কুল খুললে আমার মেয়েদেরকে বকাটে ছেলে বিরক্ত করে তার জন্য আমরা বিয়ে করে দিয়েদিছি মেয়েদের বিয়ে দেয়া হচ্ছে বলে মনে করছেন শিক্ষক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।
তারা বলেন, করোনা দুর্যোগে শিক্ষা ব্যবস্থার চরম ক্ষতি হয়ে গেছে। বাল্যবিয়ের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে আশঙ্কাজনক হাবে। এতে মেয়েরা শারীরিক ও মানসিক ক্ষতির মুখে পড়বে। বিষয়টি নজরে আসায় মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি করেছে উপজেলা প্রশাসন। ঝরে পড়াদের তালিকা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রশাসন বলছে, বেশিরভাগ বাল্যবিয়ে গোপনে হয় বলে তারা জানতে পারেন না। তবে কোন ঘটনা নজরে এসে সেটি বন্ধের ব্যবস্থা করা হয়েছে। চারটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এই উপজেলায় মাধ্যমিক বিদ্যালয় আছে ২০টি আর দাখিল আলিম মাদ্রাসা আছে ১৬টি। যেখানে ৬০ শতাংশই ছাত্রী।

 

 

করোনাকালে শরণখোলায় ৪০০ বাল্যবিয়ে

প্রকাশের সময় : ১০:০৯:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১

নাজমুল ইসলাম, শরনখোলা (বাগেরহাট)।।

শরণখোলা উপজেলায় করোনাকালীন দেড় বছর স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকার কারণে বাল্যবিয়ে শিকার হয়েছে প্রায় ৪০০ ছাত্রী। এদের ভিতর পঞ্চম, অষ্টম,নবম, শিক্ষার্থীরা বেশি বাল্য বিবাহ শিকার হয়েছে।
বাল্যবিয়ের কারণে তাদের স্কুলে আসা বন্ধ হয়ে গেছে। এ নিয়ে একটি কমিটি গঠন করেছেন শরণখোলা উপজেলা নির্বাহি অফিসার খাতুনে জান্নাত তিনি বলেন বলেন প্রতিবেদন পেলেই আমরা কঠোর ব্যবস্থা নিব বাল্যবিয়ের সাথে যারা জড়িত।
শরণখোলা উপজেলার সদরের রায়েন্দা পাইলট হাই স্কুল যেখানে ছাত্রীসংখ্যা ৪২৭ জন কিন্তু এই করোনাকালীন দেড় বছর স্কুল বন্ধ থাকার কারণে প্রায় ৪০ জনের বাল্যবিয়ে হয়ে গেছে জানা যায় শরণখোলা উপজেলার ৩৬ টি স্কুল-মাদ্রাসা একই চিত্র দেখা যাচ্ছে করোনাকালীন সময় প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রায় ৪০০ ছাত্রীর বাল্যবিয়ে হয়ে গেছে তাদের ভিতর বেশিরভাগই পড়াশোনা করছে না বলে জানা যায়।
অষ্টম ,নবম,দশম ও দাখিলের ছাত্রীদের বেশিই বাল্য বিয়ে হয়ে গেছে। এমন কি পঞ্চম শ্রেণির অনেক ছাত্রীকেও বিয়ের পিড়িতে বসিয়েছে অভিভাবকরা। এমনই এক ছাত্রী সুমি আক্তার। সে সুন্দরবন গা ঘেঁষে দক্ষিণ খুড়িয়াখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। পড়ালেখায় প্রথম দিকেই ছিলো সে। রোল নম্বর চার কিন্তু করোনাকালে বিয়ে হয়ে গেছে তার। সে এখন স্বামীর সংসার টানা শিখছে বাবার সংসারে অভাব বেড়ে যাওয়ায় পড়াশোনাসহ তার অনেক স্বপ্ন এখন দুঃস্বপ্নে পরিণত। মাসের পর মাস শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকা আর অভাবের কারণে।
করোনাকালীন সময় এমনিতেই স্কুল বন্ধ স্কুল খুললে আমার মেয়েদেরকে বকাটে ছেলে বিরক্ত করে তার জন্য আমরা বিয়ে করে দিয়েদিছি মেয়েদের বিয়ে দেয়া হচ্ছে বলে মনে করছেন শিক্ষক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।
তারা বলেন, করোনা দুর্যোগে শিক্ষা ব্যবস্থার চরম ক্ষতি হয়ে গেছে। বাল্যবিয়ের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে আশঙ্কাজনক হাবে। এতে মেয়েরা শারীরিক ও মানসিক ক্ষতির মুখে পড়বে। বিষয়টি নজরে আসায় মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি করেছে উপজেলা প্রশাসন। ঝরে পড়াদের তালিকা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রশাসন বলছে, বেশিরভাগ বাল্যবিয়ে গোপনে হয় বলে তারা জানতে পারেন না। তবে কোন ঘটনা নজরে এসে সেটি বন্ধের ব্যবস্থা করা হয়েছে। চারটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এই উপজেলায় মাধ্যমিক বিদ্যালয় আছে ২০টি আর দাখিল আলিম মাদ্রাসা আছে ১৬টি। যেখানে ৬০ শতাংশই ছাত্রী।