মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

করোনায় শুধুমাত্র ফুসফুস নয়, কিডনি বিকল হয়েও মারা যাচেছ

বার্তাকন্ঠ ডেস্ক ##  রক্তের রোগপ্রতিরোধকারী কোষগুলো এদের গিলে ফেলে। তাদের মাধ্যমেই করোনার মতো জীবাণু সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে ক্ষুদ্রান্তে পৌঁছে আন্ত্রিকের সমস্যা সৃষ্টি করে। কিডনিতে পৌঁছে তার কোষও মারতে থাকে।’
করোনা সংক্রমণের পরে মৃত্যুর কারণ শুধুমাত্র ফুসফুসের ক্ষতি নয়, কিডনি বিকল হয়ে যাওয়াও একটি কারণ। সম্প্রতি ভারতে তিনজন রোগীর ক্ষেত্রে এমন ঘটনা ঘটেছে। ময়নাতদন্তে দেখা গেছে, কিডনির কোষের মৃত্যুর কারণে শরীরে বিপুল পরিমাণে দূষিত পদার্থ জমে গিয়েছিল। এতেই তাদের মৃত্যু হয়েছে।

ভারতের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, ‘রোগ সৃষ্টিকারী ভাইরাসগুলো সব কোষের মাধ্যমে শরীরে ঢুকতে পারে না। দরকার ‘এসিই ২ রিসেপটর’ কোষ। শ্বাসনালী, ফুসফুস, অন্ত্র, হৃদযন্ত্র, কিডনিতে এই ধরনের কোষের পরিমাণ বেশি। ফুসফুস এবং শ্বাসনালীর ‘এসিই ২ রিসেপটর’গুলিতে প্রাথমিক সংক্রমণ হয়। তার পরে জীবাণুটি রক্তের সংস্পর্শে আসে।’

তিনি বলেন, ‘রক্তের রোগপ্রতিরোধকারী কোষগুলো এদের গিলে ফেলে। তাদের মাধ্যমেই করোনার মতো জীবাণু সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। ক্ষুদ্রান্তে পৌঁছে আন্ত্রিকের সমস্যা সৃষ্টি করে। কিডনিতে পৌঁছে তার কোষও মারতে থাকে।’

তিন রোগীর ময়নাতদন্তের পরে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, করোনার জীবাণু কিডনির কোষকে এমন ভাবে মেরে ফেলেছিল, বর্জ্য পদার্থ ছেঁকে নিয়ে রক্ত শুদ্ধ করার ক্ষমতা হারিয়ে যায় ওই তিন রোগীর কিডনির। চিকিৎসকদের বক্তব্য, এক একটি জীবাণু আলাদা আলাদা পরিবেশে আলাদা আলাদাভাবে কাজ করে। ভারতীয় পরিবেশে করোনার জীবাণু ব্যাপক হারে কিডনির ক্ষতি করতে পারে। এমন আশঙ্কার কথা ভাবছেন তারা।

চিকিৎসক সুবর্ণর কথায়, মার্কিন চিকিৎসকদের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রায় ৩৬ শতাংশ করোনা আক্রান্তেরই কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই প্রথম থেকেই করোনা সংক্রমণ হলে আমরা রক্তপরীক্ষা করিয়ে নিতে বলি। দেখে নিতে বলি, রক্তে দূষিত পদার্থের পরিমাণ বাড়ছে কিনা। এই কারণেই করোনা হাসপাতালগুলোতে প্রথম থেকে ডায়ালেসিসের ব্যবস্থা আছে বলে জানান সুবর্ণ। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।

ওয়ানডে তিন ম্যাচের সিরিজে শেষখেলায় শ্রীলংকাকে ৪ উইকেটে হারাল বাংলাদেশ

করোনায় শুধুমাত্র ফুসফুস নয়, কিডনি বিকল হয়েও মারা যাচেছ

প্রকাশের সময় : ০৪:২৪:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুন ২০২১
বার্তাকন্ঠ ডেস্ক ##  রক্তের রোগপ্রতিরোধকারী কোষগুলো এদের গিলে ফেলে। তাদের মাধ্যমেই করোনার মতো জীবাণু সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে ক্ষুদ্রান্তে পৌঁছে আন্ত্রিকের সমস্যা সৃষ্টি করে। কিডনিতে পৌঁছে তার কোষও মারতে থাকে।’
করোনা সংক্রমণের পরে মৃত্যুর কারণ শুধুমাত্র ফুসফুসের ক্ষতি নয়, কিডনি বিকল হয়ে যাওয়াও একটি কারণ। সম্প্রতি ভারতে তিনজন রোগীর ক্ষেত্রে এমন ঘটনা ঘটেছে। ময়নাতদন্তে দেখা গেছে, কিডনির কোষের মৃত্যুর কারণে শরীরে বিপুল পরিমাণে দূষিত পদার্থ জমে গিয়েছিল। এতেই তাদের মৃত্যু হয়েছে।

ভারতের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, ‘রোগ সৃষ্টিকারী ভাইরাসগুলো সব কোষের মাধ্যমে শরীরে ঢুকতে পারে না। দরকার ‘এসিই ২ রিসেপটর’ কোষ। শ্বাসনালী, ফুসফুস, অন্ত্র, হৃদযন্ত্র, কিডনিতে এই ধরনের কোষের পরিমাণ বেশি। ফুসফুস এবং শ্বাসনালীর ‘এসিই ২ রিসেপটর’গুলিতে প্রাথমিক সংক্রমণ হয়। তার পরে জীবাণুটি রক্তের সংস্পর্শে আসে।’

তিনি বলেন, ‘রক্তের রোগপ্রতিরোধকারী কোষগুলো এদের গিলে ফেলে। তাদের মাধ্যমেই করোনার মতো জীবাণু সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। ক্ষুদ্রান্তে পৌঁছে আন্ত্রিকের সমস্যা সৃষ্টি করে। কিডনিতে পৌঁছে তার কোষও মারতে থাকে।’

তিন রোগীর ময়নাতদন্তের পরে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, করোনার জীবাণু কিডনির কোষকে এমন ভাবে মেরে ফেলেছিল, বর্জ্য পদার্থ ছেঁকে নিয়ে রক্ত শুদ্ধ করার ক্ষমতা হারিয়ে যায় ওই তিন রোগীর কিডনির। চিকিৎসকদের বক্তব্য, এক একটি জীবাণু আলাদা আলাদা পরিবেশে আলাদা আলাদাভাবে কাজ করে। ভারতীয় পরিবেশে করোনার জীবাণু ব্যাপক হারে কিডনির ক্ষতি করতে পারে। এমন আশঙ্কার কথা ভাবছেন তারা।

চিকিৎসক সুবর্ণর কথায়, মার্কিন চিকিৎসকদের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রায় ৩৬ শতাংশ করোনা আক্রান্তেরই কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই প্রথম থেকেই করোনা সংক্রমণ হলে আমরা রক্তপরীক্ষা করিয়ে নিতে বলি। দেখে নিতে বলি, রক্তে দূষিত পদার্থের পরিমাণ বাড়ছে কিনা। এই কারণেই করোনা হাসপাতালগুলোতে প্রথম থেকে ডায়ালেসিসের ব্যবস্থা আছে বলে জানান সুবর্ণ। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।