শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কারাগারে ৫৬ নারীকে ধর্ষণ, কঙ্গোতে ১০ জনের কারাদণ্ড

সংগৃহীত ছবি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।

ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে কারাগারে ৫৬ নারীকে ধর্ষণ করে বন্দিরা। এ ঘটনায় দেশটির একটি আদালত ১০ জনকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।

জানা গেছে, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে দেশটির লুবুম্বাশির কাসাপা কারাগারে বিদ্রোহ করেন বন্দিরা। সে সময় বিদ্রোহীরা নারী বন্দিদের সেল ভেঙে ৫৬ জনকে ধর্ষণ করেন। তিনদিন ধরে চলে বিদ্রোহ।

বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

ভুক্তভোগীদের আইনজীবীরা জানান, ধর্ষণের শিকার তিনজনের মধ্যে এইচআইভি শনাক্ত হয়েছে। তাছাড়া ১৬ জন অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন।

হাউট-কাটাঙ্গার নিরাপত্তা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট পিটার এনটাঙ্গালো বলেন, ৩০ জনের বেশি নারীকে ধর্ষণের জন্য আদালত ১০ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে বিদ্রোহ চলাকালে তারা সেল ভেঙে নারী বন্দিদের ধর্ষণ করেন।

আদালতের প্রসিকিউটররা অপরাধীদের ২০ বছরের কারাদণ্ডের দাবি করেছিলেন। তবে একজন আইনজীবী জানান, রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর আমরা এই ন্যায় বিচার পেলাম।

অন্যদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী জানান, আমরা এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবো। কারাগারের খারাপ পরিবেশের কারণেই এ ঘটনা ঘটেছে বলেও জানানা তিনি। কঙ্গোসহ আফ্রিকার অনেক দেশে প্রায়ই কারাগারে বিদ্রোহের ঘটনা ঘটে।

ইসরায়েল ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র আক্রমণ’ও চালায়,তার জবাব হবে কঠোর-ইরানের প্রেসিডেন্ট

কারাগারে ৫৬ নারীকে ধর্ষণ, কঙ্গোতে ১০ জনের কারাদণ্ড

প্রকাশের সময় : ০৪:০০:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জানুয়ারী ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।

ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে কারাগারে ৫৬ নারীকে ধর্ষণ করে বন্দিরা। এ ঘটনায় দেশটির একটি আদালত ১০ জনকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।

জানা গেছে, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে দেশটির লুবুম্বাশির কাসাপা কারাগারে বিদ্রোহ করেন বন্দিরা। সে সময় বিদ্রোহীরা নারী বন্দিদের সেল ভেঙে ৫৬ জনকে ধর্ষণ করেন। তিনদিন ধরে চলে বিদ্রোহ।

বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

ভুক্তভোগীদের আইনজীবীরা জানান, ধর্ষণের শিকার তিনজনের মধ্যে এইচআইভি শনাক্ত হয়েছে। তাছাড়া ১৬ জন অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন।

হাউট-কাটাঙ্গার নিরাপত্তা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট পিটার এনটাঙ্গালো বলেন, ৩০ জনের বেশি নারীকে ধর্ষণের জন্য আদালত ১০ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে বিদ্রোহ চলাকালে তারা সেল ভেঙে নারী বন্দিদের ধর্ষণ করেন।

আদালতের প্রসিকিউটররা অপরাধীদের ২০ বছরের কারাদণ্ডের দাবি করেছিলেন। তবে একজন আইনজীবী জানান, রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর আমরা এই ন্যায় বিচার পেলাম।

অন্যদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী জানান, আমরা এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবো। কারাগারের খারাপ পরিবেশের কারণেই এ ঘটনা ঘটেছে বলেও জানানা তিনি। কঙ্গোসহ আফ্রিকার অনেক দেশে প্রায়ই কারাগারে বিদ্রোহের ঘটনা ঘটে।