শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কাশ্মীর নিয়ে ২৪ জুন সর্বদলীয় বৈঠকে ডেকেছেন নরেন্দ্র মোদি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ##  কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।  আগামী বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে ডাকা ওই বৈঠকে জম্মু-কাশ্মীরের ১৪টি রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক দুই মুখ্যমন্ত্রী ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুখ আবদুল্লাহ ও পিপল্‌স ডেমোক্র্যাটিক পার্টি নেত্রী মেহবুবা মুফতি ছাড়াও বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা গোলাম নবি আজাদ, জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক চার উপমুখ্যমন্ত্রী তারা চাঁদ, মুজাফ্ফর হুসেন বেগ, নির্মল সিংহ ও কবীন্দ্র গুপ্তকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে সেই বৈঠকে।

নয়াদিল্লি জানিয়েছে, সিপিএম নেতা মোহাম্মদ ইউসুফ তরিগামি, জম্মু অ্যান্ড কাশ্মীর আপনি পার্টি প্রধান আলতাফ বুখারি, পিপল্‌স কনফারেন্স নেতা সাজ্জাদ লোন প্রমুখদেরও প্রধানমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

জম্মু-কাশ্মীরের সাংবিধানিক মর্যাদা তুলে নেওয়ার পরে এই প্রথম সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছেন মোদি। তবে বৈঠকে যাবে কি না সে বিষয়ে এখনও কিছু জানায়নি জম্মু-কাশ্মীরের রাজনৈতিক দলগুলো। নিজেদের মধ্যে আলোচনার পরেই সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছে তারা।

বৈঠকে জম্মু-কাশ্মীরের বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থা, সেখানে বিধিনিষেধ শিথিল করা, ইন্টারনেট পরিষেবা স্বাভাবিক করা ও রাজনৈতিক নেতাদের আটক করে রাখার বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।

২০১৯ সালের আগস্টে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ করে জন্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যের মর্যাদা কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন আইনে লাদাখ এবং জম্মু-কাশ্মীর নামে দু’টি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গড়া হয়।

ত ফেব্রুয়ারি মাসে লোকসভায় ‘জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন (সংশোধন) বিল’ পেশের সময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছিলেন, ‘যখন কাশ্মীর বিভক্ত করা হয়েছিল, তখন কোথাও লেখা ছিল না যে ভূস্বর্গ রাজ্যের মর্যাদা ফিরে পাবে না। সঠিক সময়ে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হবে জম্মু ও কাশ্মীরকে।’

এর পরেই জল্পনা বাঁধে, উপত্যকাটিতে শান্তি ফেরাতে কৌশল বদলাতে পারে বিজেপি সরকার। চলতি মাসে কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংহ পাকিস্তানের একটি সংবাদমাধ্যমকে জানান, আগামী নির্বাচনে কংগ্রেস যদি কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসে, অনুচ্ছেদ ৩৭০ বিলোপের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হবে।

এরপর কংগ্রেসের সঙ্গে পাকিস্তানের গোপন আঁতাতের অভিযোগ তোলে বিজেপি। যদিও জম্মু কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লাহ দিগ্বিজয়ের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছিলেন।

কাশ্মীর নিয়ে ২৪ জুন সর্বদলীয় বৈঠকে ডেকেছেন নরেন্দ্র মোদি

প্রকাশের সময় : ০১:১৬:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুন ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ##  কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।  আগামী বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে ডাকা ওই বৈঠকে জম্মু-কাশ্মীরের ১৪টি রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক দুই মুখ্যমন্ত্রী ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুখ আবদুল্লাহ ও পিপল্‌স ডেমোক্র্যাটিক পার্টি নেত্রী মেহবুবা মুফতি ছাড়াও বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা গোলাম নবি আজাদ, জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক চার উপমুখ্যমন্ত্রী তারা চাঁদ, মুজাফ্ফর হুসেন বেগ, নির্মল সিংহ ও কবীন্দ্র গুপ্তকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে সেই বৈঠকে।

নয়াদিল্লি জানিয়েছে, সিপিএম নেতা মোহাম্মদ ইউসুফ তরিগামি, জম্মু অ্যান্ড কাশ্মীর আপনি পার্টি প্রধান আলতাফ বুখারি, পিপল্‌স কনফারেন্স নেতা সাজ্জাদ লোন প্রমুখদেরও প্রধানমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

জম্মু-কাশ্মীরের সাংবিধানিক মর্যাদা তুলে নেওয়ার পরে এই প্রথম সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছেন মোদি। তবে বৈঠকে যাবে কি না সে বিষয়ে এখনও কিছু জানায়নি জম্মু-কাশ্মীরের রাজনৈতিক দলগুলো। নিজেদের মধ্যে আলোচনার পরেই সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছে তারা।

বৈঠকে জম্মু-কাশ্মীরের বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থা, সেখানে বিধিনিষেধ শিথিল করা, ইন্টারনেট পরিষেবা স্বাভাবিক করা ও রাজনৈতিক নেতাদের আটক করে রাখার বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।

২০১৯ সালের আগস্টে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ করে জন্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যের মর্যাদা কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন আইনে লাদাখ এবং জম্মু-কাশ্মীর নামে দু’টি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গড়া হয়।

ত ফেব্রুয়ারি মাসে লোকসভায় ‘জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন (সংশোধন) বিল’ পেশের সময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছিলেন, ‘যখন কাশ্মীর বিভক্ত করা হয়েছিল, তখন কোথাও লেখা ছিল না যে ভূস্বর্গ রাজ্যের মর্যাদা ফিরে পাবে না। সঠিক সময়ে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হবে জম্মু ও কাশ্মীরকে।’

এর পরেই জল্পনা বাঁধে, উপত্যকাটিতে শান্তি ফেরাতে কৌশল বদলাতে পারে বিজেপি সরকার। চলতি মাসে কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংহ পাকিস্তানের একটি সংবাদমাধ্যমকে জানান, আগামী নির্বাচনে কংগ্রেস যদি কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসে, অনুচ্ছেদ ৩৭০ বিলোপের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হবে।

এরপর কংগ্রেসের সঙ্গে পাকিস্তানের গোপন আঁতাতের অভিযোগ তোলে বিজেপি। যদিও জম্মু কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লাহ দিগ্বিজয়ের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছিলেন।