বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুষ্টিয়ায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন

কুষ্টিয়া ব্যুরো ।।

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী গিয়াস উদ্দিনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেইসঙ্গে তাকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (০৩ জানুয়ারি) দুপুরে কুষ্টিয়া অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এ রায় দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের পিপি অনুপ কুমার নন্দী।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গিয়াস উদ্দিন ভেড়ামারা উপজেলার ধরমপুর ইউনিয়নের পাটিয়াকান্দি গ্রামের মৃত ইমান আলীর ছেলে। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক কলহের জেরে ২০১৩ সালের ১৭ অক্টোবর রাত ১টার দিকে মাফলার দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরোধ করে স্ত্রী আমেনা খাতুনকে (৩৭) হত্যা করে স্বামী গিয়াস উদ্দিন। পরে ভেড়ামারা থানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। হত্যাকাণ্ডের দিনই এলাকাবাসী গিয়াসকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন।

এ ঘটনায় ২০১৩ সালের ১৮ অক্টোবর নিহতের ভাই লিটন শেখ বাদী হয়ে ভেড়ামারা থানার একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে মামলার তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ৯ সেপ্টেম্বর আসামির বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

এরপর আদালত এ মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে ৩ জানুয়ারি রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। সাক্ষীর সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আদালত এ রায় দেন। আদালতে আসামির উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করা হয়। রায় ঘোষণার পর পরই দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

আদালতের পিপি অনুপ কুমার নন্দী বলেন, স্ত্রীকে হত্যা মামলায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় স্বামী গিয়াস উদ্দিনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বিএনপি নেতা দস্তগীর চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকীতে দোয়া মাহফিল 

কুষ্টিয়ায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন

প্রকাশের সময় : ০৩:২৮:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ জানুয়ারী ২০২২

কুষ্টিয়া ব্যুরো ।।

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী গিয়াস উদ্দিনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেইসঙ্গে তাকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (০৩ জানুয়ারি) দুপুরে কুষ্টিয়া অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এ রায় দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের পিপি অনুপ কুমার নন্দী।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গিয়াস উদ্দিন ভেড়ামারা উপজেলার ধরমপুর ইউনিয়নের পাটিয়াকান্দি গ্রামের মৃত ইমান আলীর ছেলে। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক কলহের জেরে ২০১৩ সালের ১৭ অক্টোবর রাত ১টার দিকে মাফলার দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরোধ করে স্ত্রী আমেনা খাতুনকে (৩৭) হত্যা করে স্বামী গিয়াস উদ্দিন। পরে ভেড়ামারা থানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। হত্যাকাণ্ডের দিনই এলাকাবাসী গিয়াসকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন।

এ ঘটনায় ২০১৩ সালের ১৮ অক্টোবর নিহতের ভাই লিটন শেখ বাদী হয়ে ভেড়ামারা থানার একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে মামলার তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ৯ সেপ্টেম্বর আসামির বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

এরপর আদালত এ মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে ৩ জানুয়ারি রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। সাক্ষীর সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আদালত এ রায় দেন। আদালতে আসামির উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করা হয়। রায় ঘোষণার পর পরই দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

আদালতের পিপি অনুপ কুমার নন্দী বলেন, স্ত্রীকে হত্যা মামলায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় স্বামী গিয়াস উদ্দিনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।