শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খাওয়ার সময় ৩টি কাজ করা যাবে না

নাজমা খাতুন ।। খাবার খাওয়ার মাধ্যমে একজন মানুষের ব্যক্তিত্ব প্রকাশ পায়। হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সুন্নত অনুযায়ী খাবার খাওয়া হলে সওয়াব বেড়ে যায়। কেননা, খাবার খাওয়া ইবাদত। বিশ্বনবী (সা.) খাবার খাওয়ার সময় কিছু বিষয় নিষেধ করেছেন। এবার তাহলে তিনটি বিষয়ে তুলে ধরা হলো-

হেলান দিয়ে খাবার গ্রহণ করা : হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কোনো কিছুর ওপর হেলান দিয়ে খাদ্য গ্রহণ করতে নিষেধ করেছেন। হেলান দিয়ে খাবার খাওয়ার বিভিন্ন অপকারিতা রয়েছে। এর মধ্যে পেট বড় হয়ে যাওয়া। কখনো আবার অহংকারও প্রকাশ পায়।

আবু হুজাইফা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- আমি রাসুল (সা.)-এর দরবারে ছিলাম। তিনি এক ব্যক্তিকে বলেন, আমি টেক লাগানো অবস্থায় কোনো কিছু ভক্ষণ করি না। (বুখারি, হাদিস : ৫১৯০; তিরমিজি, হাদিস : ১৯৮৬)

খাবারে ফুঁ দেয়া : খাবার ও পানীয়তে ফুঁ দেয়া উচিত নয়। এতে বিভিন্ন অসুখ হতে পারে। নবী (সা.) খাবারে ফুঁ দিতে নিষেধ করেছেন। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, হযরত মুহাম্মদ (সা.) খাবারে কখনো ফুঁ দিতেন না। কোনো কিছু পান করার সময়ও ফুঁ দেওয়া থেকে বিরত থাকতেন তিনি। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩৪১৩)

খাবারের ভুল ধরা : যিনি খাবার রান্না করেন তিনি সবদিক থেকে চেষ্টা করেন যেন খাবার ভালো হয়। এরপরও খাবারে কিছু দোষ-ত্রুটি থাকা স্বাভাবিক। এ নিয়ে ঝগড়াঝাঁটি বা গালাগালি অনুচিত। হাদিসে আছে, আল্লাহর রাসুল (সা.) কখনো খাবারের দোষ ধরতেন না। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) কখনো খাবারের দোষ-ত্রুটি ধরতেন না। তার পছন্দ হলে খেতেন, আর অপছন্দ হলে খেতেন না। (বুখারি, হাদিস : ৫১৯৮; ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩৩৮২)

খাওয়ার সময় ৩টি কাজ করা যাবে না

প্রকাশের সময় : ০৬:৫০:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১

নাজমা খাতুন ।। খাবার খাওয়ার মাধ্যমে একজন মানুষের ব্যক্তিত্ব প্রকাশ পায়। হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সুন্নত অনুযায়ী খাবার খাওয়া হলে সওয়াব বেড়ে যায়। কেননা, খাবার খাওয়া ইবাদত। বিশ্বনবী (সা.) খাবার খাওয়ার সময় কিছু বিষয় নিষেধ করেছেন। এবার তাহলে তিনটি বিষয়ে তুলে ধরা হলো-

হেলান দিয়ে খাবার গ্রহণ করা : হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কোনো কিছুর ওপর হেলান দিয়ে খাদ্য গ্রহণ করতে নিষেধ করেছেন। হেলান দিয়ে খাবার খাওয়ার বিভিন্ন অপকারিতা রয়েছে। এর মধ্যে পেট বড় হয়ে যাওয়া। কখনো আবার অহংকারও প্রকাশ পায়।

আবু হুজাইফা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- আমি রাসুল (সা.)-এর দরবারে ছিলাম। তিনি এক ব্যক্তিকে বলেন, আমি টেক লাগানো অবস্থায় কোনো কিছু ভক্ষণ করি না। (বুখারি, হাদিস : ৫১৯০; তিরমিজি, হাদিস : ১৯৮৬)

খাবারে ফুঁ দেয়া : খাবার ও পানীয়তে ফুঁ দেয়া উচিত নয়। এতে বিভিন্ন অসুখ হতে পারে। নবী (সা.) খাবারে ফুঁ দিতে নিষেধ করেছেন। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, হযরত মুহাম্মদ (সা.) খাবারে কখনো ফুঁ দিতেন না। কোনো কিছু পান করার সময়ও ফুঁ দেওয়া থেকে বিরত থাকতেন তিনি। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩৪১৩)

খাবারের ভুল ধরা : যিনি খাবার রান্না করেন তিনি সবদিক থেকে চেষ্টা করেন যেন খাবার ভালো হয়। এরপরও খাবারে কিছু দোষ-ত্রুটি থাকা স্বাভাবিক। এ নিয়ে ঝগড়াঝাঁটি বা গালাগালি অনুচিত। হাদিসে আছে, আল্লাহর রাসুল (সা.) কখনো খাবারের দোষ ধরতেন না। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) কখনো খাবারের দোষ-ত্রুটি ধরতেন না। তার পছন্দ হলে খেতেন, আর অপছন্দ হলে খেতেন না। (বুখারি, হাদিস : ৫১৯৮; ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩৩৮২)