মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গণপরিবহন: কোথায় কত ভাড়া বাড়ছে

সংগৃহীত ছবি

ঢাকা ব্যুরো ।।

ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বাড়ায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সঙ্গে বৈঠকে দর কষাকষি শেষে বাস ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। পরিবহন মালিকদের নিয়ে রোববার (৭ নভেম্বর) রাজধানীর বনানীতে বিআরটিএ দপ্তরে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শুরু হওয়া বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।

বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে পরিবহন মালিকদের দাবির মুখে গণপরিবহনে নতুন করে ভাড়া সমন্বয়ের প্রস্তাব করা হয়। প্রস্তাবনায় বাসভাড়া গড়ে ৪০ শতাংশের বেশি বাড়ানোর কথা বলা হয়।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, আলোচনা শেষে বাসের নতুন ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে দূরপাল্লার বাসে ১ দশমিক ৯০ টাকা, মহানগর বাসে ২ দশমিক ৩৫ টাকা এবং মিনিবাসে ২ দশমিক ৩৫ টাকা।

তবে পরিবহন মালিক সমিতি ২ টাকা করার প্রস্তাব করে। যদিও দূরপাল্লার বর্তমান বাসভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ১ টাকা ৪২ পয়সা। অর্থাৎ এতে কিলোমিটারপ্রতি যাত্রীকে বাড়তি ৪৮ পয়সা বেশি গুনতে হবে।

এছাড়া মহানগরে বাসভাড়া ২ দশমিক ৩৫ টাকা করার প্রস্তাব গৃহীত হয়। যার বর্তমান ভাড়া কিলোমিটারে ১ টাকা ৭০ পয়সা। যদিও প্রস্তাব করা হয়েছিল ২ টাকা ৪০ পয়সা করার। এতে ভাড়া বাড়ছে ৬৫ পয়সা। মহানগরে মিনিবাসের ভাড়া ২ দশমিক ৩৫ টাকা করার কথা বলা হয়। যার বর্তমান ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ১ টাকা ৬০ পয়সা। এটি বাড়িয়ে ২ টাকা ৪০ পয়সা করার প্রস্তাব হলেও তার ৫ পয়সা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়। এতে ভাড়া বাড়লো কিলোমিটারপ্রতি ৭৫ পয়সা।

প্রস্তাবিত ভাড়া বিআরটিএ গেজেট প্রকাশের পর তা আগামীকাল সোমবার থেকে কার্যকর হবে বলে জানা গেছে। এই খবরের পর বাস মালিক সমিতি তাদের বাস ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিয়েছে।

নতুন ভাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বাস মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ আরটিভি নিউজকে বলেন, তেলের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় মালিকরা নিজ নিজ ইচ্ছায় বাস বন্ধ করে দিয়েছিলেন। যে ভাড়া সমন্বয় করা হয়েছে তাতে তেলসহ বাসের উপকরণ খরচেও ঘাটতি আছে। শুধু জনগণের কথা বিবেচনা করে সরকারের এ সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৪ নভেম্বর থেকে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম প্রতি লিটার ভোক্তাপর্যায়ে ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা পুনর্নির্ধারণ করেছে সরকার। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারণে শুক্রবার (৫ নভেম্বর) সকাল থেকে সকল গণপরিবহন বন্ধ রেখেছে বাস, ট্রাক ও লঞ্চ মালিকরা।

 বার্তাকণ্ঠ/এন

জনপ্রিয়

গণপরিবহন: কোথায় কত ভাড়া বাড়ছে

প্রকাশের সময় : ০৫:৩৭:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ নভেম্বর ২০২১

ঢাকা ব্যুরো ।।

ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বাড়ায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সঙ্গে বৈঠকে দর কষাকষি শেষে বাস ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। পরিবহন মালিকদের নিয়ে রোববার (৭ নভেম্বর) রাজধানীর বনানীতে বিআরটিএ দপ্তরে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শুরু হওয়া বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।

বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে পরিবহন মালিকদের দাবির মুখে গণপরিবহনে নতুন করে ভাড়া সমন্বয়ের প্রস্তাব করা হয়। প্রস্তাবনায় বাসভাড়া গড়ে ৪০ শতাংশের বেশি বাড়ানোর কথা বলা হয়।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, আলোচনা শেষে বাসের নতুন ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে দূরপাল্লার বাসে ১ দশমিক ৯০ টাকা, মহানগর বাসে ২ দশমিক ৩৫ টাকা এবং মিনিবাসে ২ দশমিক ৩৫ টাকা।

তবে পরিবহন মালিক সমিতি ২ টাকা করার প্রস্তাব করে। যদিও দূরপাল্লার বর্তমান বাসভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ১ টাকা ৪২ পয়সা। অর্থাৎ এতে কিলোমিটারপ্রতি যাত্রীকে বাড়তি ৪৮ পয়সা বেশি গুনতে হবে।

এছাড়া মহানগরে বাসভাড়া ২ দশমিক ৩৫ টাকা করার প্রস্তাব গৃহীত হয়। যার বর্তমান ভাড়া কিলোমিটারে ১ টাকা ৭০ পয়সা। যদিও প্রস্তাব করা হয়েছিল ২ টাকা ৪০ পয়সা করার। এতে ভাড়া বাড়ছে ৬৫ পয়সা। মহানগরে মিনিবাসের ভাড়া ২ দশমিক ৩৫ টাকা করার কথা বলা হয়। যার বর্তমান ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ১ টাকা ৬০ পয়সা। এটি বাড়িয়ে ২ টাকা ৪০ পয়সা করার প্রস্তাব হলেও তার ৫ পয়সা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়। এতে ভাড়া বাড়লো কিলোমিটারপ্রতি ৭৫ পয়সা।

প্রস্তাবিত ভাড়া বিআরটিএ গেজেট প্রকাশের পর তা আগামীকাল সোমবার থেকে কার্যকর হবে বলে জানা গেছে। এই খবরের পর বাস মালিক সমিতি তাদের বাস ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিয়েছে।

নতুন ভাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বাস মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ আরটিভি নিউজকে বলেন, তেলের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় মালিকরা নিজ নিজ ইচ্ছায় বাস বন্ধ করে দিয়েছিলেন। যে ভাড়া সমন্বয় করা হয়েছে তাতে তেলসহ বাসের উপকরণ খরচেও ঘাটতি আছে। শুধু জনগণের কথা বিবেচনা করে সরকারের এ সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৪ নভেম্বর থেকে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম প্রতি লিটার ভোক্তাপর্যায়ে ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা পুনর্নির্ধারণ করেছে সরকার। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারণে শুক্রবার (৫ নভেম্বর) সকাল থেকে সকল গণপরিবহন বন্ধ রেখেছে বাস, ট্রাক ও লঞ্চ মালিকরা।

 বার্তাকণ্ঠ/এন