শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

গেইল ঝড়ে ক্যারিবীয়দের সিরিজ জয়

স্পোর্টস ডেস্ক ।।

ক্রিস গেইলের ঝড়ে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয় ৬ উইকেটের ব্যবধানে। হাতে বাকি ছিলো তখনো ৩১টি বল। অর্থাৎ অস্ট্রেলিয়ার ছুঁড়ে দেয়া ১৪২ রানের লক্ষ্য ১৪.৫ ওভারেই পার হয়ে যায় ক্যরিবীয়রা।

প্রথম দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও হেরেছিল অস্ট্রেলিয়া। তৃতীয় ম্যাচে এসেও হারলো। যার ফলে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজটি এরই মধ্যে জিতে নিয়েছে ক্যরিবীয়রা। বাকি দুই ম্যাচ হবে অস্ট্রেলিয়ানদের লজ্জা এড়ানোর মিশন।

গ্রস আইলেটের ড্যারেন স্যামি স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নামে অস্ট্রেলিয়া। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৪১ রান করতে সক্ষম হয় অসিরা।

শুরুটা ভালোই ছিলো তাদের ম্যাথ্যু ওয়েড এবং অ্যারোন ফিঞ্চের ব্যাটে। ৫ ওভারে ৪১ রানের জুটি গড়ে তারা বিচ্ছিন্ন হয়। ২৩ রান করে আউট হন ম্যাথ্যু ওয়েড। ৩০ রান করে আউট হন অ্যারোন ফিঞ্চ।

মিচেল মার্শ ৯ রান করে বিদায় নেন। ১৩ রান করেন অ্যালেক্স ক্যারে। মইসেস হেনরিক্স করেন ৩৩ রান। অ্যাস্টন টার্নার রানআউট হয়ে যান ২৪ রান করে। ক্যারিবীয়দের হয়ে ২ উইকেট নেন হেইডেন ওয়ালশ। ১টি করে উইকেট নেন ওবেদ ম্যাকয়, ডোয়াইন ব্র্যাভো এবং ফ্যাবিয়েন অ্যালেন।

 

জবাব দিতে নেমে শুরুতেই আন্দ্রে ফ্লেচারের উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মাত্র ৪ রান করেন তিনি। লেন্ডল সিমন্সও আউট হয়ে যান মাত্র ১৫ রান করে। তবে তিন নম্বরে নামা ক্রিস গেইলই এদিন জ্বলে ওঠেন। ৩৮ বলে ৬৭ রান করেন তিনি। ৪টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৭টি ছক্কার মার মারেন তিনি। অর্থাৎ ৫৮ রানই তিনি করেন বাউন্ডারি থেকে।

২০১৬ সালের পরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এটিই গেইলের একমাত্র পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস। এটি তার ১৪তম আন্তর্জাতিক অর্ধশতক। ম্যাচজয়ী এই ইনিংসের সাথে নিজের অর্জনের খাতায় আরেকটি রেকর্ডও লিখেছেন তিনি।

প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ১৪ হাজার রানের মালিক হয়েছেন ক্রিস গেইল। টো-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এখন তার মোট রান ১৪ হাজার ৩৮। তার ক্যারিয়ারে রয়েছে.২২টি শতক ও ৮৭টি অর্ধশতক। সর্বোচ্চ ইনিংস অপরাজিত ১৭৫। গড় ৩৭.৫৫ ও স্ট্রাইকরেট ১৪৬.০৬।

স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রানের তালিকায় গেইলের ধারেকাছে আর কেউ নেই। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১০ হাজার ৮৩৬ রান করেছেন আরেক ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটার। কাইরন পোলার্ড রয়েছেন তালিকার দুই নম্বরে।

১০ হাজার ৭৪১ রান রান করে পোলার্ডের কাঁধে নিঃশ্বাস ফেলছেন পাকিস্তানি ক্রিকেটার শোয়েব মালিক। ১০ হাজার ১৭ রান করে চতুর্থ স্থানে রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নার। এই তালিকার পঞ্চম স্থানে আছেন যৌথভাবে বিরাট কোহলি ও ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। দুজনের রান সংখ্যা ৯৯২২।

এদিন গেইলকে সঙ্গ দেন অধিনায়ক নিকোলাস পুরান। তিনি ২৭ বলে ৩২ রান করে অপরাজিত থাকেন। ডোয়াইন ব্র্যাভো ৭ রান করে আউট হয়ে যান। ৭ রানে অপরাজিত ছিলেন আন্দ্রে রাসেল। অসিদের হয়ে ৩ উইকেট নেন রিলে মেরেডিথ এবং ১ উইকেট নেন মিচেল স্টার্ক।

গেইলকে সঙ্গ দেন অধিনায়ক নিকোলাস পুরান। তিনি ২৭ বলে ৩২ রান করে অপরাজিত থাকেন। ডোয়াইন ব্র্যাভো ৭ রান করে আউট হয়ে যান। ৭ রানে অপরাজিত ছিলেন আন্দ্রে রাসেল। অসিদের হয়ে ৩ উইকেট নেন রিলে মেরেডিথ এবং ১ উইকেট নেন মিচেল স্টার্ক।

রাজনীতিতে নাম লেখাতে যাচ্ছেন সানিয়া মির্জা

গেইল ঝড়ে ক্যারিবীয়দের সিরিজ জয়

প্রকাশের সময় : ০৩:৪৬:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ জুলাই ২০২১

স্পোর্টস ডেস্ক ।।

ক্রিস গেইলের ঝড়ে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয় ৬ উইকেটের ব্যবধানে। হাতে বাকি ছিলো তখনো ৩১টি বল। অর্থাৎ অস্ট্রেলিয়ার ছুঁড়ে দেয়া ১৪২ রানের লক্ষ্য ১৪.৫ ওভারেই পার হয়ে যায় ক্যরিবীয়রা।

প্রথম দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও হেরেছিল অস্ট্রেলিয়া। তৃতীয় ম্যাচে এসেও হারলো। যার ফলে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজটি এরই মধ্যে জিতে নিয়েছে ক্যরিবীয়রা। বাকি দুই ম্যাচ হবে অস্ট্রেলিয়ানদের লজ্জা এড়ানোর মিশন।

গ্রস আইলেটের ড্যারেন স্যামি স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নামে অস্ট্রেলিয়া। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৪১ রান করতে সক্ষম হয় অসিরা।

শুরুটা ভালোই ছিলো তাদের ম্যাথ্যু ওয়েড এবং অ্যারোন ফিঞ্চের ব্যাটে। ৫ ওভারে ৪১ রানের জুটি গড়ে তারা বিচ্ছিন্ন হয়। ২৩ রান করে আউট হন ম্যাথ্যু ওয়েড। ৩০ রান করে আউট হন অ্যারোন ফিঞ্চ।

মিচেল মার্শ ৯ রান করে বিদায় নেন। ১৩ রান করেন অ্যালেক্স ক্যারে। মইসেস হেনরিক্স করেন ৩৩ রান। অ্যাস্টন টার্নার রানআউট হয়ে যান ২৪ রান করে। ক্যারিবীয়দের হয়ে ২ উইকেট নেন হেইডেন ওয়ালশ। ১টি করে উইকেট নেন ওবেদ ম্যাকয়, ডোয়াইন ব্র্যাভো এবং ফ্যাবিয়েন অ্যালেন।

 

জবাব দিতে নেমে শুরুতেই আন্দ্রে ফ্লেচারের উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মাত্র ৪ রান করেন তিনি। লেন্ডল সিমন্সও আউট হয়ে যান মাত্র ১৫ রান করে। তবে তিন নম্বরে নামা ক্রিস গেইলই এদিন জ্বলে ওঠেন। ৩৮ বলে ৬৭ রান করেন তিনি। ৪টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৭টি ছক্কার মার মারেন তিনি। অর্থাৎ ৫৮ রানই তিনি করেন বাউন্ডারি থেকে।

২০১৬ সালের পরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এটিই গেইলের একমাত্র পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস। এটি তার ১৪তম আন্তর্জাতিক অর্ধশতক। ম্যাচজয়ী এই ইনিংসের সাথে নিজের অর্জনের খাতায় আরেকটি রেকর্ডও লিখেছেন তিনি।

প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ১৪ হাজার রানের মালিক হয়েছেন ক্রিস গেইল। টো-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এখন তার মোট রান ১৪ হাজার ৩৮। তার ক্যারিয়ারে রয়েছে.২২টি শতক ও ৮৭টি অর্ধশতক। সর্বোচ্চ ইনিংস অপরাজিত ১৭৫। গড় ৩৭.৫৫ ও স্ট্রাইকরেট ১৪৬.০৬।

স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রানের তালিকায় গেইলের ধারেকাছে আর কেউ নেই। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১০ হাজার ৮৩৬ রান করেছেন আরেক ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটার। কাইরন পোলার্ড রয়েছেন তালিকার দুই নম্বরে।

১০ হাজার ৭৪১ রান রান করে পোলার্ডের কাঁধে নিঃশ্বাস ফেলছেন পাকিস্তানি ক্রিকেটার শোয়েব মালিক। ১০ হাজার ১৭ রান করে চতুর্থ স্থানে রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নার। এই তালিকার পঞ্চম স্থানে আছেন যৌথভাবে বিরাট কোহলি ও ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। দুজনের রান সংখ্যা ৯৯২২।

এদিন গেইলকে সঙ্গ দেন অধিনায়ক নিকোলাস পুরান। তিনি ২৭ বলে ৩২ রান করে অপরাজিত থাকেন। ডোয়াইন ব্র্যাভো ৭ রান করে আউট হয়ে যান। ৭ রানে অপরাজিত ছিলেন আন্দ্রে রাসেল। অসিদের হয়ে ৩ উইকেট নেন রিলে মেরেডিথ এবং ১ উইকেট নেন মিচেল স্টার্ক।

গেইলকে সঙ্গ দেন অধিনায়ক নিকোলাস পুরান। তিনি ২৭ বলে ৩২ রান করে অপরাজিত থাকেন। ডোয়াইন ব্র্যাভো ৭ রান করে আউট হয়ে যান। ৭ রানে অপরাজিত ছিলেন আন্দ্রে রাসেল। অসিদের হয়ে ৩ উইকেট নেন রিলে মেরেডিথ এবং ১ উইকেট নেন মিচেল স্টার্ক।