শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চাঁদপুরের মাছ ঘাট এখন ইলিশে সয়লাব

চাঁদপুর অফিস ।।  দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে বড় মাছের ঘাট হিসেবে পরিচিত চাঁদপুর মাছ ঘাট। দীর্ঘদিন নদীতে মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকায় আড়তদার ও শ্রমিকরা অলস সময় পার করতেন এখানে। কিন্তু গত কয়েকদিনে সরব হয়ে উঠেছে ঘাটটি। বেড়েছে আড়তদার ও শ্রমিকদের কর্মব্যস্ততা।

ঘাটে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিদিন প্রায় এক হাজার মণের অধিক ইলিশ আসছে ঘাটে। সেখানে চাঁদপুরের মেঘনায় ইলিশের তুলনায় ভোলা-বরিশাল, সন্দ্বীপ-হাতিয়ার ইলিশের পরিমাণ অনেক বেশি। ফলে চাঁদপুরের ইলিশের দাম এখনো ক্রেতাদের হাতের নাগালে আসেনি।

সোমবার (২৬ জুলাই) সরেজমিনে মাছ ঘাট ঘুরে দেখা যায়, হাঁকডাক আর নিলামে প্রাণবন্ত চাঁদপুর মাছ ঘাট। কেউ প্যাকেট করার কাজে ব্যস্ত, কেউবা ডেলিভারির জন্য ক্রেতার নাম লিখছেন প্যাকেটের গায়ে। সবকিছুতেই ছিল ব্যস্ততার ছাপ।

ঘাটে সম্রাট নামে আড়তদার বলেন, ৮০০-৯০০ গ্রাম ওজনের চাঁদপুরের ইলিশের দাম এক হাজার টাকা, ১০০০-১২০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের দাম সাড়ে এক হাজার ২০০ টাকা। দেড় কেজি বা তার বেশি ওজনের ইলিশের দাম এক হাজার ৮০০ টাকা।

অপরদিকে ভোলা, বরিশাল সন্দ্বীপ-হাতিয়া থেকে আসা ৮০০-৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের দাম ৮০০ টাকা, ১০০০-১২০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের দাম সাড়ে ১২০০ টাকা। দেড় কেজি বা তার বেশি ওজনের ইলিশের দাম এক হাজার ৫০০ টাকা।

রাকিব নামের এক ব্যবসায়ী জানান, ‘সাগরের ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ায় ঘাটে মাছ আসা বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু লকডাউনের কারণে কোনো ক্রেতা ঘাটে আসতে পারছেন না। এতে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন।’

এ বিষয়ে চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমিতির সভাপতি আব্দুল বারী জমাদার মানিক বলেন, ‘সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঘাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে সার্বক্ষণিক তৎপর রয়েছে জেলা মৎস্য বণিক সমিতি। আমরা হ্যান্ড মাইকের সব সময় দূরত্ব বজায় রাখার জন্য সবাইকে সচেতন করছি। এছাড়াও কর্মরত শ্রমিকদেরকে সমিতির পক্ষ থেকে মাস্ক এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেয়া হচ্ছে।’

চাঁদপুরের মাছ ঘাট এখন ইলিশে সয়লাব

প্রকাশের সময় : ০৩:০৫:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ জুলাই ২০২১

চাঁদপুর অফিস ।।  দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে বড় মাছের ঘাট হিসেবে পরিচিত চাঁদপুর মাছ ঘাট। দীর্ঘদিন নদীতে মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকায় আড়তদার ও শ্রমিকরা অলস সময় পার করতেন এখানে। কিন্তু গত কয়েকদিনে সরব হয়ে উঠেছে ঘাটটি। বেড়েছে আড়তদার ও শ্রমিকদের কর্মব্যস্ততা।

ঘাটে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিদিন প্রায় এক হাজার মণের অধিক ইলিশ আসছে ঘাটে। সেখানে চাঁদপুরের মেঘনায় ইলিশের তুলনায় ভোলা-বরিশাল, সন্দ্বীপ-হাতিয়ার ইলিশের পরিমাণ অনেক বেশি। ফলে চাঁদপুরের ইলিশের দাম এখনো ক্রেতাদের হাতের নাগালে আসেনি।

সোমবার (২৬ জুলাই) সরেজমিনে মাছ ঘাট ঘুরে দেখা যায়, হাঁকডাক আর নিলামে প্রাণবন্ত চাঁদপুর মাছ ঘাট। কেউ প্যাকেট করার কাজে ব্যস্ত, কেউবা ডেলিভারির জন্য ক্রেতার নাম লিখছেন প্যাকেটের গায়ে। সবকিছুতেই ছিল ব্যস্ততার ছাপ।

ঘাটে সম্রাট নামে আড়তদার বলেন, ৮০০-৯০০ গ্রাম ওজনের চাঁদপুরের ইলিশের দাম এক হাজার টাকা, ১০০০-১২০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের দাম সাড়ে এক হাজার ২০০ টাকা। দেড় কেজি বা তার বেশি ওজনের ইলিশের দাম এক হাজার ৮০০ টাকা।

অপরদিকে ভোলা, বরিশাল সন্দ্বীপ-হাতিয়া থেকে আসা ৮০০-৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের দাম ৮০০ টাকা, ১০০০-১২০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের দাম সাড়ে ১২০০ টাকা। দেড় কেজি বা তার বেশি ওজনের ইলিশের দাম এক হাজার ৫০০ টাকা।

রাকিব নামের এক ব্যবসায়ী জানান, ‘সাগরের ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ায় ঘাটে মাছ আসা বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু লকডাউনের কারণে কোনো ক্রেতা ঘাটে আসতে পারছেন না। এতে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন।’

এ বিষয়ে চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমিতির সভাপতি আব্দুল বারী জমাদার মানিক বলেন, ‘সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঘাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে সার্বক্ষণিক তৎপর রয়েছে জেলা মৎস্য বণিক সমিতি। আমরা হ্যান্ড মাইকের সব সময় দূরত্ব বজায় রাখার জন্য সবাইকে সচেতন করছি। এছাড়াও কর্মরত শ্রমিকদেরকে সমিতির পক্ষ থেকে মাস্ক এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেয়া হচ্ছে।’