মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চীন-ভারত সীমান্ত পরিদর্শন করলেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং

আন্তর্জাতিক ডেস্ক।। চীন-ভারত সীমান্তে প্রথম কোনও চীনা শীর্ষ নেতা ঘুরে গেলেন। ভারতের অরুণাচল প্রদেশ সংলগ্ন চীন-তিব্বত সীমান্ত পরিদর্শন শেষে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তিব্বতও সফর করেন। চীনের কোনও প্রেসিডেন্টের তিব্বত সফরও প্রথম ঘটনা।

শুক্রবার (২৩ জুলাই) সরকারিভাবে নিশ্চিতকরণের পর  বিলম্বিত সম্প্রচারে চীনা সংবাদমাধ্যম জানায়, বুধবার (২১ জুলাই) তিব্বতে আসেন শি জিনপিং। সীমান্তবর্তী ভারতের অরুণাচল প্রদেশের নিয়াংচি এয়ারপোর্টে নামার পরে রেললাইন পরিদর্শন করেন তিনি। ভারতের সীমান্ত-ঘেঁষে তৈরি হচ্ছে এই দ্রুতগামী ট্রেনের লাইন, যা চীনের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে সীমান্তের যোগাযোগ ত্বরান্বিত করবে। সহজ হবে লোক ও পণ্য চলাচলা, সামরিক বাহিনী ও সরঞ্জামের যাতায়াত।

চীনা প্রেসিডেন্ট ব্রহ্মপুত্র নদও পরিদর্শন করেন। ব্রহ্মপুত্র নদকে তিব্বতি ভাষায় ইয়ারলুং জাংবো নদ বলা হয়, যে নদের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর জল-চাহিদার সিংহভাগ পূরণ হয়।

চীনা সর্বোচ্চ নেতার সফর শেষে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তিব্বতের রাজধানী লাসা সফর করছেন, যা তিনদিন পর শুক্রবার (২৩ জুলাই) আনুষ্ঠানিকভাবে চীনা সরকারের তরফে নিশ্চিত ও প্রচার করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট হিসেবে এই প্রথম তিব্বত সফর করলেও দশ বছর আগে ২০১১ সালে তিনি তিব্বত সফর করেছিলেন।

জানা গেছে, এবারের সফরে এসে নদীতীর সংলগ্ন এলাকা, রেললাইন সহ নানা এলাকা খুঁটিয়ে দেখেন চীনা প্রেসিডেন্ট। কিন্তু কেন হঠাৎ চীনা প্রেসিডেন্ট এই সফর করলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ভারতীয় মিডিয়ায়। ভারতীয় নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের একাংশের বক্তব্য, ‘তিব্বতকে চীনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে তুলে ধরতে চাইছে, সেই কারণেই কৌশলে এই সফর।’

অন্যদিকে ভারতের অরুণাচল প্রদেশকে দক্ষিণ তিব্বতের অংশ হিসাবে দাবি করেছে চীন। ভারত যদিও তীব্র ভাবে চীনের তোলা এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে, তথাপি চীন কখনওই আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের দাবি থেকে সরে আসে নি।

উল্লেখ্য,  ভারত ও চীনের মাঝে ‘এলএসি’ বা ‘লাইন অব কন্ট্রোল’ রয়েছে, যে সীমারেখা নিয়ে আকসারই সংঘাতের সৃষ্টি হয় চীন ও ভারতের মধ্যে। বেশ কয়েকটি বড় সৈন্য সমাবেশ ছাড়াও সংঘাতপূর্ণ ও উত্তেজনাকর এই সীমান্তে একাধিক ছোটখাট যুদ্ধ হয়েছে। চীনের সর্বশীর্ষ নেতার সীমান্ত সফরের পর তা নিয়ে আবার আলোচনা ও জল্পনাকল্পনা শুরু হয়েছে স্বাভাবিকভাবেই।

চীন-ভারত সীমান্ত পরিদর্শন করলেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং

প্রকাশের সময় : ০৭:৩৮:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ জুলাই ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক।। চীন-ভারত সীমান্তে প্রথম কোনও চীনা শীর্ষ নেতা ঘুরে গেলেন। ভারতের অরুণাচল প্রদেশ সংলগ্ন চীন-তিব্বত সীমান্ত পরিদর্শন শেষে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তিব্বতও সফর করেন। চীনের কোনও প্রেসিডেন্টের তিব্বত সফরও প্রথম ঘটনা।

শুক্রবার (২৩ জুলাই) সরকারিভাবে নিশ্চিতকরণের পর  বিলম্বিত সম্প্রচারে চীনা সংবাদমাধ্যম জানায়, বুধবার (২১ জুলাই) তিব্বতে আসেন শি জিনপিং। সীমান্তবর্তী ভারতের অরুণাচল প্রদেশের নিয়াংচি এয়ারপোর্টে নামার পরে রেললাইন পরিদর্শন করেন তিনি। ভারতের সীমান্ত-ঘেঁষে তৈরি হচ্ছে এই দ্রুতগামী ট্রেনের লাইন, যা চীনের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে সীমান্তের যোগাযোগ ত্বরান্বিত করবে। সহজ হবে লোক ও পণ্য চলাচলা, সামরিক বাহিনী ও সরঞ্জামের যাতায়াত।

চীনা প্রেসিডেন্ট ব্রহ্মপুত্র নদও পরিদর্শন করেন। ব্রহ্মপুত্র নদকে তিব্বতি ভাষায় ইয়ারলুং জাংবো নদ বলা হয়, যে নদের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর জল-চাহিদার সিংহভাগ পূরণ হয়।

চীনা সর্বোচ্চ নেতার সফর শেষে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তিব্বতের রাজধানী লাসা সফর করছেন, যা তিনদিন পর শুক্রবার (২৩ জুলাই) আনুষ্ঠানিকভাবে চীনা সরকারের তরফে নিশ্চিত ও প্রচার করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট হিসেবে এই প্রথম তিব্বত সফর করলেও দশ বছর আগে ২০১১ সালে তিনি তিব্বত সফর করেছিলেন।

জানা গেছে, এবারের সফরে এসে নদীতীর সংলগ্ন এলাকা, রেললাইন সহ নানা এলাকা খুঁটিয়ে দেখেন চীনা প্রেসিডেন্ট। কিন্তু কেন হঠাৎ চীনা প্রেসিডেন্ট এই সফর করলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ভারতীয় মিডিয়ায়। ভারতীয় নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের একাংশের বক্তব্য, ‘তিব্বতকে চীনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে তুলে ধরতে চাইছে, সেই কারণেই কৌশলে এই সফর।’

অন্যদিকে ভারতের অরুণাচল প্রদেশকে দক্ষিণ তিব্বতের অংশ হিসাবে দাবি করেছে চীন। ভারত যদিও তীব্র ভাবে চীনের তোলা এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে, তথাপি চীন কখনওই আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের দাবি থেকে সরে আসে নি।

উল্লেখ্য,  ভারত ও চীনের মাঝে ‘এলএসি’ বা ‘লাইন অব কন্ট্রোল’ রয়েছে, যে সীমারেখা নিয়ে আকসারই সংঘাতের সৃষ্টি হয় চীন ও ভারতের মধ্যে। বেশ কয়েকটি বড় সৈন্য সমাবেশ ছাড়াও সংঘাতপূর্ণ ও উত্তেজনাকর এই সীমান্তে একাধিক ছোটখাট যুদ্ধ হয়েছে। চীনের সর্বশীর্ষ নেতার সীমান্ত সফরের পর তা নিয়ে আবার আলোচনা ও জল্পনাকল্পনা শুরু হয়েছে স্বাভাবিকভাবেই।