মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চৌগাছায় পাওনা টাকা চাওয়ায় প্রাণ গেলো শওকত আলীর

যশোর প্রতিনিধি।। 

যশোরে চৌগাছার হাকিমপুরেরর হাজিপুরে পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে গোলযোগে শওকত আলী খান (৫০) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (২০ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে যশোরের চৌগাছা উপজেলার হাজীপুরে এই ঘটনা ঘটে।
পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানা হেফাজতে রেখেছে।
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই এলাকার পলি পারভীন (৪০) ও তার ছেলে ইমরান হোসেনকে (২০) হেফাজতে নিয়েছে।
চৌগাছার স্থানীয় বাসিন্দারা ও পুলিশ বলছে,শওকত আলী খান সকালে হাজীপুরে জনৈক সেলিমের বাড়িতে রাজমিস্ত্রির সহকারী হিসেবে কাজ করছিলেন। ওইসময় পলি ও তার ছেলে ইমরান সেখানে গিয়ে শওকতের শ্যালিকার কাছে পাওনা টাকা চান। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে শওকত তার ছেলেদের সেখানে ডেকে আনেন। তাদের দেখে পলি ও তার ছেলে ঘরে ঢুকে দরজা আটকে দেন। ওইসময় হঠাৎ করেই শওকত সেলিমের বাড়ির সামনে রাস্তায় পড়ে যান। তাকে উদ্ধার করে চৌগাছা হাসপাতালে নেওয়া হলে ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চৌগাছা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডা. আরিফুর ইসলাম বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে মৃত ঘোষণার পর তারা স্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবেই মরদেহ বাড়িতে নিয়ে যান।
ওসি সাইফুল ইসলাম সবুজ বলেন মৃতদেহটি উদ্ধার করে সুরাতহাল করা হয়েছে। সেটিতে আঘাতের কোনও চিহ্ন পাওয়া যায়নি। কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে- ময়নাতদন্ত রিপোর্ট ছাড়া তা বলা যাবে না। ময়নাতদন্তের জন্য রবিবার হাসপাতালে পাঠানো হবে।
তবে স্থানীয়রা জানান, গত ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে শওকত আলীর বড় ভাবি সাদিয়া খাতুন এবং প্রতিবেশী পলি পারভীন উভয়েই ইউপি সদস্য প্রার্থী ছিলেন। পলিকে ভোট না দেয়ায় এটি নিয়ে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল।
 বার্তাকণ্ঠ /এন

চৌগাছায় পাওনা টাকা চাওয়ায় প্রাণ গেলো শওকত আলীর

প্রকাশের সময় : ১০:৫৪:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ নভেম্বর ২০২১

যশোর প্রতিনিধি।। 

যশোরে চৌগাছার হাকিমপুরেরর হাজিপুরে পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে গোলযোগে শওকত আলী খান (৫০) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (২০ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে যশোরের চৌগাছা উপজেলার হাজীপুরে এই ঘটনা ঘটে।
পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানা হেফাজতে রেখেছে।
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই এলাকার পলি পারভীন (৪০) ও তার ছেলে ইমরান হোসেনকে (২০) হেফাজতে নিয়েছে।
চৌগাছার স্থানীয় বাসিন্দারা ও পুলিশ বলছে,শওকত আলী খান সকালে হাজীপুরে জনৈক সেলিমের বাড়িতে রাজমিস্ত্রির সহকারী হিসেবে কাজ করছিলেন। ওইসময় পলি ও তার ছেলে ইমরান সেখানে গিয়ে শওকতের শ্যালিকার কাছে পাওনা টাকা চান। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে শওকত তার ছেলেদের সেখানে ডেকে আনেন। তাদের দেখে পলি ও তার ছেলে ঘরে ঢুকে দরজা আটকে দেন। ওইসময় হঠাৎ করেই শওকত সেলিমের বাড়ির সামনে রাস্তায় পড়ে যান। তাকে উদ্ধার করে চৌগাছা হাসপাতালে নেওয়া হলে ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চৌগাছা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডা. আরিফুর ইসলাম বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে মৃত ঘোষণার পর তারা স্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবেই মরদেহ বাড়িতে নিয়ে যান।
ওসি সাইফুল ইসলাম সবুজ বলেন মৃতদেহটি উদ্ধার করে সুরাতহাল করা হয়েছে। সেটিতে আঘাতের কোনও চিহ্ন পাওয়া যায়নি। কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে- ময়নাতদন্ত রিপোর্ট ছাড়া তা বলা যাবে না। ময়নাতদন্তের জন্য রবিবার হাসপাতালে পাঠানো হবে।
তবে স্থানীয়রা জানান, গত ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে শওকত আলীর বড় ভাবি সাদিয়া খাতুন এবং প্রতিবেশী পলি পারভীন উভয়েই ইউপি সদস্য প্রার্থী ছিলেন। পলিকে ভোট না দেয়ায় এটি নিয়ে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল।
 বার্তাকণ্ঠ /এন