শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

জাপানে রেকর্ডসংখ্যক স্কুলশিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

সংগৃহীত ছবি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।

জাপানে গত চার দশকের বেশি সময়ে সর্বোচ্চ শিশু আত্মহত্যার রেকর্ড হয়েছে। দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয় স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জরিপ অনুযায়ী, করোনা মহামারির মধ্যে গত বছর স্কুল ও শ্রেণিকার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এরপর প্রাথমিক ও উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪১৫ শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে।

বৃহস্পতিবার আসাহি পত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী, শিক্ষা আত্মহত্যার সংখ্যা গত বছরের চেয়ে ১০০ জন বেশি। এর আগে ১৯৭৪ সালে রেকর্ডসংখ্যক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছিল।

জাপানের ইতিহাসে লজ্জা ও অসম্মান এড়াতে আত্মহত্যার বহু ঘটনা রয়েছে। আত্মহত্যার কাতারে গ্রুপ অফ সেভেন নেশনসের (জি-৭) মধ্যে দেশটি শীর্ষে রয়েছে। তবে গত ১৫ বছরের চেষ্টায় আত্মহত্যার হার ৪০ শতাংশ কমানো হয়েছিল। বিশেষ করে ২০০৯ সালে থেকে অর্থাৎ গেল ১০ বছরে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আত্মহত্যা কমেছিল।

কিন্তু করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে দেশটিতে আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়ে যায়। অনেক নারী আবেগীয় ও আর্থিক চাপ থেকে মুক্ত হতে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। আত্মহত্যায় পুরুষের সংখ্যা নারীদের চেয়ে অনেক কম।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, প্রায় দুই লাখ স্কুল শিক্ষার্থী গত এক মাসে স্কুলে অনুপস্থিত ছল। এর কারণ, করোনার প্রভাবে শিশুদের আচরণগত বিশাল পরিবর্তন হয়েছে। সূত্র: রয়টার্স।

রাজনীতিতে নাম লেখাতে যাচ্ছেন সানিয়া মির্জা

জাপানে রেকর্ডসংখ্যক স্কুলশিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

প্রকাশের সময় : ১১:৪৬:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অক্টোবর ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।

জাপানে গত চার দশকের বেশি সময়ে সর্বোচ্চ শিশু আত্মহত্যার রেকর্ড হয়েছে। দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয় স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জরিপ অনুযায়ী, করোনা মহামারির মধ্যে গত বছর স্কুল ও শ্রেণিকার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এরপর প্রাথমিক ও উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪১৫ শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে।

বৃহস্পতিবার আসাহি পত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী, শিক্ষা আত্মহত্যার সংখ্যা গত বছরের চেয়ে ১০০ জন বেশি। এর আগে ১৯৭৪ সালে রেকর্ডসংখ্যক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছিল।

জাপানের ইতিহাসে লজ্জা ও অসম্মান এড়াতে আত্মহত্যার বহু ঘটনা রয়েছে। আত্মহত্যার কাতারে গ্রুপ অফ সেভেন নেশনসের (জি-৭) মধ্যে দেশটি শীর্ষে রয়েছে। তবে গত ১৫ বছরের চেষ্টায় আত্মহত্যার হার ৪০ শতাংশ কমানো হয়েছিল। বিশেষ করে ২০০৯ সালে থেকে অর্থাৎ গেল ১০ বছরে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আত্মহত্যা কমেছিল।

কিন্তু করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে দেশটিতে আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়ে যায়। অনেক নারী আবেগীয় ও আর্থিক চাপ থেকে মুক্ত হতে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। আত্মহত্যায় পুরুষের সংখ্যা নারীদের চেয়ে অনেক কম।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, প্রায় দুই লাখ স্কুল শিক্ষার্থী গত এক মাসে স্কুলে অনুপস্থিত ছল। এর কারণ, করোনার প্রভাবে শিশুদের আচরণগত বিশাল পরিবর্তন হয়েছে। সূত্র: রয়টার্স।