বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

জয়যাত্রার সাংবাদিক নিয়োগে চাঁদাবাজি করতেন হেলেনা জাহাঙ্গীর

ঢাকা ব্যুরো।।আলোচিত নারী নেত্রী হেলেনা জাহাঙ্গীর পরিচালিত জয়যাত্রা টেলিভিশনে বিভিন্ন সাংবাদিক নিয়োগের নামে চাঁদাবাজির অভিযোগ পেয়েছে এলিট ফোর্স র‌্যাব। এছাড়া অনুমোদন না থাকায় টেলিভিশন স্টেশনটি সিলগালা করা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির অবৈধ মালামাল।

র‌্যাব বলছে, হেলেনা জাহাঙ্গীর জয়যাত্রা টেলিভিশনে কর্মী বা সাংবাদিক নিয়োগের নামে চাঁদাবাজি ও প্রতারণা করতেন। তিনি টাকার বিনিময়ে দেশের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও দেশের বাইরেও প্রতিনিধি নিয়োগ দিতেন।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘সম্প্রতি আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি পাওয়া হেলেনা জাহাঙ্গীর জয়যাত্রা টেলিভিশনে কর্মী বা সাংবাদিক নিয়োগের নামে চাঁদাবাজি ও প্রতারণা করতেন। এ ধরনের একটি চাঁদাবাজি সংক্রান্ত ফোনালাপ ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। হেলেনা জাহাঙ্গীরের অনুমোদনবিহীন জয়যাত্রা টেলিভিশন স্টেশন সিলগালা করা হয়েছে এবং অবৈধ মালামাল জব্দ করা হয়েছে।’

মঈন বলেন, ‘জয়যাত্রা টেলিভিশনের অফিসে অভিযানে চাঁদাবাজি সংক্রান্ত নথিপত্রও জব্দ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী একজন জেলা প্রতিনিধিকে চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে।’

জয়যাত্রা টেলিভিশনের নিয়োগের নামে অর্থ প্রদান ও কেউ হয়রানির শিকার হলে র‌্যাবের সঙ্গে যোগাযোগ করতেও অনুরোধ জানান এই কর্মকর্তা।

অভিযানে ১৯ বোতল বিদেশি মদ, একটি ক্যাঙ্গারুর চামড়া, একটি হরিণের চামড়া, দুটি মোবাইল ফোন, ১৯টি চেক বই ও বিদেশি মুদ্রা, দুটি ওয়াকিটকি সেট এবং জুয়া বা ক্যাসিনো খেলার সরঞ্জামাদি ৪৫৬টি চিপস উদ্ধার করা হয়। পরে মধ্যরাতে তার জয়যাত্রা টেলিভিশন স্টেশনেও অভিযান পরিচালনা করা হয়।

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, হেলেনা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের মানহানি ও সুনাম নষ্ট করেছেন। এছাড়া তিনি মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রচার করে জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছেন। তিনি খ্যাতি লাভের আশায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে ছবি তুলে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে সম্মানিত ব্যক্তিদের বিব্রত করতেন। অনৈতিক পন্থায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেকে খ্যাতনামা হিসেবে উপস্থাপন করতে চতুরতার আশ্রয় গ্রহণ করতেন। এ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে তিনি একটি সংঘবদ্ধ চক্র তৈরি করেছেন। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে ফেসবুক লাইভে এসে অযাচিত ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করতেন।

দেশে জঙ্গিবাদের যে উত্থান হয়েছিল,অল্প দিনের মধ্যে সে সংকট কাটিয়ে উঠেছি–স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

জয়যাত্রার সাংবাদিক নিয়োগে চাঁদাবাজি করতেন হেলেনা জাহাঙ্গীর

প্রকাশের সময় : ০৮:৪৭:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ অগাস্ট ২০২১

ঢাকা ব্যুরো।।আলোচিত নারী নেত্রী হেলেনা জাহাঙ্গীর পরিচালিত জয়যাত্রা টেলিভিশনে বিভিন্ন সাংবাদিক নিয়োগের নামে চাঁদাবাজির অভিযোগ পেয়েছে এলিট ফোর্স র‌্যাব। এছাড়া অনুমোদন না থাকায় টেলিভিশন স্টেশনটি সিলগালা করা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির অবৈধ মালামাল।

র‌্যাব বলছে, হেলেনা জাহাঙ্গীর জয়যাত্রা টেলিভিশনে কর্মী বা সাংবাদিক নিয়োগের নামে চাঁদাবাজি ও প্রতারণা করতেন। তিনি টাকার বিনিময়ে দেশের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও দেশের বাইরেও প্রতিনিধি নিয়োগ দিতেন।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘সম্প্রতি আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি পাওয়া হেলেনা জাহাঙ্গীর জয়যাত্রা টেলিভিশনে কর্মী বা সাংবাদিক নিয়োগের নামে চাঁদাবাজি ও প্রতারণা করতেন। এ ধরনের একটি চাঁদাবাজি সংক্রান্ত ফোনালাপ ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। হেলেনা জাহাঙ্গীরের অনুমোদনবিহীন জয়যাত্রা টেলিভিশন স্টেশন সিলগালা করা হয়েছে এবং অবৈধ মালামাল জব্দ করা হয়েছে।’

মঈন বলেন, ‘জয়যাত্রা টেলিভিশনের অফিসে অভিযানে চাঁদাবাজি সংক্রান্ত নথিপত্রও জব্দ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী একজন জেলা প্রতিনিধিকে চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে।’

জয়যাত্রা টেলিভিশনের নিয়োগের নামে অর্থ প্রদান ও কেউ হয়রানির শিকার হলে র‌্যাবের সঙ্গে যোগাযোগ করতেও অনুরোধ জানান এই কর্মকর্তা।

অভিযানে ১৯ বোতল বিদেশি মদ, একটি ক্যাঙ্গারুর চামড়া, একটি হরিণের চামড়া, দুটি মোবাইল ফোন, ১৯টি চেক বই ও বিদেশি মুদ্রা, দুটি ওয়াকিটকি সেট এবং জুয়া বা ক্যাসিনো খেলার সরঞ্জামাদি ৪৫৬টি চিপস উদ্ধার করা হয়। পরে মধ্যরাতে তার জয়যাত্রা টেলিভিশন স্টেশনেও অভিযান পরিচালনা করা হয়।

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, হেলেনা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের মানহানি ও সুনাম নষ্ট করেছেন। এছাড়া তিনি মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রচার করে জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছেন। তিনি খ্যাতি লাভের আশায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে ছবি তুলে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে সম্মানিত ব্যক্তিদের বিব্রত করতেন। অনৈতিক পন্থায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেকে খ্যাতনামা হিসেবে উপস্থাপন করতে চতুরতার আশ্রয় গ্রহণ করতেন। এ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে তিনি একটি সংঘবদ্ধ চক্র তৈরি করেছেন। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে ফেসবুক লাইভে এসে অযাচিত ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করতেন।