শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ট্রেনের টিকিট বিক্রির ৩৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ

রংপুর প্রতিনিধি।। রংপুরের কাউনিয়া রেলওয়ে স্টেশনের টিকিট বিক্রির প্রায় ৩৪ লাখ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই ঘটনায় দুদকের দায়ের করা মামলায় বুকিং মাস্টার মিশুক আল মামুনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এছাড়া দায়িত্বে অবহেলার দায়ে কাউনিয়া স্টেশন মাস্টার বাবু আল রশিদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

এর আগে এ ঘটনায় লালমনিরহাট রেলওয়ে জুনিয়র ট্রাফিক ইন্সপেক্টর ছহির উদ্দিন বাদী হয়ে ৪ অক্টোবর কাউনিয়ার প্রধান টিকিট বুকিং মাস্টার মিশুক আল মামুনের বিরুদ্ধে দুদকে মামলা দায়ের করেন।

শনিবার (৯ অক্টোবর) বিকেলে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চল ডিভিশনাল ম্যানেজার শাহ সুফি নুর মোহাম্মদ।

তিনি জানান, কাউনিয়া রেলওয়ে স্টেশনে গত ছয়মাস ধরে লালমনিরহাট ও রংপুর এক্সপ্রেস আন্তঃনগরসহ বিভিন্ন রুটের ১৪টি ট্রেনের টিকিট বিক্রির কোনো টাকা রেলওয়ে কোষাগারে জমা না হওয়ার গত ২৪ সেপ্টেম্বর তার নজরে আসে। পরে গত ৪ অক্টোবর কাউনিয়া রেলওয়ের প্রধান টিকিট বুকিং ম্যানেজার মিশুক আল মামুনকে বিষয়টি জিজ্ঞাসাবাদের পর টিকিট বিক্রির প্রায় ৩৪ লাখ টাকা কোষাগারে জমা না করে আত্মসাতের ঘটনাটি নিশ্চিত হওয়া যায়।

তিনি আরো জানান, মামলায় মিশুক আল মামুনকে গ্রেফতার করে রংপুর আদালতে পাঠানো হলে বিচারক শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এছাড়া এ ঘটনায় টিকিট বুকিং ম্যানেজারের সঙ্গে কাউনিয়া স্টেশন মাস্টার বাবু আল রশিদের সস্পৃক্ততা আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

পশ্চিমাঞ্চল ডিভিশনাল ম্যানেজার আরো জানান, রেলওয়ের একমাত্র রাজস্ব আদায় হয় যাত্রীদের কাছে টিকিট বিক্রি থেকে। নিয়ম রয়েছে স্টেশনের টিকিট বুকিং ম্যানেজার কাউন্টারে প্রতিদিনের যাত্রীদের কাছে টিকিট বিক্রির টাকা হিসেব করে স্টেশন মাস্টারের কাছে জমা দেন। আর স্টেশন মাস্টারের দায়িত্ব সেই টাকা সরকারি কোষাগারে জমা করেন। অথচ কাউনিয়া রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার বাবু আল রশিদ গত ছয় মাস ধরে লালমনিরহাট ও রংপুর এক্সপ্রেস আন্তঃনগরসহ বিভিন্ন রুটের ১৪টি ট্রেনের টিকিট বিক্রির কোনো টাকা বুঝে নেননি।

স্টেশন মাস্টারের উদাসীনতা ও নজরদারির অভাবে প্রধান টিকিট বুকিং ম্যানেজার মিশুক আল মামুন রেলের টাকা আত্মসাৎ করেন।

রাজনীতিতে নাম লেখাতে যাচ্ছেন সানিয়া মির্জা

ট্রেনের টিকিট বিক্রির ৩৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ

প্রকাশের সময় : ০৭:০১:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ অক্টোবর ২০২১

রংপুর প্রতিনিধি।। রংপুরের কাউনিয়া রেলওয়ে স্টেশনের টিকিট বিক্রির প্রায় ৩৪ লাখ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই ঘটনায় দুদকের দায়ের করা মামলায় বুকিং মাস্টার মিশুক আল মামুনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এছাড়া দায়িত্বে অবহেলার দায়ে কাউনিয়া স্টেশন মাস্টার বাবু আল রশিদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

এর আগে এ ঘটনায় লালমনিরহাট রেলওয়ে জুনিয়র ট্রাফিক ইন্সপেক্টর ছহির উদ্দিন বাদী হয়ে ৪ অক্টোবর কাউনিয়ার প্রধান টিকিট বুকিং মাস্টার মিশুক আল মামুনের বিরুদ্ধে দুদকে মামলা দায়ের করেন।

শনিবার (৯ অক্টোবর) বিকেলে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চল ডিভিশনাল ম্যানেজার শাহ সুফি নুর মোহাম্মদ।

তিনি জানান, কাউনিয়া রেলওয়ে স্টেশনে গত ছয়মাস ধরে লালমনিরহাট ও রংপুর এক্সপ্রেস আন্তঃনগরসহ বিভিন্ন রুটের ১৪টি ট্রেনের টিকিট বিক্রির কোনো টাকা রেলওয়ে কোষাগারে জমা না হওয়ার গত ২৪ সেপ্টেম্বর তার নজরে আসে। পরে গত ৪ অক্টোবর কাউনিয়া রেলওয়ের প্রধান টিকিট বুকিং ম্যানেজার মিশুক আল মামুনকে বিষয়টি জিজ্ঞাসাবাদের পর টিকিট বিক্রির প্রায় ৩৪ লাখ টাকা কোষাগারে জমা না করে আত্মসাতের ঘটনাটি নিশ্চিত হওয়া যায়।

তিনি আরো জানান, মামলায় মিশুক আল মামুনকে গ্রেফতার করে রংপুর আদালতে পাঠানো হলে বিচারক শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এছাড়া এ ঘটনায় টিকিট বুকিং ম্যানেজারের সঙ্গে কাউনিয়া স্টেশন মাস্টার বাবু আল রশিদের সস্পৃক্ততা আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

পশ্চিমাঞ্চল ডিভিশনাল ম্যানেজার আরো জানান, রেলওয়ের একমাত্র রাজস্ব আদায় হয় যাত্রীদের কাছে টিকিট বিক্রি থেকে। নিয়ম রয়েছে স্টেশনের টিকিট বুকিং ম্যানেজার কাউন্টারে প্রতিদিনের যাত্রীদের কাছে টিকিট বিক্রির টাকা হিসেব করে স্টেশন মাস্টারের কাছে জমা দেন। আর স্টেশন মাস্টারের দায়িত্ব সেই টাকা সরকারি কোষাগারে জমা করেন। অথচ কাউনিয়া রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার বাবু আল রশিদ গত ছয় মাস ধরে লালমনিরহাট ও রংপুর এক্সপ্রেস আন্তঃনগরসহ বিভিন্ন রুটের ১৪টি ট্রেনের টিকিট বিক্রির কোনো টাকা বুঝে নেননি।

স্টেশন মাস্টারের উদাসীনতা ও নজরদারির অভাবে প্রধান টিকিট বুকিং ম্যানেজার মিশুক আল মামুন রেলের টাকা আত্মসাৎ করেন।