বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল পাচ্ছে দেশের ১৭ কোটি মানুষ

স্টাফ রিপোর্টার ## ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল আজকে দেশের ১৭ কোটি মানুষ পাচ্ছে উল্লেখ করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, করোনাকালীন ই-ফাইলের মাধ্যমে গত ১৫ মাসেই প্রায় ৩৮ লাখ ফাইল নিষ্পন্ন হয়েছে। ফলে লাল ফিতার দূরত্ব কমেছে। প্রশাসনিক কাজের স্বচ্ছতা, দ্রুততা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়েছে।

তিনি বলেন, ন্যাশনাল হেল্প লাইন ৩৩৩ নম্বর থেকে বিগত ৪ বছরে মোট ৩ কোটি ৯৬ লাখ মানুষ সেবা নিয়েছে। জরুরি খাদ্য সহায়তা ছাড়াও শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে বিগত ১৫ মাসে আইসিটি বিভাগের ডক্টরস পুলের মাধ্যমে দেশের ৪০ লাখ মানুষ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েছেন।

প্রতিমন্ত্রী সোমবার (২১ জুন) নাটোর জেলা অ্যাসোসিয়েশন ইউএসএ, ইনক এর অভিষেক ও ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যোর মধ্যে বক্তব্য রাখেন নাটোর-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মো. শফিকুল ইসলাম শিমুল, নাটোর সদর উপজেলার চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. শরিফুল ইসলাম, নর্থ বেঙ্গল ফাউন্ডেশন ইউএসএ ইনক এর সাবেক প্রধান উপদেষ্টা নাসির আলী খান পল, নর্থ বেঙ্গল ফাউন্ডেশন ইউএসএ ইনক এর সভাপতি ডা. আব্দুল লতিফ, বাংলাদেশ সোসাইটি ইনক এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুর রহিম হাওলাদার।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে অতীতে ৭৫’র পরবর্তী সময়ে যারা ক্ষমতায় ছিল তারা কিন্তু কখনোই দেশের নাগরিকদের প্রয়োজনে একটি কলসেন্টারের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেনি। দেশের মানুষের সেবার জন্য তারা কখনো ভালো কিছু চিন্তা করেননি। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য দৌহিত্র শেখ হাসিনার সুযোগ্য সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয় ২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রথম বাংলাদেশে জরুরি কল সেন্টার স্থাপন করেন এবং উদ্বোধন করেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে যেমন জরুরি প্রয়োজনে ৯১১ এ কল করে দ্রুত পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া যায় তেমনি আমাদের দেশের ১৭ কোটি মানুষ তারা ৯৯৯ ফোন করলে দ্রুত পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছে যায়। তিনি বলেন, মাত্র চার বছরে প্রায় ২ কোটি ৯৬ লাখ মানুষ এ সেবাটি পেয়েছে।

পলক বলেন, ১২ বছর আগেও আমরা নিম্ন আয়ের দেশে ছিলাম। শেখ হাসিনার দূরদর্শিতা, মেধা, সাহসিকতা ও সততা দিয়ে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ২ হাজার ২২৭ ডলারে উন্নীত হয়েছে এবং প্রশাসনিক প্রায় সকল কার্যক্রম ডিজিটাল ফাইল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে নেওয়া সম্ভব হয়েছে।

বাংলাদেশে বাণিজ্যিক কার্যক্রম ই-কমার্স অনেক শক্তিশালী হয়েছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মতো বাংলাদেশের মানুষ অনলাইনে শপিং করতে পারছে। শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত যে কোন পণ্য, যে কোন সেবা ঘরে বসেই নাগরিকদেরকে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, গত ১৫ মাসে বিচারিক মামলা ভার্চুয়াল কোর্টে সম্পাদন হয়েছে। যার মধ্যে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার জামিন সম্পাদন করা হয়েছে।করোনাকালীন সময়ে বর্তমান সরকার প্রায় দেড় কোটি পরিবারের খাবারের ব্যবস্থা করেছেন এবং ৮৬ লাখ কর্মহীন পরিবারকে মোবাইল ফাইনান্সিয়াল ডিজিটাল ওয়ালেটের মাধ্যমে আইসিটি বিভাগের সেন্টাল এইড ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার সিস্টেমের মাধ্যমে নির্ভুলভাবে সঠিক ব্যক্তিদেরকে ২ হাজার ৫০০ টাকা করে পাঠিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার।

ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল পাচ্ছে দেশের ১৭ কোটি মানুষ

প্রকাশের সময় : ০৫:০৮:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুন ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার ## ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল আজকে দেশের ১৭ কোটি মানুষ পাচ্ছে উল্লেখ করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, করোনাকালীন ই-ফাইলের মাধ্যমে গত ১৫ মাসেই প্রায় ৩৮ লাখ ফাইল নিষ্পন্ন হয়েছে। ফলে লাল ফিতার দূরত্ব কমেছে। প্রশাসনিক কাজের স্বচ্ছতা, দ্রুততা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়েছে।

তিনি বলেন, ন্যাশনাল হেল্প লাইন ৩৩৩ নম্বর থেকে বিগত ৪ বছরে মোট ৩ কোটি ৯৬ লাখ মানুষ সেবা নিয়েছে। জরুরি খাদ্য সহায়তা ছাড়াও শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে বিগত ১৫ মাসে আইসিটি বিভাগের ডক্টরস পুলের মাধ্যমে দেশের ৪০ লাখ মানুষ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েছেন।

প্রতিমন্ত্রী সোমবার (২১ জুন) নাটোর জেলা অ্যাসোসিয়েশন ইউএসএ, ইনক এর অভিষেক ও ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যোর মধ্যে বক্তব্য রাখেন নাটোর-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মো. শফিকুল ইসলাম শিমুল, নাটোর সদর উপজেলার চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. শরিফুল ইসলাম, নর্থ বেঙ্গল ফাউন্ডেশন ইউএসএ ইনক এর সাবেক প্রধান উপদেষ্টা নাসির আলী খান পল, নর্থ বেঙ্গল ফাউন্ডেশন ইউএসএ ইনক এর সভাপতি ডা. আব্দুল লতিফ, বাংলাদেশ সোসাইটি ইনক এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুর রহিম হাওলাদার।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে অতীতে ৭৫’র পরবর্তী সময়ে যারা ক্ষমতায় ছিল তারা কিন্তু কখনোই দেশের নাগরিকদের প্রয়োজনে একটি কলসেন্টারের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেনি। দেশের মানুষের সেবার জন্য তারা কখনো ভালো কিছু চিন্তা করেননি। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য দৌহিত্র শেখ হাসিনার সুযোগ্য সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয় ২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রথম বাংলাদেশে জরুরি কল সেন্টার স্থাপন করেন এবং উদ্বোধন করেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে যেমন জরুরি প্রয়োজনে ৯১১ এ কল করে দ্রুত পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া যায় তেমনি আমাদের দেশের ১৭ কোটি মানুষ তারা ৯৯৯ ফোন করলে দ্রুত পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছে যায়। তিনি বলেন, মাত্র চার বছরে প্রায় ২ কোটি ৯৬ লাখ মানুষ এ সেবাটি পেয়েছে।

পলক বলেন, ১২ বছর আগেও আমরা নিম্ন আয়ের দেশে ছিলাম। শেখ হাসিনার দূরদর্শিতা, মেধা, সাহসিকতা ও সততা দিয়ে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ২ হাজার ২২৭ ডলারে উন্নীত হয়েছে এবং প্রশাসনিক প্রায় সকল কার্যক্রম ডিজিটাল ফাইল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে নেওয়া সম্ভব হয়েছে।

বাংলাদেশে বাণিজ্যিক কার্যক্রম ই-কমার্স অনেক শক্তিশালী হয়েছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মতো বাংলাদেশের মানুষ অনলাইনে শপিং করতে পারছে। শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত যে কোন পণ্য, যে কোন সেবা ঘরে বসেই নাগরিকদেরকে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, গত ১৫ মাসে বিচারিক মামলা ভার্চুয়াল কোর্টে সম্পাদন হয়েছে। যার মধ্যে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার জামিন সম্পাদন করা হয়েছে।করোনাকালীন সময়ে বর্তমান সরকার প্রায় দেড় কোটি পরিবারের খাবারের ব্যবস্থা করেছেন এবং ৮৬ লাখ কর্মহীন পরিবারকে মোবাইল ফাইনান্সিয়াল ডিজিটাল ওয়ালেটের মাধ্যমে আইসিটি বিভাগের সেন্টাল এইড ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার সিস্টেমের মাধ্যমে নির্ভুলভাবে সঠিক ব্যক্তিদেরকে ২ হাজার ৫০০ টাকা করে পাঠিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার।