এর আগে শাহবাগ থানার পুলিশ তাকে আদালতে হাজির করেন। এরপর মামলার তদন্ত স্বার্থে তাকে জিজ্ঞেসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক এ আদেশ দিয়েছেন।
বুধবার (২৩ জুন) পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদস্যরা আইনজীবী রাজুকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে।
জানা যায়, বগুড়ায় মোটর মালিক গ্রুপে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের মামলায় ভুয়া আগাম জামিন আদেশ তৈরির ঘটনায় সিআইডির তদন্তে চারজনের নাম উঠে আসে। তারা হলেন, ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী রাজু আহমেদ রাজীব, বগুড়া আদালতের আইনজীবী তানজীম আলম ইসলাম, ঢাকা জজ কোর্টের কম্পিউটার অপারেটর মাসুদ রানা ও ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবীর সহকারী মো. সোহাগ। পরে কারাগারে থাকা সোহাগ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
গত ৯ ফেব্রুয়ারি বগুড়াতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি তিনটি মামলা হয়। এর মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম মোহনের ছোটভাই মশিউল আলম বাদী হয়ে ১০ ফেব্রুয়ারি বগুড়া থানায় মামলা করেন। মামলায় যুবলীগের সহসভাপতি মো. আমিনুল ইসলামসহ ৩৩ জনের নাম উল্লেখ করেন এবং অজ্ঞাতনামা আরও ২০-২৫ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় হাইকোর্ট থেকে আমিনুল ইসলামসহ ৩০ জনের জামিন নেওয়ার একটি আদেশনামা (জামিন আদেশ) তৈরি করা হয়।