শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিএনপির কর্মসূচি ঘোষণা

ঢাকা ব্যুরো।।জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বুধবার (১০ নভেম্বর) ঢাকা বাদে সব মহানগরে প্রতিবাদ সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। একই সঙ্গে ১২ নভেম্বর জেলা শহরগুলোতে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

সোমবার (৮ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিএনপির ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ মহানগর আয়োজিত দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ ঘোষণা দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মির্জা ফখরুল বলেন, নিজেদের পকেট ভারি করতে তেলের দাম বাড়িয়েছে সরকার। পকেটমার সরকার পরপর দুবার জনগণের পকেট মেরেছে। একবার এলপিজির দাম বাড়িয়ে পকেট কাটল। এরপর ডিজেলের দাম বাড়িয়ে আবার জনগণের পকেট কাটল। পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের প্রায় ৪৩ হাজার কোটি টাকা লাভ হয়েছে বিগত দিনে। আগে যখন আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমে গিয়েছিল, তখন এ পেট্রোলিয়াম সংস্থা দাম কমায়নি। উচ্চ দামে সব কিছু তারা জনগণের পকেট থেকে কেটে নিয়ে গেছে। আজ যখন আন্তর্জাতিক বাজারের দাম বাড়ছে তখন ওই সংস্থার লোকজন বলছে,আগের দামেই আরও ছয় মাস চলতে পারত। কিন্তু সেটা তারা করেননি। কারণ এ সরকারের চরিত্র হচ্ছে লুট করা। তারা একদিকে জনগণের পকেট মারছে, অন্যদিকে নিজেদের পকেট ভারি করছে। আপনারা দেখেছেন হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে।

তিনি বলেন, আজ আওয়ামী লীগের মন্ত্রী যারা দায়িত্বে, তারা কেউ জনগণের কল্যাণের কথা চিন্তা করেননি। যার ফলে অর্থনৈতিকভাবে তারা এ দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। আপনারা জানেন জ্বালানির দাম বাড়ার ফলে দেশে সবকিছুর দামই বাড়বে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ যখন ২০০৮ সালে নির্বাচন করে, তখন তারা কথা দিয়েছিল জনগণকে ১০ টাকা কেজি দরে চাল খাওয়াবে। এখন চালের দাম ৬০/৭০ টাকা। সবকিছুর দাম বেড়েছে। তাদের জিজ্ঞাসা করলে তারা বলে উন্নয়ন দিচ্ছে। এমন উন্নয়ন দিছে আমরা নাকি দেখতে পাই না। তারা উড়াল সেতু করছে, মেগা প্রজেক্ট করছে। কিন্তু আমাদের সাধারণ মানুষের কি হচ্ছে, তারা দিন থেকে দিন শুধু গরিবই হচ্ছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার পরিকল্পিতভাবে, সচেতনভাবে বাংলাদেশের সব অর্জনগুলো ধ্বংস করে দিচ্ছে। এখন যে ভোট হচ্ছে, তাতে আওয়ামী লীগ-আওয়ামী লীগই মারামারি করছে। কয়েক মাসের মধ্যে ৮৭ জন মারা গেছে। ভোটকেন্দ্রে জনগণ ভোট দিতে যায় না, তারাই ভোট দিয়ে শেষ করে।

তিনি আরও বলেন, তারা বিচার ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে। এখন পর্যন্ত একজনের বিচার আপিল বিভাগে শেষ হয়নি, রায় দেয়নি সুপ্রিমকোর্ট, তার আগে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার জন্য কাজ শুরু করে দিয়েছে।কয়েকদিন আগে দুই জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে দিয়েছে আপিল বিভাগের রায় হওয়ার আগেই।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন- দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, সদস্য-সচিব রফিকুল আলম মজনু, উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।

তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিএনপির কর্মসূচি ঘোষণা

প্রকাশের সময় : ০৪:৩০:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ নভেম্বর ২০২১

ঢাকা ব্যুরো।।জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বুধবার (১০ নভেম্বর) ঢাকা বাদে সব মহানগরে প্রতিবাদ সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। একই সঙ্গে ১২ নভেম্বর জেলা শহরগুলোতে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

সোমবার (৮ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিএনপির ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ মহানগর আয়োজিত দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ ঘোষণা দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মির্জা ফখরুল বলেন, নিজেদের পকেট ভারি করতে তেলের দাম বাড়িয়েছে সরকার। পকেটমার সরকার পরপর দুবার জনগণের পকেট মেরেছে। একবার এলপিজির দাম বাড়িয়ে পকেট কাটল। এরপর ডিজেলের দাম বাড়িয়ে আবার জনগণের পকেট কাটল। পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের প্রায় ৪৩ হাজার কোটি টাকা লাভ হয়েছে বিগত দিনে। আগে যখন আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমে গিয়েছিল, তখন এ পেট্রোলিয়াম সংস্থা দাম কমায়নি। উচ্চ দামে সব কিছু তারা জনগণের পকেট থেকে কেটে নিয়ে গেছে। আজ যখন আন্তর্জাতিক বাজারের দাম বাড়ছে তখন ওই সংস্থার লোকজন বলছে,আগের দামেই আরও ছয় মাস চলতে পারত। কিন্তু সেটা তারা করেননি। কারণ এ সরকারের চরিত্র হচ্ছে লুট করা। তারা একদিকে জনগণের পকেট মারছে, অন্যদিকে নিজেদের পকেট ভারি করছে। আপনারা দেখেছেন হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে।

তিনি বলেন, আজ আওয়ামী লীগের মন্ত্রী যারা দায়িত্বে, তারা কেউ জনগণের কল্যাণের কথা চিন্তা করেননি। যার ফলে অর্থনৈতিকভাবে তারা এ দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। আপনারা জানেন জ্বালানির দাম বাড়ার ফলে দেশে সবকিছুর দামই বাড়বে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ যখন ২০০৮ সালে নির্বাচন করে, তখন তারা কথা দিয়েছিল জনগণকে ১০ টাকা কেজি দরে চাল খাওয়াবে। এখন চালের দাম ৬০/৭০ টাকা। সবকিছুর দাম বেড়েছে। তাদের জিজ্ঞাসা করলে তারা বলে উন্নয়ন দিচ্ছে। এমন উন্নয়ন দিছে আমরা নাকি দেখতে পাই না। তারা উড়াল সেতু করছে, মেগা প্রজেক্ট করছে। কিন্তু আমাদের সাধারণ মানুষের কি হচ্ছে, তারা দিন থেকে দিন শুধু গরিবই হচ্ছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার পরিকল্পিতভাবে, সচেতনভাবে বাংলাদেশের সব অর্জনগুলো ধ্বংস করে দিচ্ছে। এখন যে ভোট হচ্ছে, তাতে আওয়ামী লীগ-আওয়ামী লীগই মারামারি করছে। কয়েক মাসের মধ্যে ৮৭ জন মারা গেছে। ভোটকেন্দ্রে জনগণ ভোট দিতে যায় না, তারাই ভোট দিয়ে শেষ করে।

তিনি আরও বলেন, তারা বিচার ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে। এখন পর্যন্ত একজনের বিচার আপিল বিভাগে শেষ হয়নি, রায় দেয়নি সুপ্রিমকোর্ট, তার আগে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার জন্য কাজ শুরু করে দিয়েছে।কয়েকদিন আগে দুই জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে দিয়েছে আপিল বিভাগের রায় হওয়ার আগেই।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন- দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, সদস্য-সচিব রফিকুল আলম মজনু, উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।