দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য নগদ অর্থ ও খাদ্যের ব্যবস্থা না করে লকডাউন চাপিয়ে দেওয়া মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, সরকারের উদাসীনতার কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে।
এ সময় টিকা ব্যবস্থাপনায় সরকার ব্যর্থ হয়েছে এ মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশে যখন কোটি কোটি টিকা দরকার তখন কয়েক লাখ টিকার ব্যবস্থা করতে পেরেছে সরকার। বর্তমানে মজুত থাকা টিকার পরিমাণ প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল বলেও মন্তব্য করেন।
করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দ্রুত পর্যাপ্ত টিকার ব্যবস্থা করার পাশাপাশি দেশেই টিকা উৎপাদনের পদক্ষেপ নেওয়ার তাগিদ দেন মির্জা ফখরুল।
ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে লকডাউন সফল করতে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পরিবারপ্রতি নগদ ৫ হাজার টাকা ও খাদ্য সহায়তা নিশ্চিত করার দাবি জানান। ফখরুল বলেন, সহায়তার হাত না বাড়ালে লকডাউন ফলপ্রসূ হবে না।
এদিকে কঠোর বিধিনিষেধের অষ্টম দিনেও রিকশা, ভ্যান আর ব্যক্তিগত গাড়ির দখলে রয়েছে রাজধানীর সড়ক। বেশির ভাগ মানুষই দিচ্ছেন অফিস খোলা থাকাসহ নানা অজুহাত। প্রতিদিনের মতো জেল-জরিমানা হলেও নগরবাসীর মধ্যে দেখা যায়নি স্বাস্থ্য সচেতনতা। মামলা ও আর্থিক জরিমানার পাশাপাশি আটকও করা হয়েছে অনেককে।
মাত্র সাত দিন না যেতেই কঠোর বিধিনিষেধ অনেকটাই উপেক্ষিত সাধারণ মানুষের মধ্যে, নেই সচেতনতা। রয়েছে তাদের মধ্যে চরম আকারে অসচেতনতার ছাপ। সড়কজুড়ে ব্যক্তিগত যানবাহনের চাপ আরও বেড়েছে। কোথাও কোথাও যানজটও দেখা গেছে।
প্রসঙ্গত, আগামী ১৪ জুলাই পর্যন্ত মেয়াদ বাড়িয়ে সোমবার (৫ জুলাই) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ আদেশ জারি করা হয়।
এর আগে ১ জুলাই (বৃহস্পতিবার) থেকে সাত দিনের কঠোর লকডাউনের প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সরকারের পক্ষ থেকে এবার বিধিনিষেধ ‘কঠোর’ই করার কথা বলা হয়। প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হলেই গ্রেপ্তার করার কথা বলে পুলিশও। বিধিনিষেধ মানতে বাধ্য করতে মাঠে নামানো হয় সেনাবাহিনীও। লকডাউন নিয়ে গত ৩০ জুন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা হয়।