শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

দাউদ ইব্রাহিমের প্রেমিকা নাম বদলে হলেন নায়িকা

বিনোদন ডেস্ক॥ পুলিশ কনস্টেবলের ছেলে দাউদ ইব্রাহিমের আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন হয়ে ওঠার গল্প কমবেশি সকলেরই জানা। বিশেষ করে সিনেমায় একাধিকবার তার জীবন ফুটে ওঠেছে। কিন্তু মাত্র ২২ বছর বয়সে রূপে-গ্ল্যামারে বলিউডে আগুন ধরিয়ে দেয়া নায়িকা মন্দাকিনীর জীবনও কিছু কম বিচিত্র নয়। অ্যাংলো ইন্ডিয়ান পরিবারে জন্মানো ইয়াসমিন জোসেফ নামের কিশোরীটি যখন টিনসেল টাউনে পা রেখেছিলেন, তখন তার পক্ষে কল্পনাতেও আনা সম্ভব ছিল না স্বয়ং রাজ কাপুরের হাত ধরে তিনি হয়ে উঠবেন কোটি তরুণের স্বপ্ন। বলিউডে কাজ করতে এসে তার শুরুটা মোটেই খুব আশাপ্রদ ছিল না।

মন্দাকিনীকে নাকচ করে দিয়েছিলেন তিনজন পরিচালক। চতুর্থ জন যদিও বা নির্বাচন করলেন, পালটে দিলেন নাম। ইয়াসমিন থেকে তিনি হলেন ‘মাধুরী’। সই করলেন ‘মজলুম’ ছবিতে। কিন্তু এরপরই ম্যাজিক! রাজ কাপুরের ‘রাম তেরি গঙ্গা মইলি’ ছবিতে গঙ্গার চরিত্রে ইয়াসমিন ওরফে মাধুরী থেকে তিনি হয়ে গেলেন মন্দাকিনী।
১৯৮৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবিতে দুর্নীতি থেকে গঙ্গার দূষণ, নানা বিষয়কে সামনে রেখে ছেলে রাজীব কাপুরকে ‘লঞ্চ’ করেছিলেন রাজ। কিন্তু সব আলো যেন গিয়ে পড়ল মন্দাকিনীরই উপরে। ঝরনার জলে ভেজা ফিনফিনে শাড়িতে স্পষ্টত দৃশ্যমান দেহসৌষ্ঠবই হোক কিংবা সন্তানকে স্তন্যপান করানোর সেই দৃশ্য- ছবির সবচেয়ে আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠল এই সব দৃশ্যগুলোই আর মন্দাকিনী। অভিনয় নয়, কেবল মন্দাকিনীর শরীরী আবেদনকে মূলধন করেই বহু চলচ্চিত্র নির্মাতা তাকে কাস্ট করতে শুরু করেন। ফলে পরপর ছবি হাতে পেলেও কোথায় যেন মন্দাকিনীর ক্যারিয়ার এক ঘূর্ণির মধ্যে পড়ে গেল। কিছু সফল সিনেমা তিনি পেলেন কিন্তু ভালো গল্পে ও চরিত্রে তাকে দেখা গেল না। ফলে যা হওয়ার তাই হলো।
জিতেন্দ্রর মতো সিনিয়র তারকা হোক, কিংবা মিঠুনের মতো সুপারস্টার অথবা গোবিন্দ, আদিত্য পাঞ্চোলির মতো সেই সময়ের উদীয়মান অভিনেতা- সকলের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করলেও কয়েক বছরের মধ্যেই হারিয়ে গেলেন মন্দাকিনী। কিন্তু এটাই কি একমাত্র কারণ? হয়তো না। অনেকেই মন্দাকিনীর জীবনে দাউদ ইব্রাহিমের প্রবেশকে নেতিবাচক হিসেবে দেখেন।

তারা মনে অর্থ ও ক্ষমতার লোভে দাউদের সঙ্গিনীতে পরিণত হয়েছিলেন মন্দাকিনী। আর সেটাই তার ক্যারিয়ার ধ্বংস করে দিলো। তার থেকে সবাই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলো বলিউডে। ১৯৮৯ সাল থেকেই নতুন ছবিতে সই করা বন্ধ করে দিয়েছিলেন নায়িকা। পরবর্তী সময়ে তার যে ক’টি ছবি রিলিজ করেছিল সবই এর আগে সই করা। এদিকে নয়ের দশকের শুরু থেকেই ধীরে ধীরে রটে যায় দাউদের সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম করছেন মন্দাকিনী। কেবল মুখে মুখে ঘোরা গল্পকথাই নয়, প্রকাশ্যে এল কিছু ছবিও। ততদিনে ১৯৯৩ সালের মুম্বাই বিস্ফোরণ ঘটে গেছে। গোটা দেশের কাছেই এক ‘মহা-খলনায়ক’ হয়ে দেখা দিলেন দাউদ। এরপরই ১৯৯৪ সালের এক ছবিতে মন্দাকিনীকে দেখা গেল দাউদের পাশে! ব্যাস! গোটা দেশজুড়েই শুরু হল সমালোচনা। এমনও শোনা গেল, ‘রাম তেরি…’ ছবিতে মন্দাকিনীর সুযোগ পাওয়ার পেছনেও নাকি ছিল দাউদেরই হাত।

যে কারণে ছবির শুটিং শুরু হওয়ার ৪৫ দিন পরও রাজ কাপুর চেয়েছিলেন মন্দাকিনীকে সরিয়ে দিয়ে পদ্মিনী কোলাপুরীকে নিয়ে নতুন করে শুটিং শুরু করতে। এমনই নানা জল্পনা ঘুরছিল। এরপরই বেঙ্গালুরুর (তৎকালীন ব্যাঙ্গালোর) কাছে দেশছাড়া দাউদের এক প্রকাণ্ড বাগানবাড়ির সন্ধান পায় মুম্বাই পুলিশ। জানা যায়, ওই নির্মীয়মাণ বাড়িটির মালিকানা নাকি মন্দাকিনীর! যদিও শেষ পর্যন্ত মুম্বাই পুলিশ মন্দাকিনীকে বেকসুর খালাস করে দিয়েছিল। প্রশ্ন ছিল, এর পেছনেও কি দাউদের প্রভাব! মন্দাকিনী অবশ্য কোনোদিনই মেনে নেননি দাউদের সঙ্গে তার প্রণয়ের গুঞ্জনকে। তার দাবি, স্বাভাবিক পরিচয় ও আলাপচারিতা ছাড়া আর কিছুই ছিল না তাদের মধ্যে।

কিন্তু সেকথা বিশ্বাস হয়নি কারোর। আজও হয় না। তাই ১৯৯৫ সালে ‘জোরদার’ ছবির পরই শেষ হয়ে যায় মন্দাকিনীর ক্যারিয়ার। ওই বছরই জানা যায় নায়িকা এখন অন্তঃসত্ত্বা। লোকমুখে ঘুরতে লাগল, ওই সন্তান দাউদেরই। ধীরে ধীরে সকলের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে শুরু করলেন মন্দাকিনী। রাস্তায় বের হলেও থাকতেন বোরকার আড়ালে। অভিনয়ে গতি না দেখে পপ গানের অ্যালবামও বের করেছিলেন। কিন্তু মানুষের পছন্দ হয়নি সেসব। শোবিজে কিছুই আর করার থাকলো না মন্দাকিনীর। এখন কোথায় মন্দাকিনী? ২২ বছরে আগুন ধরানো গ্ল্যামার নিয়ে বলিউডে আসা সেই যুবতী এখন ষাট ছুঁই ছুঁই বৃদ্ধা। জনমানসে ‘সেক্স বম্ব’ থেকে ‘গ্যাংস্টারের প্রেমিকা’ হয়ে ওঠা মন্দাকিনী আজ জনারণ্যের এই সব প্রাচীন প্রবাদ থেকে বহু দূরে।
বলিউড ছেড়েই নব্বই দশকের মাঝামাঝি সময়েই তিনি বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করেন। অনুসরণ করতে শুরু করেন দলাই লামার জীবনদর্শনকে। বিয়ে করেন প্রাক্তন বৌদ্ধ সন্ন্যাসী ড. কাগিয়ুর টি রিনপোচে ঠাকুরকে। স্বামীর সঙ্গে মিলে শেখাতে শুরু করেন তিব্বতি যোগাসনের ক্লাস। দুই সন্তানের জননী মন্দাকিনী চেয়েছিলেন জনপ্রিয়তার সম্মোহনী মায়া থেকে সরে এসে নিজের মতো করে বাঁচতে। তিনি পেরেছেন। কিন্তু খ্যাতির আলোকবৃত্ত থেকে পুরোপুরি মুক্ত হওয়া সহজ নয়। মন্দাকিনী এখন চাইছেন ফের ছায়ার জগতে ফিরতে। ভাই ভানু চেয়েছিলেন দিদি টিভি সিরিজে অভিনয় করুন। কিন্তু মন্দাকিনী জানিয়েছেন, একমাত্র বড় পর্দাই তার প্রথম পছন্দ। আপাতত কথাবার্তা চলছে বহু পরিচালক-প্রযোজকদের সঙ্গে। শিগগিরি হয়তো আবারও ‘লাইট সাউন্ড ক্যামেরা অ্যাকশন’-এর জগতে ফিরবেন অভিনেত্রী।

রাজনীতিতে নাম লেখাতে যাচ্ছেন সানিয়া মির্জা

দাউদ ইব্রাহিমের প্রেমিকা নাম বদলে হলেন নায়িকা

প্রকাশের সময় : ০৯:১০:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১

বিনোদন ডেস্ক॥ পুলিশ কনস্টেবলের ছেলে দাউদ ইব্রাহিমের আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন হয়ে ওঠার গল্প কমবেশি সকলেরই জানা। বিশেষ করে সিনেমায় একাধিকবার তার জীবন ফুটে ওঠেছে। কিন্তু মাত্র ২২ বছর বয়সে রূপে-গ্ল্যামারে বলিউডে আগুন ধরিয়ে দেয়া নায়িকা মন্দাকিনীর জীবনও কিছু কম বিচিত্র নয়। অ্যাংলো ইন্ডিয়ান পরিবারে জন্মানো ইয়াসমিন জোসেফ নামের কিশোরীটি যখন টিনসেল টাউনে পা রেখেছিলেন, তখন তার পক্ষে কল্পনাতেও আনা সম্ভব ছিল না স্বয়ং রাজ কাপুরের হাত ধরে তিনি হয়ে উঠবেন কোটি তরুণের স্বপ্ন। বলিউডে কাজ করতে এসে তার শুরুটা মোটেই খুব আশাপ্রদ ছিল না।

মন্দাকিনীকে নাকচ করে দিয়েছিলেন তিনজন পরিচালক। চতুর্থ জন যদিও বা নির্বাচন করলেন, পালটে দিলেন নাম। ইয়াসমিন থেকে তিনি হলেন ‘মাধুরী’। সই করলেন ‘মজলুম’ ছবিতে। কিন্তু এরপরই ম্যাজিক! রাজ কাপুরের ‘রাম তেরি গঙ্গা মইলি’ ছবিতে গঙ্গার চরিত্রে ইয়াসমিন ওরফে মাধুরী থেকে তিনি হয়ে গেলেন মন্দাকিনী।
১৯৮৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবিতে দুর্নীতি থেকে গঙ্গার দূষণ, নানা বিষয়কে সামনে রেখে ছেলে রাজীব কাপুরকে ‘লঞ্চ’ করেছিলেন রাজ। কিন্তু সব আলো যেন গিয়ে পড়ল মন্দাকিনীরই উপরে। ঝরনার জলে ভেজা ফিনফিনে শাড়িতে স্পষ্টত দৃশ্যমান দেহসৌষ্ঠবই হোক কিংবা সন্তানকে স্তন্যপান করানোর সেই দৃশ্য- ছবির সবচেয়ে আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠল এই সব দৃশ্যগুলোই আর মন্দাকিনী। অভিনয় নয়, কেবল মন্দাকিনীর শরীরী আবেদনকে মূলধন করেই বহু চলচ্চিত্র নির্মাতা তাকে কাস্ট করতে শুরু করেন। ফলে পরপর ছবি হাতে পেলেও কোথায় যেন মন্দাকিনীর ক্যারিয়ার এক ঘূর্ণির মধ্যে পড়ে গেল। কিছু সফল সিনেমা তিনি পেলেন কিন্তু ভালো গল্পে ও চরিত্রে তাকে দেখা গেল না। ফলে যা হওয়ার তাই হলো।
জিতেন্দ্রর মতো সিনিয়র তারকা হোক, কিংবা মিঠুনের মতো সুপারস্টার অথবা গোবিন্দ, আদিত্য পাঞ্চোলির মতো সেই সময়ের উদীয়মান অভিনেতা- সকলের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করলেও কয়েক বছরের মধ্যেই হারিয়ে গেলেন মন্দাকিনী। কিন্তু এটাই কি একমাত্র কারণ? হয়তো না। অনেকেই মন্দাকিনীর জীবনে দাউদ ইব্রাহিমের প্রবেশকে নেতিবাচক হিসেবে দেখেন।

তারা মনে অর্থ ও ক্ষমতার লোভে দাউদের সঙ্গিনীতে পরিণত হয়েছিলেন মন্দাকিনী। আর সেটাই তার ক্যারিয়ার ধ্বংস করে দিলো। তার থেকে সবাই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলো বলিউডে। ১৯৮৯ সাল থেকেই নতুন ছবিতে সই করা বন্ধ করে দিয়েছিলেন নায়িকা। পরবর্তী সময়ে তার যে ক’টি ছবি রিলিজ করেছিল সবই এর আগে সই করা। এদিকে নয়ের দশকের শুরু থেকেই ধীরে ধীরে রটে যায় দাউদের সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম করছেন মন্দাকিনী। কেবল মুখে মুখে ঘোরা গল্পকথাই নয়, প্রকাশ্যে এল কিছু ছবিও। ততদিনে ১৯৯৩ সালের মুম্বাই বিস্ফোরণ ঘটে গেছে। গোটা দেশের কাছেই এক ‘মহা-খলনায়ক’ হয়ে দেখা দিলেন দাউদ। এরপরই ১৯৯৪ সালের এক ছবিতে মন্দাকিনীকে দেখা গেল দাউদের পাশে! ব্যাস! গোটা দেশজুড়েই শুরু হল সমালোচনা। এমনও শোনা গেল, ‘রাম তেরি…’ ছবিতে মন্দাকিনীর সুযোগ পাওয়ার পেছনেও নাকি ছিল দাউদেরই হাত।

যে কারণে ছবির শুটিং শুরু হওয়ার ৪৫ দিন পরও রাজ কাপুর চেয়েছিলেন মন্দাকিনীকে সরিয়ে দিয়ে পদ্মিনী কোলাপুরীকে নিয়ে নতুন করে শুটিং শুরু করতে। এমনই নানা জল্পনা ঘুরছিল। এরপরই বেঙ্গালুরুর (তৎকালীন ব্যাঙ্গালোর) কাছে দেশছাড়া দাউদের এক প্রকাণ্ড বাগানবাড়ির সন্ধান পায় মুম্বাই পুলিশ। জানা যায়, ওই নির্মীয়মাণ বাড়িটির মালিকানা নাকি মন্দাকিনীর! যদিও শেষ পর্যন্ত মুম্বাই পুলিশ মন্দাকিনীকে বেকসুর খালাস করে দিয়েছিল। প্রশ্ন ছিল, এর পেছনেও কি দাউদের প্রভাব! মন্দাকিনী অবশ্য কোনোদিনই মেনে নেননি দাউদের সঙ্গে তার প্রণয়ের গুঞ্জনকে। তার দাবি, স্বাভাবিক পরিচয় ও আলাপচারিতা ছাড়া আর কিছুই ছিল না তাদের মধ্যে।

কিন্তু সেকথা বিশ্বাস হয়নি কারোর। আজও হয় না। তাই ১৯৯৫ সালে ‘জোরদার’ ছবির পরই শেষ হয়ে যায় মন্দাকিনীর ক্যারিয়ার। ওই বছরই জানা যায় নায়িকা এখন অন্তঃসত্ত্বা। লোকমুখে ঘুরতে লাগল, ওই সন্তান দাউদেরই। ধীরে ধীরে সকলের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে শুরু করলেন মন্দাকিনী। রাস্তায় বের হলেও থাকতেন বোরকার আড়ালে। অভিনয়ে গতি না দেখে পপ গানের অ্যালবামও বের করেছিলেন। কিন্তু মানুষের পছন্দ হয়নি সেসব। শোবিজে কিছুই আর করার থাকলো না মন্দাকিনীর। এখন কোথায় মন্দাকিনী? ২২ বছরে আগুন ধরানো গ্ল্যামার নিয়ে বলিউডে আসা সেই যুবতী এখন ষাট ছুঁই ছুঁই বৃদ্ধা। জনমানসে ‘সেক্স বম্ব’ থেকে ‘গ্যাংস্টারের প্রেমিকা’ হয়ে ওঠা মন্দাকিনী আজ জনারণ্যের এই সব প্রাচীন প্রবাদ থেকে বহু দূরে।
বলিউড ছেড়েই নব্বই দশকের মাঝামাঝি সময়েই তিনি বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করেন। অনুসরণ করতে শুরু করেন দলাই লামার জীবনদর্শনকে। বিয়ে করেন প্রাক্তন বৌদ্ধ সন্ন্যাসী ড. কাগিয়ুর টি রিনপোচে ঠাকুরকে। স্বামীর সঙ্গে মিলে শেখাতে শুরু করেন তিব্বতি যোগাসনের ক্লাস। দুই সন্তানের জননী মন্দাকিনী চেয়েছিলেন জনপ্রিয়তার সম্মোহনী মায়া থেকে সরে এসে নিজের মতো করে বাঁচতে। তিনি পেরেছেন। কিন্তু খ্যাতির আলোকবৃত্ত থেকে পুরোপুরি মুক্ত হওয়া সহজ নয়। মন্দাকিনী এখন চাইছেন ফের ছায়ার জগতে ফিরতে। ভাই ভানু চেয়েছিলেন দিদি টিভি সিরিজে অভিনয় করুন। কিন্তু মন্দাকিনী জানিয়েছেন, একমাত্র বড় পর্দাই তার প্রথম পছন্দ। আপাতত কথাবার্তা চলছে বহু পরিচালক-প্রযোজকদের সঙ্গে। শিগগিরি হয়তো আবারও ‘লাইট সাউন্ড ক্যামেরা অ্যাকশন’-এর জগতে ফিরবেন অভিনেত্রী।