মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেড় মাস পর বেনাপোল বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু

বেনাপোল প্রতিনিধি ##
যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ৪০ দিন পর আবার ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে।
বুধবার (০৯ জুন) সন্ধ্যায় ঢাকার আমদানিকারক জুবায়ের ইন্টারন্যাশনাল ভারতের পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ৩০ মেট্রিক টন ও যশোরের দ্বীন ইসলাম ট্রেডার্স ৪৫.৮ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করেন। প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজের আমদানি মূল্য পড়েছে ১২৩ মার্কিন ডলার।
এর আগে ৩০ এপ্রিল থেকে উৎপাদন সংকট দেখিয়ে ভারত সরকার পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয়। ফলে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বাংলাদেশের আমদানিকারকরা। কোটি কোটি টাকার এলসি খোলা থাকলেও নিষেধাজ্ঞার কারণে তাদের কেনা পেঁয়াজ ওপারে রফতানি কারকের কাছে আটকা পড়ে যায়।
বেনাপোল চেকপোস্ট উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী অফিসার হেমন্ত কুমার সরকার জানায়,গতকাল ভারত থেকে ৭৫.৮ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। পণ্য ছাড় করাতে ব্যবসায়ীদের আমদানি মূল্যের ওপর ৫% হারে শুল্ক পরিশোধ করতে হচ্ছে। কাস্টমস ও বন্দরের আনুষ্ঠানিকতা সম্পূর্ণ করতে আমদানিকারকেরা সহযোগীতা করছেন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট সেজুতি এন্টারপ্রাইজ।
বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রফতানি সমিতির সভাপতি মহসিন মিলন জানান, পেঁয়াজ আমদানির খবরে স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের দর কেজি প্রতি কমেছে ১০-১৫ টাকা। গত তিন দিন আগে বাজারে পেঁয়াজের প্রতি কেজি মূল্য ছিল ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। আমদানিকৃত পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়লে বাজার মূল্য আরও কমে আসবে বলে জানান তিনি।

                      বেনাপোল বন্দরে ফের ভারতীয় ট্রাকে আগুন

এসময় তিনি আরও জানান, যখন ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয় তখন সুবিধাবাদী ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের সদস্যদের কারসাজিতে পেঁয়াজের মূল্য আকাশ ছোঁয়া বেড়ে যায়। এতে সাধারণ মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় এ খাদ্য দ্রব্যটি কিনতে বেকায়দায় পড়েন। এক্ষেত্রে সরকার যদি দেশে আমদানিকারকদের তালিকা ও তারা কি পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি ও বিক্রি করছেন তা তদারকির প্রতি জোর দেন তাহলে সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য কিছুটা হলেও কমবে মলে মত প্রকাশ করেন তিনি।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পেঁয়াজ আমদানিকারক খুলনার হামিদ এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি জনি ইসলাম জানান, আমদানিকৃত পেঁয়াজ বন্দর থেকেই স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে প্রতি কেজি ৩৫ থেকে ৩৬ টাকার মধ্যে বিক্রি করে দিচ্ছেন।
আমদানিকৃত ভারতীয় পেঁয়াজ পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৩৬ টাকার মধ্যে আর খুচরা বাজারে ৩৮ থেকে ৪০ টাকা।
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) আব্দুল জলিল বলেন, আমদানি করা পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা যাতে দ্রুত খালাস করতে পারেন তার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জনপ্রিয়

দেড় মাস পর বেনাপোল বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু

প্রকাশের সময় : ১১:০৫:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুন ২০২১
বেনাপোল প্রতিনিধি ##
যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ৪০ দিন পর আবার ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে।
বুধবার (০৯ জুন) সন্ধ্যায় ঢাকার আমদানিকারক জুবায়ের ইন্টারন্যাশনাল ভারতের পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ৩০ মেট্রিক টন ও যশোরের দ্বীন ইসলাম ট্রেডার্স ৪৫.৮ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করেন। প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজের আমদানি মূল্য পড়েছে ১২৩ মার্কিন ডলার।
এর আগে ৩০ এপ্রিল থেকে উৎপাদন সংকট দেখিয়ে ভারত সরকার পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয়। ফলে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বাংলাদেশের আমদানিকারকরা। কোটি কোটি টাকার এলসি খোলা থাকলেও নিষেধাজ্ঞার কারণে তাদের কেনা পেঁয়াজ ওপারে রফতানি কারকের কাছে আটকা পড়ে যায়।
বেনাপোল চেকপোস্ট উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী অফিসার হেমন্ত কুমার সরকার জানায়,গতকাল ভারত থেকে ৭৫.৮ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। পণ্য ছাড় করাতে ব্যবসায়ীদের আমদানি মূল্যের ওপর ৫% হারে শুল্ক পরিশোধ করতে হচ্ছে। কাস্টমস ও বন্দরের আনুষ্ঠানিকতা সম্পূর্ণ করতে আমদানিকারকেরা সহযোগীতা করছেন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট সেজুতি এন্টারপ্রাইজ।
বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রফতানি সমিতির সভাপতি মহসিন মিলন জানান, পেঁয়াজ আমদানির খবরে স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের দর কেজি প্রতি কমেছে ১০-১৫ টাকা। গত তিন দিন আগে বাজারে পেঁয়াজের প্রতি কেজি মূল্য ছিল ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। আমদানিকৃত পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়লে বাজার মূল্য আরও কমে আসবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন>>>ভারত থেকে ১৩০ মেট্রিক টন বিস্ফোরক আমদানি

                      বেনাপোল বন্দরে ফের ভারতীয় ট্রাকে আগুন

এসময় তিনি আরও জানান, যখন ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয় তখন সুবিধাবাদী ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের সদস্যদের কারসাজিতে পেঁয়াজের মূল্য আকাশ ছোঁয়া বেড়ে যায়। এতে সাধারণ মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় এ খাদ্য দ্রব্যটি কিনতে বেকায়দায় পড়েন। এক্ষেত্রে সরকার যদি দেশে আমদানিকারকদের তালিকা ও তারা কি পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি ও বিক্রি করছেন তা তদারকির প্রতি জোর দেন তাহলে সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য কিছুটা হলেও কমবে মলে মত প্রকাশ করেন তিনি।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পেঁয়াজ আমদানিকারক খুলনার হামিদ এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি জনি ইসলাম জানান, আমদানিকৃত পেঁয়াজ বন্দর থেকেই স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে প্রতি কেজি ৩৫ থেকে ৩৬ টাকার মধ্যে বিক্রি করে দিচ্ছেন।
আমদানিকৃত ভারতীয় পেঁয়াজ পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৩৬ টাকার মধ্যে আর খুচরা বাজারে ৩৮ থেকে ৪০ টাকা।
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) আব্দুল জলিল বলেন, আমদানি করা পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা যাতে দ্রুত খালাস করতে পারেন তার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।