মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ধর্ষণ মামলা তুলে নিতে হাতীবান্ধায় বাদীকে হুমকি

মোস্তাফিজুর রহমান, লালমনিরহাট।।  লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় ৮ম শ্রেনী পড়ুয়া শিক্ষার্থীকে জোড় পূর্বক ধর্ষনের অভিযোগে নাজমুল হুদা(১৯) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলাটি তুলে নিতে বাদীকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নাজমুলের চাচা কামরুজ্জামান ও তার বন্ধু মেমোনের বিরুদ্ধে। এতে করে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ভুক্তভোগী অসহায় ওই পরিবার। অভিযুক্ত কামরুজ্জামান উপজেলার প্রান্নাথ পাটিকাপাড়া এলাকার ফয়জার মোক্তারের ছেলে। এছাড়া সে গ্রেপ্তারকৃত নাজমুল হুদার চাচা। আর মেমোন পাটিকাপাড়া কারবালা দিঘী এলাকার মধুর পুত্র। সে কামরুজ্জামানের ঘনিষ্ট বন্ধু। জানা গেছে, বিয়ের কথা বলে ৮ম শ্রেনী পড়ুয়া ওই শিক্ষার্থীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে উপজেলার পাটিকাপাড়া ইউনিয়নের প্রান্নাথ পাটিকাপাড়া এলাকার রোকনুজ্জামানের ছেলে নাজমুল। এরই মাঝে শারিরীক সম্পর্ক করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় সে। পরে এর এক পর্যায়ে গত ১৮ জুলাই রাত ১২.৩০ মিনিটে নাজমুল ওই শিক্ষার্থীকে তার বাড়ির পাশের বাঁশ ঝাড়ে মোবাইল ফোনে ডেকে নেয়৷ ওই শিক্ষার্থী সেখানে গেলে নাজমুল তার সাথে শারিরীক সম্পর্ক করার চেষ্টা করে। এতে রাজি না হলে ওই শিক্ষার্থীকে জোড় পূর্বক ধর্ষন করে ওই যুবক। এ সময় ওই শিক্ষার্থীর আত্মচিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে গিয়ে নাজমুলকে আটক করে। খবর পেয়ে কামরুজ্জামান ও মেমোন ওই যুবককে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আপোষ মিমাংসার চেষ্টা করেন৷ পরে এলাকাবাসীও  নাজমুলকে ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুল আলম সাদাতের কাছে নিয়ে যায়৷ পরে মুজিবুল আলম সাদাত ওই যুবককে থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করেন। ধর্ষণ মামলায় গত সোমবার (১৯ জুলাই) দুপুরে নাজমুল হুদাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এরপর থেকে মামলাটি আপোষ মিমাংষা ও তুলে নেওয়ার জন্য বাদীকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন কামরুজ্জামান ও মেমোন।এ বিষয়ে ওই শিক্ষার্থীর মা ও মামলার বাদী বলেন, গ্রেপ্তারকৃত নাজমুলের চাচা কামরুজ্জামান ও তার বন্ধু মেমোন বিষয়টি মিমাংসার জন্য আমাকে চাপ প্রয়োগ করছে৷ এছাড়া মামলা তুলে নিতে নানা হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে। আমরা খুব ভয়ে আছি।এ বিষয়ে জানতে চাইলে গ্রেপ্তারকৃত নাজমুল হুদার চাচা ও মামলা তুলে নিতে চাপ প্রয়োগকারী কামরুজ্জামান বলেন, আমরা কোন হুমকি দেই নাই। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। এ বিষয়ে কামরুজ্জামানের বন্ধু মেমোন বলেন, আমি কামরুজ্জামানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ঠিকই কিন্তু  তাদেরকে কোন হুমকি দেওয়া হয় নাই।এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল আলম বলেন, ৮ম শ্রেনীর শিক্ষার্থীকে ধর্ষনের অভিযোগে নাজমুলকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠনো হয়েছে। বাদীকে হুমকি দেওয়ার বিষয়টি জানা নেই। আমাদেরকে অবগত করা হয়নি। আমাকে জানালে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ধর্ষণ মামলা তুলে নিতে হাতীবান্ধায় বাদীকে হুমকি

প্রকাশের সময় : ০৯:৫৯:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ জুলাই ২০২১

মোস্তাফিজুর রহমান, লালমনিরহাট।।  লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় ৮ম শ্রেনী পড়ুয়া শিক্ষার্থীকে জোড় পূর্বক ধর্ষনের অভিযোগে নাজমুল হুদা(১৯) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলাটি তুলে নিতে বাদীকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নাজমুলের চাচা কামরুজ্জামান ও তার বন্ধু মেমোনের বিরুদ্ধে। এতে করে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ভুক্তভোগী অসহায় ওই পরিবার। অভিযুক্ত কামরুজ্জামান উপজেলার প্রান্নাথ পাটিকাপাড়া এলাকার ফয়জার মোক্তারের ছেলে। এছাড়া সে গ্রেপ্তারকৃত নাজমুল হুদার চাচা। আর মেমোন পাটিকাপাড়া কারবালা দিঘী এলাকার মধুর পুত্র। সে কামরুজ্জামানের ঘনিষ্ট বন্ধু। জানা গেছে, বিয়ের কথা বলে ৮ম শ্রেনী পড়ুয়া ওই শিক্ষার্থীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে উপজেলার পাটিকাপাড়া ইউনিয়নের প্রান্নাথ পাটিকাপাড়া এলাকার রোকনুজ্জামানের ছেলে নাজমুল। এরই মাঝে শারিরীক সম্পর্ক করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় সে। পরে এর এক পর্যায়ে গত ১৮ জুলাই রাত ১২.৩০ মিনিটে নাজমুল ওই শিক্ষার্থীকে তার বাড়ির পাশের বাঁশ ঝাড়ে মোবাইল ফোনে ডেকে নেয়৷ ওই শিক্ষার্থী সেখানে গেলে নাজমুল তার সাথে শারিরীক সম্পর্ক করার চেষ্টা করে। এতে রাজি না হলে ওই শিক্ষার্থীকে জোড় পূর্বক ধর্ষন করে ওই যুবক। এ সময় ওই শিক্ষার্থীর আত্মচিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে গিয়ে নাজমুলকে আটক করে। খবর পেয়ে কামরুজ্জামান ও মেমোন ওই যুবককে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আপোষ মিমাংসার চেষ্টা করেন৷ পরে এলাকাবাসীও  নাজমুলকে ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুল আলম সাদাতের কাছে নিয়ে যায়৷ পরে মুজিবুল আলম সাদাত ওই যুবককে থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করেন। ধর্ষণ মামলায় গত সোমবার (১৯ জুলাই) দুপুরে নাজমুল হুদাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এরপর থেকে মামলাটি আপোষ মিমাংষা ও তুলে নেওয়ার জন্য বাদীকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন কামরুজ্জামান ও মেমোন।এ বিষয়ে ওই শিক্ষার্থীর মা ও মামলার বাদী বলেন, গ্রেপ্তারকৃত নাজমুলের চাচা কামরুজ্জামান ও তার বন্ধু মেমোন বিষয়টি মিমাংসার জন্য আমাকে চাপ প্রয়োগ করছে৷ এছাড়া মামলা তুলে নিতে নানা হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে। আমরা খুব ভয়ে আছি।এ বিষয়ে জানতে চাইলে গ্রেপ্তারকৃত নাজমুল হুদার চাচা ও মামলা তুলে নিতে চাপ প্রয়োগকারী কামরুজ্জামান বলেন, আমরা কোন হুমকি দেই নাই। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। এ বিষয়ে কামরুজ্জামানের বন্ধু মেমোন বলেন, আমি কামরুজ্জামানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ঠিকই কিন্তু  তাদেরকে কোন হুমকি দেওয়া হয় নাই।এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল আলম বলেন, ৮ম শ্রেনীর শিক্ষার্থীকে ধর্ষনের অভিযোগে নাজমুলকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠনো হয়েছে। বাদীকে হুমকি দেওয়ার বিষয়টি জানা নেই। আমাদেরকে অবগত করা হয়নি। আমাকে জানালে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।