বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

নওগাঁর আত্রাইয়ে গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী মাদারের গান অনুষ্ঠিত

কামাল উদ্দিন টগর, নওগাঁ প্রতিনিধি ।।

অতিজন প্রিয় লোক সংস্কৃতি মাদারের গান আজ বিলুপ্তির পথে.. আজ থেকে প্রায় এক যুগ আগেও এর বেশ প্রচলন দেখা গেছে। নওগাঁর আত্রাই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়।এ উপজেলার অধিকাংশ পাড়া-মহল্লায় সন্ধ্যা থেকে বাড়ির উঠানে,খোলা আকাশের নিচে রাত ভর জমজমাট ভাবে উদযাপিত হতো।এই মাদারের গানের আসর। গ্রামের ছোট,বড় সকল বয়সী নারী-পুরুষ হাজারো উৎসুক জনতারা সকলে  মিলে, শপ,পাটি ও খরকুটো পেতে এই মাদারের গান উপভোগ করতো।মাদারের গান উপলক্ষে অত্র এলাকায় বিরাজ করতো উৎসব মূখর পরিবেশে।আর এই মাদারের গান কে কেন্দ্র করে বসতো হরেক রকমের খাবারের দোকান।আজ তা শুধু গল্পের মত শোনা যায় কিন্তু হঠাৎ করে নওগাঁর আত্রাই উপজেলার পাঁচুপুর ইউনিয়নের বিপ্রবোয়ালীয়া গ্রামের শাহার আলীর বাড়িতে সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকাল থেকে মঙ্গরবার (২১ সেপ্টেম্বর ) পর্যন্ত দুই দিন ব্যাপী চলে এই গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী মাদারের গানের আসর। আর এই ঐতিহ্যবাহী গ্রাম বাংলার হারিয়ে যাওয়া মাদারের গান শোনার জন্য ছোট-বড় সকল বয়সী হাজারো উৎসুক জনতার ভীর জমায়,বিভিন্ন অঞ্চল থেকে শিল্পীরা এই মাদারের গান পরিবেশ করতে আসে।

এব্যাপারে উৎসুক জনতার, টুকু সরদার,আব্দুল করিম,শাহানা বেগম, শান্তি বালা,মনিকা  বেগম,সহ আরো অনেকে জানান,এই জনপ্রিয়  গানের আসরের কথা অনেক শুনেছি হঠাৎ করে এতো দিন পরে গ্রাম বাংলার এইআসরে উপস্থিত হতে পেরে ভীষন ভালো লাগছে।এই ধরনের উৎসব গ্রামে আরো হলে এলাকার মানুষের জীবনে নতুন করে আনন্দ ও গ্রাম বাংলার সংস্কৃতি সম্পর্কেআগামী প্রজন্মের ধারনা সুন্দর,সঠিক ভাবে লালন করে তরুন প্রজন্ম  নাশকতাও মাদক থেকে বিরত থাকবে। এ ব্যাপারে সাহার আলী জানান, মাদারের গান আমি আগে অনেক শুনেছি অনেক দিন থেকেই এই গানের আসর আমার বাড়িতে  দেওয়ার ইচ্ছা কিন্তু বিভিন্ন সমস্যার কারণে এই উৎসবটা আমি করতে পারিছিলাম না। কিন্তু সম্প্রতি সময়ে আমার  স্ত্রী পারুলের জন্য মান্নত করার কারনে উপজেলার বিশা ইউনিয়নের পার-মোহন ঘোষ থেকে মাদারের গানের শিল্পী নদীর দল ভাড়া করে ছোট পরিসরে হলেও এই গানের আয়োজন করতে পেরে এবং এতো লোকজন উপস্থিত হওয়ায় আমার ভীষন ভালো লাগছে।

নওগাঁর আত্রাইয়ে গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী মাদারের গান অনুষ্ঠিত

প্রকাশের সময় : ০৪:০২:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১

কামাল উদ্দিন টগর, নওগাঁ প্রতিনিধি ।।

অতিজন প্রিয় লোক সংস্কৃতি মাদারের গান আজ বিলুপ্তির পথে.. আজ থেকে প্রায় এক যুগ আগেও এর বেশ প্রচলন দেখা গেছে। নওগাঁর আত্রাই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়।এ উপজেলার অধিকাংশ পাড়া-মহল্লায় সন্ধ্যা থেকে বাড়ির উঠানে,খোলা আকাশের নিচে রাত ভর জমজমাট ভাবে উদযাপিত হতো।এই মাদারের গানের আসর। গ্রামের ছোট,বড় সকল বয়সী নারী-পুরুষ হাজারো উৎসুক জনতারা সকলে  মিলে, শপ,পাটি ও খরকুটো পেতে এই মাদারের গান উপভোগ করতো।মাদারের গান উপলক্ষে অত্র এলাকায় বিরাজ করতো উৎসব মূখর পরিবেশে।আর এই মাদারের গান কে কেন্দ্র করে বসতো হরেক রকমের খাবারের দোকান।আজ তা শুধু গল্পের মত শোনা যায় কিন্তু হঠাৎ করে নওগাঁর আত্রাই উপজেলার পাঁচুপুর ইউনিয়নের বিপ্রবোয়ালীয়া গ্রামের শাহার আলীর বাড়িতে সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকাল থেকে মঙ্গরবার (২১ সেপ্টেম্বর ) পর্যন্ত দুই দিন ব্যাপী চলে এই গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী মাদারের গানের আসর। আর এই ঐতিহ্যবাহী গ্রাম বাংলার হারিয়ে যাওয়া মাদারের গান শোনার জন্য ছোট-বড় সকল বয়সী হাজারো উৎসুক জনতার ভীর জমায়,বিভিন্ন অঞ্চল থেকে শিল্পীরা এই মাদারের গান পরিবেশ করতে আসে।

এব্যাপারে উৎসুক জনতার, টুকু সরদার,আব্দুল করিম,শাহানা বেগম, শান্তি বালা,মনিকা  বেগম,সহ আরো অনেকে জানান,এই জনপ্রিয়  গানের আসরের কথা অনেক শুনেছি হঠাৎ করে এতো দিন পরে গ্রাম বাংলার এইআসরে উপস্থিত হতে পেরে ভীষন ভালো লাগছে।এই ধরনের উৎসব গ্রামে আরো হলে এলাকার মানুষের জীবনে নতুন করে আনন্দ ও গ্রাম বাংলার সংস্কৃতি সম্পর্কেআগামী প্রজন্মের ধারনা সুন্দর,সঠিক ভাবে লালন করে তরুন প্রজন্ম  নাশকতাও মাদক থেকে বিরত থাকবে। এ ব্যাপারে সাহার আলী জানান, মাদারের গান আমি আগে অনেক শুনেছি অনেক দিন থেকেই এই গানের আসর আমার বাড়িতে  দেওয়ার ইচ্ছা কিন্তু বিভিন্ন সমস্যার কারণে এই উৎসবটা আমি করতে পারিছিলাম না। কিন্তু সম্প্রতি সময়ে আমার  স্ত্রী পারুলের জন্য মান্নত করার কারনে উপজেলার বিশা ইউনিয়নের পার-মোহন ঘোষ থেকে মাদারের গানের শিল্পী নদীর দল ভাড়া করে ছোট পরিসরে হলেও এই গানের আয়োজন করতে পেরে এবং এতো লোকজন উপস্থিত হওয়ায় আমার ভীষন ভালো লাগছে।